২০০৭ সবে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বেড়াতে এসেছি চাচার বাসায়। এদিক সেদিক ঘুরা ঘুরি করে বেশ কিছু দিন কেটে গেল এর মধ্য কাকা এবং আমার বাবা বলেন তুমি কম্পিউটার এ ডিজাইন এর কাজ টা শিক্ষে ফেল অনেক দিন তো হাতে আছে রেজাল্ট দিয়ার আমার আবার কম্পিউপার শিক্ষার খুব ইচ্ছা আমি ও রাজি হলাম কাজ শিক্ষতে। কাজ শিক্ষতেছি বেশ কিছু দিন হয়ে গেল এর মধ্যে আমাদরে বাসার সবাই কোথাও ঘুরতে যাবে কিন্তু আমি জানিনা এই বিষয়টা আমার অজানা হটাৎ আমাকে আমার কাকি বলো আমার সবাই কক্সবাজার ঘুরতে যাব তুইও আমাদের সাথে যাবি আমি সুনেতো খুশিতে আত্তহারা আমার আর কাজে মন বসে না। আমি তখন কি করব ভেবে পাচ্ছিনা কবে যাব তা ঠিক জানিনা আমি আমার কাকির কাছে জান্তে চাইলাম কাকি বলো ৭ দিন পর। আমাদের যাওয়ার আর ৭দিন বাকি আমি আমার জন্য কিছু কেনা কাটা করা দরকার আমি ঢাকার শহরে তখন নতুন রাস্তা ঘাট তেমন চিনিনা কি কির আমার কেনা কাটা করার দরকার তখন আমি আমার বাবার কাছে থেকে কিছু টাকা নিয়ে আমার এক মামার সাথে বঙ্গ বাজার এসলাম একটা প্যান্ট আর একটা সার্ট আর কিছু টি শার্ট কিনার জন্য আর থ্রীকোয়াটার প্যান্ট সব কিছু কিনে বাসায় আসলাম কিন্তু কাজ এ কোন ভাবেই মন বসতেছিল না। আমার তো সাত দিন কাটতে ছিলনা সাত দিন মনে হচ্ছে সাত বছর আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ এইবার অবশেষে সেই মহেন্দ ক্ষন আমাদের সামনে আসল, আমরা সন্ধ্যা বেলা সবাই যে যার ব্যাগ গুছি য়ে নিলাম। সন্ধা ৭টার দি কে বাসা থেকে বাহির হলাম আমারা রিক্সা যোগে ফকিরাপুল গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম গাড়ির জন্য। আমরা এক পরিবার শুধু কক্সবাজার যাচ্ছি না আমাদের গাড়িতে আরও অনেকে যাবে তারা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে হাজির হল বাস এর অপেক্ষায় রাত ৯টার দিকে গাড়ি এসে থামলো মানিকগঞ্জ থেকে আমাদের গাড়ি টি পারিবারিক রিজাভ করা ছিল আমরা সবাই বাস এ গিয়ে সবলাম কিন্তু তখন ও সবাই এসে পৌছায় নাই আমরও অনেকে ই আমাদের সাথে কক্সবাজার যাবে তারা সকলই আমাদের পরিচিত (আমাদের পরিচিত এক নানা এই ভ্রমন আয়োজন করেছে টিকিট সিস্টেম) আমাদের পরিবার এর জন্য ৮টা টিকিট কিনেছিল। সকলে আসতে আসতে রাত তখন ১১টা বেজে গেলো অব শেষে আমাদের গাড়ি কক্সবাজার এর উদেশ্যে ছেড়ে দিল। আমার যে যার ছিট এ বসে আছি কেও ঘুমিয়ে গেল আমার ঘুম আসেনা অজানা এক উৎকন্ঠা কাজ করতেছে আমার ভিতর। সেই জন্য আমার ঘুম আসেনা তবে ঘুম ঘুম ভাব তাকিএ থাকতে পারতে ছিলাম না। গাড়ি চলতে ছিল রাস্তা কিন্তু রাস্তা খুব জ্যাম কাচপুর বিজ পাড় হতে অনেক সময় লেগে গেল বিজ পাড় হওয়ার পর আমাদের গাড়ি খুব বেগ এ ছুটছে এক