অফিস থেকে প্রতি বছর ভ্রমণ প্রগাম করে থাকি এই বছর ও ভ্রমণ করেছি কিন্তু মনমত হয়নি খুব বেশি মানুষ ভ্রমণ এ গেলে মজা করা জায় কিন্তু নিজের মতকরে ঘুরা জায় না তাই অফিস ভ্রমন শেষ হওয়ার প্রায় ৩ -৪ মাস পরে আমি সবাই কে প্রস্তাব করলাম পূর্ণভূমি খ্যাত চায়ের সর্গ সিলেট যাব সাথে হযরত শাহাজালাল (র) এবং হযরত শাহ্ পরাণ (র) এর মাজার জিয়ারত করব আমরা প্রস্তাব এ সবাই রাজি হলো কিন্তু সবাই আমাকে প্রশ্ন কলো সময় কোথা বন্ধ নেই আমি বলাম যে আমরা একদিন এর সফর করব সবাই অবাক এক দিন এ কি দেখব কোথায় যাবো আর অনেকে বল্লো এক দিন হলে যাবোনা আমি অনেক যুঝানোর চেষ্ঠা করলাম কিন্তু রাজি না অনেকে কিন্ত আমি যখন আমার পুরো প্ল্যান বুঝালাম যে আমরা প্রথম এ বৃহস্পতি বার অফিস শেষ কররে রাতের ট্রেন এ উঠবো খুব সকালে আমরা প্রথম এ ট্রেন থকে নেমে হযরত শাহাজালাল (র) এবং হযরত শাহ্ পরাণ (র) এর মাজার জিয়ারোত করবো তার পর আমরা জিয়ারোত শেষ করে ওখান থেকে আমরা চলে যাব সিলেট জাফলং এ সারা দিন জাফলং এ ঘুরে চা বাগান দেখে আবার রাত এর ট্রেন এ ঢাকা আসব ভোর বেলা সবাই বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে অফিস করব আমার সম্পূর্ণ প্লান শুনে সবাই রাজি এবাইর সবাই কে আমি বিস্তরিত খরচ বুজিয়ে দিলাম এইভাবে কুছুদিন সময় কেটে গেলো ইতি মধ্যে আমাদের ম্যানেজার সাহেব বল্লো যে সিলেট আমাদের সাবেক এক কর্মকতা আছে তাকে ফোন করে দেখি কোথায় আছে ফোন করে দেখলাম ঢাকাতে আছে তাকে অফিসে আসার দাওয়াত দিলাম বেশ কয় দিন পর সে আমাদের অফিসে এসে হাজির হলো আমার আমাদের সমস্ত প্লান তার সাথে আলোচনা করলাম সে আমাদের বলো আমার বাড়ি সিলেট কিন্ত আমার খুব একটা জাফলং এর ঐদিকটাতে যাওয়া হয়না তবে আপনাদের সাথে যেতে পারলেতো কথাই নৈই সেও যেতে রাজি এইবার কিভাবে যাবো কোথায় যাব বিস্তারিত সব আলাপ আলোচনা সেরে সবার মতামত নিলাম কিন্ত এককেজনের একএকমত সর্বশেষ আমরা ৪জন যেতে রাজি হলাম সবাই মিলে বাজেট হিসাব করে তাকে কিছু টাকা দিলাম ট্রেন এর টিকিট কাটার জন্য সে আমাদের জানালো যে সিলেট এর টিকিট আগে কাটতে হবে না হলে ভালো মানের টিকিট পাওয়া যাবে না তাই আমরা ৫দিন আগে তাকে টাকা দিয়ে টিকিট কাটার জন্য পাঠালাম এই ভাবে ৩ দিন কেটে যাওয়ার পর একদিন আমাদেরকে ফোন করে সে জানালো টিকিট কনফাম আমাদের টিকিট ২৩/০৩/২০১৭ তারিখ বৃহস্পতি রাত ১০টায় আমাদের সবাই কে ব্যগ গুছিয়ে রাখতে রল্লো আমরা সবাই খবর টা পেয়ে যে যার মতো করে গুছিয়ে রাখলাম যদিও ১দিন এর ব্যাপার তবুও কিছু কাপড়তো সাথে নিতেই হবে যেহেতু আমরা জাফলং যাচ্ছি সেখানে গেলে গোসুল করার ব্যপার আছে আর বিপদ এর কথাতো বলা যায় না অবশেষে কাঙ্খিত দিন আসলো আমরা অফিস শেষ করে সবাই কে যানিয়ে দিলাম আমরা সিলেট যাচ্ছি যদি কোন সমস্যা হয় তবে যেন ফোন করে আমাদের