
নোট: এটি একটি সেনসেটিভ পোস্ট, পোস্ট না পড়ে, কিংবা পোস্টের মর্মার্থ না বুঝে, কিংবা পোস্ট এর অংশ বিশেষ পড়ে, কিংবা পোস্টে কি বুঝাতে চেয়েছি সেটা না বুঝে কেউ মন্তব্য করবেন না।
কোটা বিরোধী আন্দোলন দেশের বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীরা করতেই পারে। সমস্যার সূত্রপাত হয় যখন থেকে ওরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দিতে বলে। যুক্তি প্রদর্শন করে দেশে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা অনেক। তো তারা তো বলতে পারতেন "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চাইন"। কিন্তু না, তাদের আসল সমস্যা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সাথে তাই তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার দু:সাহস দেখাতে থাকল। কি বয়ংকর আবদার! মুক্তিযোদ্ধা দের কোটা নাকি বাদ দিতে? ওই নিমুখ হারামরা কি বলছে এসব! যারা আমাদের জীবন দিয়ে ও বাজি রেখে বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন তাদের কোটা নাকি বাদ দিতে হবে।
তাই শুরু থেকে সন্দেহ ছিল - এই আন্দোলন এর মূলে ছিল দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা।সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নিরীহ আন্দোলনকে বরাবরের মত উছিলা হিসেবে দেখিয়ে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
একটি আন্দোলন যখনই সফলতার ধারে প্রান্তে আসে জামায়াত শিবির ও তাদের পালক পুত্র অনলাইন এক্টুভিস্টরা সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। নিজস্ব ঘৃণ্য দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র সফল করার লোভে ছাত্রছাত্রীদের স্লোগান দেওয়ালো - " আমরা সবাই রাজাকার " ছি: এই নোংরা ঘৃণ্য শব্দটা কিভাবে সাধারণ ছাত্রদের উপর ছাপিয়ে দিল ঘৃণ্য জামাত শিবির। যেহেতু আন্দোলন কারীরা নিজেরাই বলছে ওরা রাজাকার তখন মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি ওদের কাল থেকে দমন করে তবে আগামী ৬/৭ দিনে এই আন্ডোলন জলে যাবে।
এই আন্ডোলন প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যার্থ হওয়ার পেছনে আবারও জামায়াত শিবির ও তাদের পোষ্য এক্টিভিস্ট ওরফে ছাগুরা দায়ী। অনেকের ১৪ পুরুষের কেউ রাজাকার বলে তাদের ছেলেদের রাজাকার বলা যাবেনা কারণ তরুণ প্রজন্ম বুঝে গেসে রাজাকার ইতিহাসে একটি কলংকিত শব্দ।তারা মুক্তি যুদ্ধের চেতনায়, বুকে দেশ প্রেম ধারণ করে বড় হতে পারে।তাই একজন মানুষ গোপনে বা প্রকাশ্যে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, বিএনপি বা সুশীলের ভেক ধরে জামাতি কার্যক্রম না চালায়, বা তাদের সাথে সম্পৃক্ত না থাকে তাকে রাজাকার বলা অন্যায়। চট্টগ্রামে জামাত শিবির বেশী। এসব পরিবার থেকে উঠে আসা অসংখ্যতরুণ তরুণী দের আমি চিনি, যারা হাসতে হাসতে দেশের জন্য জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ঢালাওভাবে রাজাকার বলে ভুল কাজ করেছেন। আজ চট্টগ্রামের ২ নং গেইটে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সাথে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মারামারি স্বচোক্ষে দেখলাম। দেখলাম সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রলীগ অহেতুক মারছে। ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তুলার তীব্র নিন্দা সহ প্রতিবাদ জানাই।
পরিশেষে বলতে চাই কোন ভালো ঘরের সন্তান জামায়াত শিবির সমর্থন করতে পারেনা, ৩০ লক্ষ শহীদ, ৩ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা বোন এর সম্মানের উপর থুথু নিক্ষেপ করে যে ঘৃণ্য জঙ্গি দলটি গঠিত হয়েছে ওটার নাম জামাত শিবির, যারা এই যুগে এসেও জামাত শিবির করে অথবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওদের সমর্থন করে ওরা পাকিস্তান ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া একএকজন জারজ সন্তান। তদ্রূপ যারা ৭১ এর পরবর্তী জন্ম নিয়ে যারা শিবির করে, তাদের মতবাদে সমর্থন করে, গোপন বৈটকে যায়, জোটবদ্ধ হয় , পিরিত করে, দেশপ্রেমিক কে গালি ফাইল মদদ ঈ উস্কে দেয়, পৈশাচিক আনন্দ পেয়ে হা হা হি হি করে তারাও রাজাকার।যে ভাষায় আপনি কথা বলছেন সে ভাষার যারা শত্রু তাদের সাথে কিসের এত সখ্যতা? ছাত্রদের একটি নিরীহ দাবী, কোটা নয় মেধা দিয়ে চাকুরী দিন। কিছু রাজাকার শাবক মুক্তিযুদ্ধা কোটা উঠিয়ে দিতে বলায় পুরা আন্দোলনটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত, জামাত শিবির এই আন্দোলনকে দেশে ছাগুত্ববাদ কায়েমের হাতিয়ার বানানোর কারণে আর একটি আন্দোলন ব্যর্থ হল। কাল থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাবাবারা বের হতে দিবেনা ভয়ে। যারা বের হবে, তল্লাশি করে দেখা যাবে এরা গোপনে জামাতের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। এবং চতুর সরকার প্রমাণ করে দিবেন - মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রক্তব্য সঠিক।
স্বৈরাচার ও রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




