somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অদ্ভুত স্বপ্ন

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বছর খানেক আগের কথা। একদিন ঘুমের মাঝে স্বপ্নে দেখলাম আমি আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে তারই পরিচিত কার বাসাই যায়। খুব সুন্দর একটা বাসা সবকিছু সাজানো গোছানো। এক দেখাতেই বাসাটা আমার খুব ভাল লেগে যায়। আমরা দুই জন ড্রইং রুমে বসি। আমাদের পাশেই বসা একটা মেয়ে আপন মনে কি যেন করে যাচ্ছিল। আমি একটু চোরা চোখে তার দিকে তাকাচ্ছিলাম। মেয়েটাকে বেহেস্তের হুর বলা হলে হইত বেশি বলা হবে, আবার পরী শব্দটাও আমার কাছে তার ঠিক সমকক্ষ মনে হচ্ছিল না। বাসার লোকগুলো কিছুটা ব্যস্ত ছিল সম্ভবত তাদের কিছু গেস্ট ছিল, তাদের নিয়ে এত ব্যস্ততা। একটু পরেই একটা কাজের লোক চা দিয়ে চলে গেল। এই রকম পরিবেশে আমি সাধারনত অসস্তি বোধ করি। চা শেষ করে আমরা বারান্দায় গিয়ে বসলাম। দুই বন্ধু চুপচাপ বসে আছি, হটাত করে সেই মেয়েটি আমাদের মাঝে এসে নিজেই গল্প শুরু করে দিল। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কি বলছে সে দিকে আমার মোটেই খেয়াল নেই। কয়েক মিনেটের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম, হটাত নিজের অজান্তেই আমি তার হাত ধরে ফেললাম। সে একটুও বিরক্ত না হয়ে আমার ধরা হাতটা ধরে হাত মিলিয়ে বলল, ‘হ্যায় আমি জান্নাত সামিয়া’। পরক্ষনে আমি আমার নিজেকে সামলে নিয়ে আমার নাম বললাম। সাথে সাথে ঘুম ভেঙ্গে গেল। সময় তখন প্রায় রাত চারটার মত। হটাত ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে খুব অস্থির লাগছিল, সারাটা রাত আর ঘুমাতে পারিনি কানের কাছে শুধু একটা কথাই বাজতে লাগল ‘হ্যায় আমি জান্নাত সামিয়া’। সকাল হতেই আমার খুব কাছের এক বন্ধুকে ফোন করে আসতে বললাম। ও আসার পর ওকে সব খুলে বললাম কিন্তু তাতে কনো লাভ তো হল না উল্টো ও ব্যাপারটা হেসেই উড়িয়ে দিল। মনে মনে ঠিক করলাম ব্যাপারটা আর কাউকে বলব না। সেই থেকেই মনে মনে জান্নাত সামিয়াকে খোঁজা শুরু করলাম। যেখানেই যেতাম জান্নাত সামিয়াকে খুঁজতাম কিন্তু এই নামের কাউকেই পেতাম না। ধীরে ধীরে এই নামটা আমার প্রতিটি রক্ত কনিকার সাথে মিশে যেতে লাগল। কনো কিছু ভাল লাগত না শুধু ওর কথা মনে পড়ত, আর মনে মনে ভাবতাম ওকে আমি একদিন ঠিকই খুঁজে পাব তখন আমি ওর সাথে একদম কথা বলব না অনেক রাগ করব ওর উপর, তারপর আলতো আলতো জড়ানো গলায় বলব, এত দেরি করলে কেন তুমি আসতে আমি সেই কবে থেকে তমার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি, এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি নিজেই জানিনা। কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাপারটা আমাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তুলতে লাগল । যতই দিন যাই আমি ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়তে লাগলাম। ঘর থেকে তেমন একটা বের হতাম না সারাক্ষন শুধু ওর কথা ভাবতাম। আমার এই অবস্থা দেখে আমার ফ্যামিলি আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। সবকিছু পরীক্ষা করে ডাক্তার বললেন আমার শরীরে কনো সমস্যা নেই অতিরিক্ত টেনশনের ফলে এমনটা হচ্ছে। তারপর দিন বাবা আমার সব ফ্রেন্ডকে ডেকে আমার ব্যাপারে জানতে চাইলেন কিন্তু কেউই কনো উত্তর দিতে পারল না। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তারা বাবাকে সান্তনা দিতে লাগল। কিছুক্ষন পরেই আমার সব বন্ধু আমার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সবাই আমাকে ঘীরে বসল। আমি তাদের পুরো ব্যাপারটা খুলে বললাম। সব শোনার পর তারাও অবাক। তারা আমাকে নানা ভাবে বুঝাতে লাগল কিন্তু কিছুতেই আমি মানতে পারছিলাম না যে এটা শুধুই একটা স্বপ্ন। কিন্তু রুমের দরজা খুলে আমি যা দেখতে পেলাম তাতে পৃথিবীর সব আমার মন থেকে উধাও হয়ে গেল। আমি দেখলাম আমার দরজার সামনেই আমার মা অস্রু সিক্ত নয়নে নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছে। আমার মায়ের এমন রূপ আমি জীবনেও দেখিনি। সেই থেকেই আমি জান্নাত সামিয়াকে নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিলাম। সব সময় নিজেকে যে কনো কাজে ব্যস্ত রাখতাম মন থেকে মুছে দিতে চাইতাম জান্নাত সামিয়ার সৃতি।কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি আমি আজও জান্নাত সামিয়াকে ভুলতে পারিনি। কিন্তু এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। জানিনা কথনও জান্নাত সামিয়ার দেখা পাবো কিনা কিন্তু ওকে আমি কখনো ভুলতে পারব না। যত দিন এই দেহে প্রান থাকবে ততদিনই আমি খুঁজে যাব আমার স্বপ্নের মানবী জান্নাত সামিয়াকে...................।
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×