পাঠকবৃন্দ, আপনারা আরও অবগত আছেন যে, বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর ইদানিং ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলা সদরে বাজার পরিচালনায় ব্যস্ত। এর মহাপরিচালক মহোদয় বিভিন্ন মিডিয়ায় দন্তপাটি বিকশিত করিয়া তাহার বাজার সাফল্যের কাহিনী প্রচার করেন সবিস্তারে। তবে বিজ্ঞজনেরা বলেন তাহাদের এই উদ্যোগ সমাজের নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটি ক্ষুদ্রাংশের উপকার সাধন করিলেও সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থায় কোনরূপ প্রভাব ফেলিতেছে না। আর এই ব্যপারটি আমি আপনি বাজারে গেলেই অহরহ টের পাই।
বিডিআর নামক এই সংস্থাটি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত, যাহার ম্যান্ডেট হইতেছে সীমান্ত রক্ষা করা। আর এই সীমান্ত রক্ষার একটি অংশ হইতেছে চোরাচালান দমন। প্রশ্ন হইতেছে তাহারা ইহাতে কতটুকু সফল।
দেশ এবং দশের প্রয়োজনে তাহারা মূল দায়িত্বের পাশাপাশি সরকারী আদেশে যে কোন কাজ করিতে বাধ্য। কিন্তু মূল দায়িত্বকে পাশ কাটাইয়া এ কেমন দেশ সেবা ? তাহাদের দায়িত্বহীনতার দায়ভার তো আমাদের মানে জনগণকেই বহন করিতে হইতেছে। দেশের ইলিশ তো ইলিশ, কস্টার্জিত বৈদেশিক মূদ্রায় কনা তেল পর্যন্ত পাচার হইয়া যায় ভারতে। আর জনগণ ভর্তুকির মাধ্যমে যে দামে তাহা পাইতো, তাহা কর্তনপূর্বক দফায় দফায় তেলের মূল্য বৃদ্ধিকরত জনগণকেই শাস্তি প্রদান করা হইতেছে বারংবার। অথচ জণগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত বিডিআর সদস্যদের চোরাচালান দমনে ব্যর্থতার জন্য কখনও জবাবদিহি পর্যন্ত করিতে হয় না। বরং হাওয়াই শার্ট পড়িয়া সহাস্য বদনে জনগণকে চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দেয় - দেখ তোদের জন্য কিই না করিতেছি !!!
হায়রে দেশ !!!
[ছবিটা ইংরেজী দি নিউ এজ থেকে নেয়া]