জানায় ২৩/০৩/২০১৭ তারিখ বৃহস্পতি রাত ৬টায় আমরা অফিস থেকে বাহির হলাম যে জার বাসার উদ্যেশে আমি বাসায় গিয়ে গোসোল সেরে খুব তারা তারি বাহির হলাম কিছু না খেয়েই আমি রাস্তা এসে শুনি এখনও ম্যানেজার সাহেব এর হনি সে বাসায় খাওয়া দাওয়া করতেছে আমি ১ঘন্টা অপেক্ষা করতেছি রাস্তাতে তবু তার খবর নেই এই অবস্থা দেখে অন্যোদের ফোন দিলাম সবাই তৈরী কিন্তু আমাদের ম্যানেজার সাব এর খবর নৈই শেষে রেগে ফোন করলাম আমি কি বাসায় চলে যাবো নাকি? তখন আমাকে ম্যানেজার সাহেব বল্লেন যে আপনি রিক্সা করে ষ্ট্রেশনে চলে যান আমরা সিএনজি করে আসতেছি তখন বাজে ৯:১০মিঃ আমি একটা রিক্সসা করে খুব তারাহুরা করে কমলাপুর এর উদ্যেশে রওনা হলাম কিন্তু রাস্তায় এতো জ্যামযে যেতে আমরার অনেক সময় লেগে গেলো আমি পৗেঁছে দেখি ৯:৪০ বাজে আর আমাদের ট্রেন ৯:৪৫ মিঃ এ বলে রাখি এইটা আমার প্রথম ট্রেন ভ্রমণ আমি এমনিতে উৎসক আমার ভিতরে অন্যরকম এক উত্তেজনা কাজ করতেছে আমি ষ্ট্রেশনে এসে ফোন করলাম ফোন ধরে বলতেছে আমরা এখনও পৗেছাতে পারিনি আপনি দেখেন যে ট্রেন ছেড়েছেকিনা আমি বলাম আমিতো নতুন আমি কিকরে দেখব আর এখন বাজে ৯:৪০মিঃ তারা বল্লো আপনি অনুসন্ধান এ গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন আমি আর কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না আর ঘরির সময় দেখে ও ভিষন রাগ লাগতেছিল আমি অনুসন্ধান এ গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সেই ব্যক্তি আমাকে জানালু দেখুন প্লাটফমে গিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেছেকিনা দৌর দিন আর আমিতো কোন দিন ট্রেন ভ্রমন করিনি আমি প্রথম কমলাপুর ট্রেন ষ্ট্রেশন এ গেলাম কিছুই চিনি না তবু মানুষ এর সাহায্য নিয়ে প্লাটফর্মে গিয়ে দেখি ট্রেন ছেড়ে গেলো এই মাত্র বিধি বাম কি আর করা ট্রেন ছাড়ার অল্পকিছু ক্ষণ পর সবাই এসে হাজির আমিতো সবার উপর ভিষন রেগে আছি তাদের জন্য ট্রেন মিছকরলাম রাগ করে সবাই কে বল্লাম বাসায় চলে যাব আমি ষ্টেশন থেকে রাগারাগি করে বাহির হলাম সবাই আমাকে সান্তো করার চেষ্টা করছে আমি কিছুই বল্লাম না চুপ করে আছি সিলেটের ঐ ভাই বল্লো ট্রেন ছেড়ে গেছে তোকি হইছে আমরা বাস এ যাব কিন্তু আমি কিছুতেই মানছিনা কেননা আমি কোন দিন ট্রেন এ উঠিনাই তাই আমার ট্রেন এ উঠার খুব ইচ্ছা ছিল তা যখন হয় নাই আর প্রথমই বাধা হয়ছে তাই আর এখন সিলেট যাবোনা সবাই খুব করে আমাকে বুঝাচ্ছে আমি নাছর বান্দা কারও কথা মানছিনা সর্ব শেষে আমার সিনিয়ার ভাই আমাকে বল্লো দেখেন যদি আপনি না যান তবে কারও যাওয়া হবেনা। তবে সবার কথা চিন্তা করে আমি অবশেষে রাজি হইলাম বাস এ সিলেট এ যাওয়ার জন্য। কি করা যায় তো সিলেটের ভাই বল্লো আমরা গ্রীন লাইন এর গাড়িতে চলেন যাই গাড়িও ভাল আর গিয়ে অনেক আরাম পাবো। আমি বল্লাম