আমি ব্লগে সাধারণত জঙ্গি রাজাকার ও ভন্ড হুজুর ওরফে কাঠমোল্লা দের নোংরামির বিরুদ্ধে লিখি। আমি মুমিন দের সম্মান করি, আমি নিজে একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। শুধুমাত্র জঙ্গি রাজাকার ও ভন্ড কাঠমোল্লাদের বিরুদ্ধে লিখি বলে ব্লগের কয়েকটা ছাগল ও বলদ বলছে আমি নাকি মুসলিম বিদ্বেষী। পাকিস্তানি রাজকারদের বিরুদ্ধে লিখি বলে আমি নাকি ভারতীয় রাজাকার। এই সব বলদদের কে বুঝাবে ইসলাম এবং জামায়াত ইসলাম এক নয়।অবশ্য এদের কোন দোষ নেই। এদের ছাগু লিডাররা ছোট বেলায় তাদের ব্রেন ওয়াশ করে এই বলে যে, যারা পাকিস্তান, জামায়াত শিবিরকে ঘৃণা করে তারা মুসলিম বিদ্বেষী। নাস্তিক কাফের। ফলে তারা নিজেরা ছাড়া সবাইকে ভারতীয় দালাল, মুশিরিক, নাস্তিক ইত্যাদি মনে করে।
যাই হোক এসব মূর্খদের কথা বাদ। ছবিতে সামিরা খান মাহি। ছবিটি আমার নিজস্ব।খুব ভালো করে লক্ষ্য করুন তার এক্সপ্রেশন। আমার সহকর্মী ও খুবই ভালো বন্ধু বলে বলছিনা। সত্যি বলছি বাংলাদেশের সিলেট থেকে উঠে আসা এই মেয়েটির গায়ের রঙ কালো হওয়ায় মূর্খ নেটিজেনরা ওরে কষ্ট দিয়ে কমেন্ট করে। ফলে মাহি একবার পোস্ট দিয়েছিল - "গায়ের রঙ দিয়ে নয়, অভিনয় দিয়ে একজন শিল্পীকে মূল্যায়ন করুন"। তার এক্সপ্রেশন দেখুন। মাহি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অহংকার। এই কারণে যে, ফ্যাশন ফ্যাশন শোর মঞ্চ কাঁপিয়ে যারা অভিনয়ে গিয়ে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ও ভালো করেছে মাহি তাদের মধ্যে অন্যতম। বড় পর্দায় অভিনয় না করলেও ছোট পর্দার এক্লাস একট্রেস দের মধ্যে ১ম সারিতে নিজের নাম লিখিয়েছে। আমি ওকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। সে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার থেকে উঠে আসা। রমজান মাসে সে সব রোজা রাখে। তার প্রিয় বন্ধু মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মিথিলার সাথে পবিত্র রমজানে দুই হাতে আল্লাহর রাস্তায় দান করে। মেয়েটি লক্ষী, কাজের প্রতি ডেডিকেটেড, শ্যুটিং বা শ্যুটে কখনোই লেট করেনা। ভীষণ স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড ও বোল্ড।
সম্প্রতি মৌলবাদী নোংরা কাঠ মোল্লাগোষ্টি রূপান্তর নামক একটি নাটকে অভিনয় করার কারনে অসম্ভব মেধাবী এই মডেল ও একট্রেস এর ফ্যান পেজটি রিপোর্ট করে গায়েব করে দিয়েছে। একজন পাবলিক ফিগারের কাছে সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম গুলোতে তার পেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এমনকি বর্তমানে শিল্পীদের রুটি রুজি পর্যন্ত নির্ভর করে ফ্যান পেজের ফলোয়ার এর উপর।২.৪ মিলিয়ন ফলোয়ার এর এই পেজ যারা রিপোর্ট করছে তারা আর কেউ নেই তারা আমাদের আশে পাশেই আছে। এই ব্লগেও ৩/৪ জন আছে। নূন্যতম শিক্ষিত মানুষও জানে যে, একজন শিল্পীর কাজই হইল চরিত্রের মধ্যে ডুব দেয়া। সে পরিচালক ও প্রযোজক এর নির্দেশনায় কাজ করে। যে চরিত্র তাকে দেয়া হয় সে চরিত্রে পারফেক্টলি অভিনয় করা তার কমিটমেন্ট। আর তার জন্য তাকে পারিশ্রমিকও দেয়া হয়।
রূপান্তর নাটকে আমি ভুল কিছু খুজে পাইনি। ৩য় লিঙ্গের মানুষ কি আল্লাহর সৃষ্টি নয়? ঘৃণ্য কাঠমোল্লারা কোন যুক্তিতে তাদের ঘৃণা করে? জঙ্গিদের ভয়ে মাহি আর জোভান ক্ষমা চেয়েছে। এমনকি ইউটুব থেকে পর্যন্ত নাটকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সত্যি সেলুকাস। বড়ই বিচিত্র এই দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৩