গত দুই দিন ধরে পড়লাম । বেকার বলেই সময় করে উঠলাম হয়তো । বেশী না । হাতের বাঁয়ে সবের্াচ্চ ব্লগারের তালিকায় আর হাসানের সেরা ব্লগার সংক্রান্ত পোস্টে যাদের নাম আছে তাদের লেখা । আমার লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো তেমন কোন যোগ্যতা নেই । পড়ে ভালো লাগার কথাটুকু শুধু বলতে পারি ।
আমার আসলে বাংলায় লিখতে পারার ব্যাপারটাই এত বেশী ভালো লেগেছে যে অন্য সবকিছুকেই অগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে । তবুও দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার ফলে মন্তব্য করার জন্যে পেটটা গুড়গুড় করছিল । তাই বসেই পড়লাম তবে কারো সাথে ঠ্যাংতোল-ঠ্যাংতোল করার উদ্দেশ্যে নয় । নির্মল আনন্দের উদ্দেশ্যে ।
প্রথমেই ভালো লেগেছে অমি রহমান পিয়ালের লেখা কি অকপটে তিনি বলে ফেলেন সবকিছু । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা গুলো তো রীতিমতো আর্কাইভে রাখার মতো । ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো খুব সহজে ভালো লেগে যাবার মতো একজন মানুষ ।
শোহেইল মতাহির চৌধুরী , অসাধারণ তার লেখার ক্ষমতা । একাধারে লিখেই চলেছেন অথচ মান নেমে যাচ্ছে না । আর বিষয় বস্তুর বৈচিত্র্যে ও তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন । ওনার সম্পর্কে মন্তব্য করতে আসলে ভয়ই লাগে ।
এম.হোসেইনের লেখা ভালো লাগেনি । বিরক্ত লেগেছে বলে গোটা 4-5 পড়ে বাদ দিয়েছি ।
সাদিক মোহাম্মদ আলমের লেখা মন ছুয়ে যায় । তার সঙ্গে এখানকার কারো লেখারই তুলনা চলে না । তিনি একটি স্বতন্ত্র স্ট্যান্ডার্ড।
হীরক লস্করকেও ভালো লেগেছে । বিষয় বৈচিত্র্যের দিক থেকে তার সঙ্গে শোহেইল মতাহির চৌধুরীর তুলনা করা চলে ।
শুভর সবকটি লেখাই পড়েছি । এই ভদ্রলোকও অসম্ভব সাবলীল ভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ।রসবোধও চমৎকার ।
ভড়কে গিয়েছি অপ বাক এর লেখা পড়ে । প্রতিটি লেখাতেই গভীরে যাবার প্রবণতা তার বৈশিষ্ট ্য । বিজ্ঞান তার পেশা খুব ভালোই বোঝা য়ায় । তার মতো লেখক এখন আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন । দেশে ভালো বিজ্ঞান লেখকের বড় অভাব ।
আড্ডাবাজের লেখা টাটকা বাতাসের মতো । বুক ভরে টেনে নেওয়া যায় । মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার একনিষ্ঠ ভালোবাসা লক্ষ্য করেছি প্রায় সবকটি পোস্টে ।
আসলে আমি যার লেখা পড়ে সবচাইতে অভিভূত তিনি হলেন মুখফোড় । একমাত্র তার লেখাতেই আমি আগাগোড়া একটা ব্যালানস লক্ষ্য করেছি । অসম্ভব রসিক লোক । একই সঙ্গে তার লেখা গুলো বাহুল্য বর্জিত ।
এই লাইনে মুখফোড়ের পরেই আসবেন হিমু । মানের দিক থেকে তিনি প্রায় তুলনা হীন । প্রচন্ড রসিক এবং সৃষ্টিশীল । ভ্রমণ কাহিনীগুলো , গল্প, কবিতা সবমিলিয়ে তার কোন লেখাকেই বাদদেওয়া যায় না ।
রাসেল... এর লেখাগুলোও ভীষন রকম মৌলিক । রসবোধ রীতিমতো ঈর্ষনীয় ।
হাবিব মহাজনের লেখা ভালো । তবে তেমন সুখপাঠ্য লাগেনি আমার কাছে । তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
শাওনের লেখা মজার । 18 বছরের টগবগে ভাব ফুটে ওঠে প্রতিটি লাইনে । তার হাত খুলে লিখে যাবার ব্যাপারটাও বেশ মজার ।
ওয়ালীর উত্তেজিত না হয়ে লেখা গুলো ভালো । কিছু কিছুু লেখায় মনে হয়েছে তিনি কারো উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে লিখছেন । তবে এমনিতে তার প্রকাশ ভঙ্গি ভালো লেগেছে ।
মারাত্মক ভালো লেগেছে শমিতের প্রতিটি পোস্ট । তার স্ট্যান্ডার্ড এতই উপরে যে আমার ন্মন্তব্য করতেই ভরসা হয় না । কবিতা তো তেমন বুঝিনা । কেবল ওই ভালো লাগা টুকুই ভরসা । শমিত বাবু গ্রেট ।
দীক্ষক দ্রাবিড়ের প্রথম পোস্টটি এই ব্লগের পাতার অন্তত আমি যতগুলো লেখা পড়েছি তার মধ্যে সবের্াত্তম । তারও পান্ডিত্যের আচ বোঝা যায় ।
সুমন চৌধুরীর কিছু কবিতা ভালো । ছোট ছোট চুটকি গুলোও ভালো । কিন্তু সিরিয়াস লেখার ক্ষেত্রে ভদ্রলোক একদিকে রওনা দিয়ে তারপর কোথায় যেন চলে যান ।
তেলাপোকার লেখা যথেষ্ট সাবলীল । মনে হয় ছোট কাগজ টাগজ করেন ।
ধূসর গোধুলীর লেখা অনেকটা রম্য রচনার মতো লেগেছে । প্রচুর আবেগ নিয়ে লেখেন ।
ধানসিড়ির লেখাও খুব আবেগপূর্ণ ।চারপাশের ছোট ছোট বিষয় আর নিজের ঘর এর প্রেক্ষিত নিয়ে তার লেখা গুলো ভালো ।
ব্রাত্য রাইসুর কথা আর কি বলবো । তিনি প্রতিষ্ঠিত লেখক । আকিয়ে হিসেবেও হয়তো তার মধ্যে কোন রকম বু্যৎপত্তি ঘটেছে । কিন্তু ছবি বুঝিনা বলে আমি সেই বিষয়ে কিছু বলবো না ।
আজ এই পর্যন্তই । যাদের নাম বাদ পড়লো তারা চটে উঠবেন না যেন । দ্্বিতীয় পরিক্রমাতেই তারা আসছেন । সবাইকে শুভেচ্ছা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০০৬ দুপুর ২:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