চলেন তাহলে এর পর ২টি রিক্সা নিয়ে আমরা গ্রীন লাইন এর কাউন্টার গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সিলেট এর গাড়ি কয়টায় আছে কাউন্টার থেকে বল্লো ১২:৩০ মিঃ এ আমরা ৪টি টিকিট ক্রয় করে কাউন্টার এর অয়েটিং রুমে বসে রইলাম আমাদের মত আরও অনেক মানুষ বসে আছে। আমরাও বসে রইলাম সময় আর যায়না কি করবো আমি আর সিলেটের ভাই মিলে বাহিরে বের হইলাম সন্ধা হইতে কিছুই খাওয়া হয়নাই তাই কিছু খেতে আর বাস এ খাওয়ার জন্য কিছু কিন্তে বহির হতে অনেক গুলি চিপস্ কিনলাম আর সাথে পানি এই নিয়ে আবার কাউন্টার এ বসে রইরাম সময় আর যায় না কি করব মোবাইল চারর্জদিলাম অবশেষে এলো কাঙ্খিত ক্ষণ কাউন্টার এ মাইকে এলাউন্স কল আমাদের গাড়ি নং আমরা সবাই টিকিট দেখে গাড়িতে উঠে পড়লাম।
আমাদের গাড়ি গন্তবের দিকে রাওনা হইল আমরা সিটে বসে আছি।
অনেক ক্ষণ কেটে গেলো আমরা ঢাকার রাস্তা ছেড়ে সিলেট রুট এ ডুকলাম গাড়ি খুব স্পিডে চলছে আমাদের গাড়ি এসি করা কম্পল দিয়ে দিয়েছে আমরা কম্পল গায়ে দিয় দিলাম সবাই ঘুমিয়ে পড়ল আমরা ঘুম আসেনা আমি আর আমার সিলেটের ভাই আস্তে আস্তে গল্প করতে লাগলাম কোথায় যাব সিলেটে চা বাগান দেখা যাবে কিনা আমাদের ঘুরার মধ্য আরও অনেক কিছু আর খেতে ছিলাম সাথেকরে আনা চিপস্ কিযে ভাল লাগতে ছিল বলে বুঝানো যাবেনা।
এই ভাবে আমাদের সময় কেটে যেতে লাগলো একটু ঘুম এর ভাব আসেতেই এর মধ্যে গাড়ি একটি হোটেলে এসে থামলো আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম হাতমুখ ধুয়ে আমরা হোটেলের টেবিল এসে বসতে অয়েটার এসে জান্তে চাইলো কিখাব আমরা কফির অর্ডার করলাম কফি খেয়ে আবার গাড়িতে উঠে বসলাম আবার গাড়ি গন্তবের দিকে রওনা হইল আবার একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম আসলোনা তবু ঘুম এর মত পড়ে রইলাম অনেক সময় পার হওয়ার পর আমার চোখ এ ভোর এর আলো এসে পড়ল ঘুম এর ভাব আস্তে আস্তে কেটে গেলাে আমি জানালা থেকে পর্দা টেনে দিলাম আজকের ভোর টা আমার কাছে অন্য রকম আলো জলমলে আর আমার মনটাও বেশ ভাল লাগলো নতুন জায়গা দেখছি আরও নতুন কিযে অপেক্ষা করছে জানিনা ভাবতেই মনটা আনন্দে নেচে উঠলো বাহিরে তাকিয়ে আছি আমি সিলেটের ভাই কে জিজ্ঞাসা করলাম আর কতক্ষন লাগবে সে জানালো এইেতো অল্প সময় এর মধ্যে পৌছে যাব।
উঠে আর মোড়া ভেঙ্গে বসলাম কিছু ক্ষণ এর মধ্যে আমাদের বাস কাউন্টার এর সামনে এসে থামল আমরা আস্তে আস্তে বাস হইতে নেমে পড়লাম। বাস থেকে নেমে প্রথমে আমরা কাউন্টার এর রুম এ কিছি ক্ষণ বসে থেকে ফ্রেশ রুম থেকে আমাদের জরুরী কাজ সেরে আবার সিলেটের রাস্ত এসে দারিয়ে সিএনজি দর দাম করলাম আমাদের প্রথম গন্তব্য হযরত শাহাজালাল (র) এর মাজার পরের পর্বে থাক বে সেই গল্প আর সাথে অনেক অনেক ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