
আমি প্রথম ফেসবুক একাউন্ট খুলছি ২০০৯ সালে। সম্ভবত ২০০৭ সাল থেকে সাধারণ ব্যবহার কারীরা ফেসবুক ব্যবহার করা স্টার্ট করে। শুরুর দিকে ফেসবুকের অবস্থা ছিল ব্লগের মত। লক্ষ কোটি ফেইক আইডি। এসব ফেইক আইডি থেকে কত রকমের হাস্যকর কান্ডকারখানা যে হত তার ঠিক নেই। সবচেয়ে বিশ্রী রকম হাস্যকর ছিল ছেলেরা মেয়ে সাঁজত। মেয়েরা ছেলে খুব কমই সাঁজত। তবে কয়েকজন সাইকো যে ছিলনা তা নয়। কয়েকটা সাইকো মেয়ে হয়ে ছেলে সাঁজতো।এরা সাইকো, গে বা হিজড়া ওটা বুঝা যেত। যত সময় যেতে থাকল ততই মানুষ বুদ্ধিমান হওয়া শুরু করছে। ফেসবুক নীতিমালায় প্রাইভেসি আনে। ফলে ফেইক আইডি গুলো ডিএক্টিভেট হতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কিন্তু ২০১৪ এর পর কাঠমোল্লা ও ছাগুরা ফেসবুকে এসে প্রথমে ভারত সরকার ও নাস্তিক দের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত হয়। একই সাথে ফেসবুকিং কে হারাম ঘোষনা করে অথচ - ফেসবুকেই গড়ে উঠে তাদের বিশাল সাম্রাজ্য। শুরু হয় ধর্মপ্রচার এর নামে মিথ্যচার, ফেতনা।ও জিহাদের নামে মানুষ হত্যার উস্কানি। এবং তারা ব্যাপক ভাবে সফল হয়। দেড় বছর হল ফেসবুল ইউজ করিনা। কয়েকটা বিজনেস পেইজ আছে ঐগুলা মনিটরিং করি।
মোল্লা ও ছাগুরা ফেসবুক ও ইউটুবকে বস্তি বানানোর পর এখন ইনস্টাগ্রামকে টার্গেট করছে। সেখানে তারা ব্যাপক ভাবে বংষবৃদ্ধি করছে। ফেসবুকের যে প্রয়োজনীয়তা নেই তা নয়। ফেসবুক এখন আয় রোজগারের প্ল্যাটফর্ম। ই-কমার্স ও এফ-কমার্স সহ অর্ধ কোটি অনলাইন উদ্যোক্তাদের রুজি রুটির ব্যবস্থা হয় ফেসবুক টিকটক থেকে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ছাগু। এরা রীতিমতো সেখানে ওয়াজ বাণিজ্য, ভুলভাল ধর্মপ্রচার, গুজব, মিথ্যাচার, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরাসরি পাকিস্তান সমর্থন, গালিগালাজ, সারাক্ষণ হিংসা নিন্দা গীবত সহ এমন কোন আকাম কুকাম নেই ওরা ফেসবুকে করেনা। মোটমাট উহাকে গার্বেজ বানাইয়া ফেলছে।
সরকার ফেসবুক বন্ধ করে ভুল কাজ করছে। আমি সবসময় স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে। জামাত শিবির ছাড়া দেশের প্রতিটি নাগরিক এর কথা বলার ও মত প্রকাশের অধিকার আছে। জামায়াত শিবির কে পাখা গজানোর আগে অফলাইনে ও অনলাইনে নিষিদ্ধ করলে এত গুজব, জঙ্গিবাদ, ভুলভাল ওয়াজের মাধ্যমে প্রকৃত ইসলামকে অসম্মান এগুলো সহ্য করতে হতনা। মিথ্যা কথা বলে ফেসবুক বন্দ করায় সরকার ও স্যার পলককে ধুয়ে দিচ্ছে ছাত্র জনতা। যেমন: আমার বোন স্ট্যাটাস দিসে - যাক অবশেষে স্যার পলকের পোস্টে আমিও হাহা দিতে পারছি। তার শেয়ার দেয়া পোস্টে ক্লিক করে দেখলাম স্যার পলক মিথ্যাচার করছে যে - ডিজিটাল সিস্টেম পুড়ে যাওয়ায় নাকি নেট স্পীড স্লো।প্রমাণ স্বরূপ কটা ছবিও আপলোড করছেন। কিন্তু একি কান্ড কান্ড। সে ছবিতে স্যার ৩২ হাজার রিএক্ট পেয়েছেন যার মধ্যে ৩১ হাজার হাহা রিরক্ট। ছাগু ও কাঠমোল্লাদের ২০ হাজার হাহা বাদ দিলেও ১১ হাজার জেনুইন হাহা হয়। যা রীতিমতো লজ্জার।


যাই হোক সরকারের সুমতি ফিরছে। শেষ পর্যন্ত জামাত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ২/১ দিনের মধ্যে জামাত শিবিরকে অনলাইনে ও অফলাইনে নিষিদ্ধ করে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টুইটার ইউটুব ওপেন করে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




