somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

প্রসঙ্গ: ফেসবুক। জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফেসবুক ব্যাবহার স্বাভাবিক করে দেয়া উচিৎ।

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি প্রথম ফেসবুক একাউন্ট খুলছি ২০০৯ সালে। সম্ভবত ২০০৭ সাল থেকে সাধারণ ব্যবহার কারীরা ফেসবুক ব্যবহার করা স্টার্ট করে। শুরুর দিকে ফেসবুকের অবস্থা ছিল ব্লগের মত। লক্ষ কোটি ফেইক আইডি। এসব ফেইক আইডি থেকে কত রকমের হাস্যকর কান্ডকারখানা যে হত তার ঠিক নেই। সবচেয়ে বিশ্রী রকম হাস্যকর ছিল ছেলেরা মেয়ে সাঁজত। মেয়েরা ছেলে খুব কমই সাঁজত। তবে কয়েকজন সাইকো যে ছিলনা তা নয়। কয়েকটা সাইকো মেয়ে হয়ে ছেলে সাঁজতো।এরা সাইকো, গে বা হিজড়া ওটা বুঝা যেত। যত সময় যেতে থাকল ততই মানুষ বুদ্ধিমান হওয়া শুরু করছে। ফেসবুক নীতিমালায় প্রাইভেসি আনে। ফলে ফেইক আইডি গুলো ডিএক্টিভেট হতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কিন্তু ২০১৪ এর পর কাঠমোল্লা ও ছাগুরা ফেসবুকে এসে প্রথমে ভারত সরকার ও নাস্তিক দের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত হয়। একই সাথে ফেসবুকিং কে হারাম ঘোষনা করে অথচ - ফেসবুকেই গড়ে উঠে তাদের বিশাল সাম্রাজ্য। শুরু হয় ধর্মপ্রচার এর নামে মিথ্যচার, ফেতনা।ও জিহাদের নামে মানুষ হত্যার উস্কানি। এবং তারা ব্যাপক ভাবে সফল হয়। দেড় বছর হল ফেসবুল ইউজ করিনা। কয়েকটা বিজনেস পেইজ আছে ঐগুলা মনিটরিং করি।

মোল্লা ও ছাগুরা ফেসবুক ও ইউটুবকে বস্তি বানানোর পর এখন ইনস্টাগ্রামকে টার্গেট করছে। সেখানে তারা ব্যাপক ভাবে বংষবৃদ্ধি করছে। ফেসবুকের যে প্রয়োজনীয়তা নেই তা নয়। ফেসবুক এখন আয় রোজগারের প্ল্যাটফর্ম। ই-কমার্স ও এফ-কমার্স সহ অর্ধ কোটি অনলাইন উদ্যোক্তাদের রুজি রুটির ব্যবস্থা হয় ফেসবুক টিকটক থেকে।

কিন্তু সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ছাগু। এরা রীতিমতো সেখানে ওয়াজ বাণিজ্য, ভুলভাল ধর্মপ্রচার, গুজব, মিথ্যাচার, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরাসরি পাকিস্তান সমর্থন, গালিগালাজ, সারাক্ষণ হিংসা নিন্দা গীবত সহ এমন কোন আকাম কুকাম নেই ওরা ফেসবুকে করেনা। মোটমাট উহাকে গার্বেজ বানাইয়া ফেলছে।

সরকার ফেসবুক বন্ধ করে ভুল কাজ করছে। আমি সবসময় স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে। জামাত শিবির ছাড়া দেশের প্রতিটি নাগরিক এর কথা বলার ও মত প্রকাশের অধিকার আছে। জামায়াত শিবির কে পাখা গজানোর আগে অফলাইনে ও অনলাইনে নিষিদ্ধ করলে এত গুজব, জঙ্গিবাদ, ভুলভাল ওয়াজের মাধ্যমে প্রকৃত ইসলামকে অসম্মান এগুলো সহ্য করতে হতনা। মিথ্যা কথা বলে ফেসবুক বন্দ করায় সরকার ও স্যার পলককে ধুয়ে দিচ্ছে ছাত্র জনতা। যেমন: আমার বোন স্ট্যাটাস দিসে - যাক অবশেষে স্যার পলকের পোস্টে আমিও হাহা দিতে পারছি। তার শেয়ার দেয়া পোস্টে ক্লিক করে দেখলাম স্যার পলক মিথ্যাচার করছে যে - ডিজিটাল সিস্টেম পুড়ে যাওয়ায় নাকি নেট স্পীড স্লো।প্রমাণ স্বরূপ কটা ছবিও আপলোড করছেন। কিন্তু একি কান্ড কান্ড। সে ছবিতে স্যার ৩২ হাজার রিএক্ট পেয়েছেন যার মধ্যে ৩১ হাজার হাহা রিরক্ট। ছাগু ও কাঠমোল্লাদের ২০ হাজার হাহা বাদ দিলেও ১১ হাজার জেনুইন হাহা হয়। যা রীতিমতো লজ্জার।



যাই হোক সরকারের সুমতি ফিরছে। শেষ পর্যন্ত জামাত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ২/১ দিনের মধ্যে জামাত শিবিরকে অনলাইনে ও অফলাইনে নিষিদ্ধ করে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টুইটার ইউটুব ওপেন করে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×