টানা চলসে তো চলসে আবার থেমে গেল কুমিল্লা রোড এ সারা রাস্তা খুব জ্যাম গাড়ি মনে হয় চলছে না এই অবস্থা অনেক ক্ষন পথ চলার পর আমাদের গাড়ি রাস্তার পাসে এক হোটেল এ এসে থামল আমার নানা সবার উদেশ্যে বলো সবাই নেমে যান যে যার মত রাতের খাবার খেয়ে নাও রাস্তায় আর কােথাও গাড়ি থামানো হবেনা সোজা গাড়ি যাবে চিটাগাং আমারা সকলে গাড়ি থেকে নেমে হোটেল এ ঢুকলাম প্রথমে এ হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তার পর একটা টেবিল এ বসলাম হোটেল এ খুব ভির অয়েটার গুলি দৌর এর উপরে আছে তবু এক জনকে ডাকলাম ডেকে জান্তে চাইলাম কি আছে সে আমারদের যানালেন রুটি ভাত ডাল মাছ খাসি মুররগী গরু আমার মুরগীর গোস্ত আর রুটির অর্ডার দিলাম অনেক সময় পর আসল খাবার অল্প খেয় নিলাম কেন জানি খাবার খেতে ভাল লাগছিল না। ভিতরে ভিতরে একটা অজানা আনন্দ কাজ করছিল অজানা উদ্যেশে গন্তব্য আর খুশিতে মন ভরা ছিল মনে হয় পেট ও ভরা অল্প রুটি আর নান খেয়ে গাড়ি তে গিয়ে বসলাম। গাড়িতে বসে হটাৎ মনে পড়ল লং যাত্রা রাস্তায় পানি পিপাসা লাগতে পারে তাই পানি আনা দরকার গাড়ি থেকে মামা কে থেকে ডেকে বলাম মামা একটা চিপস আর এক বোতল পানি আন্তে মামা চিপস আর পানি নিয়ে আসল। আমি আমার সীট এ বসে চোখ বুঝে আছি আমার কাকি বল কিছু লাগবে কিনা আমি বলাম না। ও আমি যে সীট এ বসে আছি ডাবল ছিট আমি আর আমার চাচাতো ভাই সাগর । গাড়িতে উঠার অল্প কিছু ক্ষণ পর গাড়ি আবার কক্সবাজার এর উদ্যেশে ছেড়ে দিল। গাড়ি চলছে আমি গাড়িতে বসে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি কিছু ক্ষণ পর চিপস খাওয়া আরম্ভ করলাম তা ও ভাল লাগলনা ফেলে রেখে সীট এ মাথা রাখলাম ঘুম আসে কিনা কিন্তু ঘুম আসেনা সবাই ঘুমাইতেছে আমার চোখ এ শুধু ঘুম নাই তবু চোখ বন্ধ করে আসছি এই ভাবে কাটতে লাগল সময়। সারা রাত একটু ও ঘুমাতে পারলাম না। মাঝে মাঝে একটু ঝিমুনি আসতেছিল। খুব ভোর বেলা সূর্য মামা ঘুম থেকে ডেকে তুল্য, আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল মামার আলোতে। চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি অপূর্ব সুন্দর সকাল। আমার জীবনের অন্যতম সুন্দর ভোর আমার মনে হয় না আর এমন ভোর দেখেছি কারণ আমার প্রথম ভ্রমণ তাও আবার কক্সবাজার বলে কথা। চোখ এ সূর্য মামার মিষ্টি আলো এসে পড়ল আমার ঘুম এর ভাব কেটে গেল। আমি বাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখি কি অপূর্ব সুন্দর সবুজ প্রকৃতি, দেখে আমার ঘুম চোখ থেকে উদাউ। অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে বাহিরের দৃষ্য দেখতে লাগলাম অনেক ক্ষন পর আমরা কর্ণফুলি ব্রীজ পাড় হলাম। বিজ পাড় হয়ে আমাদের গাড়ি একটা খোলা জায়গায় কিছু ক্ষণ এর জন্য যাত্রা বিরতি করল আস পাস টা একটু ঘুরা ঘাড়ি করে আবার সবই গাড়িতে উঠে বসল আবার চলা শুরু করল অনক ক্ষন এই ভাবে চলারর আমারা চিটাগাং এর পাহাড় দেখতে পেলাম এই বার সবাই হই হুল্লাহ শুরু করল ঐ পাহাড় দেখা যা। আমি মন এর সুখ এ বাহিরের প্রকৃতি দেখতেছি আর প্রকৃতির শুধা প্রাণ করতে ছি আরও প্রায় দুই ঘন্টা পর আমার আমাদের প্রথম গন্তব্য "ডোলা হাজরা সাফারী পার্ক" দেখতে দেখতে এসে পৌঁছালাম পার্কে। গাড়ি থেকে সবাই যে যার মত নেমে গেলাম। আমরা গাড়ি থেকে নেমে প্রথম এ আমাদের যা দরকার তা হল হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হওয়া। আসে পাসে কোন পানির ব্যবস্থা নাই তাই একটু হেটে আমরা একটা মসজিদ এ গেলাম পানির সন্ধানে হাত মুখ ধুইতে হবে নাস্তা করতে হবে কিন্ত আসে পাসে পানির কোন ব্যবস্থা নাই। ঘুরা ঘুরি করে একটা মসজিদ পেলাম। মসজিদের পাসে অপূর্ক একটা ফুলের বাগান আর একটা টিউবয়েল ও আছে সবাই হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম আর পানি পান করলাম। এইবার ছবি তোলার পালা সবার এক এক করে ছবি তুলা হইলো। আমিও এক খানা তুললাম চারিদিক টা অপূর্ব সুন্দর পরিবেশ নিরজন শুধু পাখির ডাক কোন কোলাহল নৈই। নীরব শান্ত প্রকৃতি চরদিক অনেক ক্ষণ ঘুরা ঘারি করে।
আবার ফিরে আসলাম গাড়ির কাছে এসে দেখি কাকি আমাদের সবার জন্য নাস্তা বাহির করেছে। আমারা সবাই নাস্তা করতে বসে গেলাম তখন খুদায় পেট চো চো করছে আমার কাকি দেখি ঢাকা থেকে এক বড় হট পট এ করে গুরুর মাংশ ভুনা করে নিয়ে আসছে আর সিদ্ধ রুটি দেখে তো আমার ভিতর জুরিয়ে গেল সেই কখন একটু রুটি খেয়ে ছিলাম খাবার খেতে বসে গেলাম সবাই পেট ভোরে খেয়ে নিলাম দুপুর পর্যন্ত পেট এর জ্বালানী এর ভীতর আর খাওয়ার সময় পাওয়া যাবেনা। কারণ আমরা সবাই পিকনিক এ এসেছি সাথে আমাদের বাবুর্চি আছে সে রান্না করবে তার পর খাওয়া তো রান্না হতে অনেক সময় এর ব্যাপার তাই সবাই কে পেট ভোরে খেতে বলো কাকি। আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে খেতে বসে গেছি কিন্ত অন্যরা কি করবে কারন আসে পাসে কোন খাবার হোটেল নৈই একটা ছােট দােকান আছে রুটি কলা শুধু আছে আর কি করা তাই খাচ্ছে আবার অনেক দূরে গিয়ে কেও খাবার এর ব্যবস্থা করছে। আমারও আমাদের খাবার সময় বেশ কয় জন কে খেতে বলছি তারা ও আমাদের সাথে খেয়ে নিলো। খাওয়া দাওয়া শেষ এইবার আমার সবাই পার্ক এর গেট এর সামনে গেলাম তখনও গেইট খোলে না। অনেক ক্ষণ অপেক্ষার পর গেইট খোলার পর আমার কাকা সবার জন্য টিকিট কেটে নিল এইবার আমরা সবাই এক এক করে সাফারী পার্কে ডুকে পড়লাম।
চলবে......
পরের পরর্বে থাকে সাফারী পর্কের বর্ণনা
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