somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম সবুজ শ্যামল মুন্সিগঞ্জের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান

২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের আলু উৎপাদনকারী জেলাগুলোর নাম করলে সবার আগে আসে মুন্সিগঞ্জের নাম। ঐতিহাসিক এ জেলাটি আরো বিখ্যাত এর অনেক ছোটবড় পুকুর আর বড় বড় দীঘির কারনে। গত ২৬শে মার্চ আমি আর আমার দুই কলিগ-বন্ধু মিলে ঘুরে আসলাম মুন্সিগঞ্জ। সকাল সাড়ে আটটায় বের হয়ে গেলাম গুলিস্তান। রাজধানী হোটেলে নানরুটি, সবজি আর খাসীর ভুনা দিয়ে নাস্তা সারলাম। এটাও হোটেল স্টারের মালিকের আরেকটি রেস্টুরেন্ট। স্টার নিয়ে আরেকদিন লেখার ইচ্ছা আছে। আজ মুন্সিগঞ্জ ট্যুর নিয়ে লিখবো। মুন্সিগঞ্জ সম্পর্কে আমার এই লেখা ছাড়াও জানতে পারবেন বাংলাদেশ সরকারের এই সাইট থেকেঃ

http://www.dcmunshiganj.gov.bd/

মুন্সিগঞ্জের বাসগুলো ছাড়ে গুলিস্তান হলের পাশ থেকে, গুলিস্তান থেকে ইত্তেফাক মোড়ের দিকে যে রাস্তাটা গেছে ওখানে। বেশ কিছু কাউন্টার সার্ভিস আছে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জঃ

১। মুন্সিগঞ্জ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির বাস (এদের বাসের কন্ডিশন এবং সার্ভিস সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এই বাসগুলো যায় শ্রীনগর এবং সিরাজদিখান হয়ে)

২। দীঘিরপাড় ট্রান্সপোর্ট (এরা যায় নারায়ণগঞ্জ হয়ে। বাস ভালো কন্ডিশনের হলেও সার্ভিস খুবই খারাপ। আর নারায়ণগঞ্জ হয়ে রুটটাও খারাপ)

৩। ঢাকা ট্রান্সপোর্ট (এদের বাসের কন্ডিশন দেখে টিকেট ফেরত দিয়ে চলে এসেছিলাম)

আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির বাসে টিকেটের দাম ৬০ টাকা, অন্যগুলো ৫০ টাকা করে। কেউ আরামে ভ্রমণ করতে চাইলে আমি এই বাসেই যেতে বলবো। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ যাবার রাস্তাটা মোটেও সুবিধার না। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা আর মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর দু’টিই বিসিক নগরী। সুতরাং রাস্তার কী হাল তা বোঝাই যাচ্ছে।


সে তুলনায় গুলিস্তান-পোস্তগোলা ব্রীজ-শ্রীনগর-সিরাজদিখান-হাতিমারা হয়ে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথ হাজারগুণে ভালো। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ধরে শ্রীনগর পর্যন্ত তো বিশ্বরোড। তারপর শ্রীনগর থেকে ভেতর দিয়ে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার রাস্তাটা সরু হলেও ভাঙ্গাচোরা তেমন নেই বললেই চলে। আর দু’ধারে খালি সবুজ আর সবুজ।


মুন্সিগঞ্জ সদরে পৌঁছাতে সময় লাগলো পৌনে দুই ঘণ্টা। আমাদের টার্গেট ছিলো যত অল্প সময়ে যত বেশী দেখা যায়। সদরে নেমেই আমরা রওনা হলাম ইদ্রাকপুর কেল্লার দিকে। ইদ্রাকপুর কেল্লা সদরের খুব কাছেই, পুরাতন কাচারীপাড়া রোড থেকে হাতের বামে গিয়ে মুন্সিগঞ্জ সরকারী হাইস্কুল পার হলেই এখানে পৌঁছে যাবেন।


১৬৬০ সালে মুঘল সেনাপতি মীর জুমলা এখানে মগ আর পর্তুগীজদের আক্রমণ ঠেকাতে এই দূর্গ নির্মাণ করেন। এটার আরেকটা নাম জলদূর্গ। কারন এর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এর চারপাশের পানিবেষ্টিত পরিখা।


দূর্গের মাঝখানে একটি উঁচু দূর্গবাড়ি, যার চারপাশের পানির পরিখাগুলো এখন শুকিয়ে গেছে। হাজীগঞ্জ দূর্গের মতো এর চারপাশের দেওয়ালেও কামান বসানোর জন্য অসংখ্য খোপ রয়েছে। বিশেষত একমাত্র পানির পরিখা আর আকার ছাড়া হাজীগঞ্জ দূর্গের সাথে এর তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। হাজীগঞ্জ দূর্গে যেতে হলে নারায়ণগঞ্জ সদরে যেতে হবে, যাইহোক।




সিঁড়ি ভেঙ্গে ওপরে উঠলাম। উঠে হতাশ হলাম। বাড়ীটার সংস্কার বা সংরক্ষণের বিন্দুমাত্র চেষ্টাও বোধহয় করা হয়নি। বাড়ীটা ভেঙ্গেচুরে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যে কোন মুহূর্তে পড়ে যাবে। তারই মধ্যে দেখলাম এক পরিবার দিব্যি বসত গড়ে নিয়েছে। আর বাকী যে জায়গাটুকু আছে তা অল্পবয়স্ক প্রেমিকযুগলের চাহিদা বেশ ভালোভাবেই মিটিয়ে চলেছে।








দূর্গের ভেতরে কিছু অংশ এখন জেলখানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের একটা শাখা অফিস রয়েছে এখানে। ওইটুকু বাদ দিলে যে জল আর সবুজ তা-ই এলাকার শিশু-কিশোরদের লাফালাফি দাপাদাপি জলকেলি আর খেলার জায়গা।








মোটামুটি হতাশ হয়ে বের হয়ে আসতে হলো দূর্গ থেকে।

ওখান থেকে কাছেই বিখ্যাত হরগঙ্গা কলেজ। মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার ধীপুর ইউনিয়নের এক মহাপ্রাণ ব্যক্তি শ্রী আশুতোষ গাঙ্গুলী এই কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তৎকালীন বেশ কিছু পৃষ্ঠপোষক ব্যক্তির সহায়তায় ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ। এঁদের মধ্যে আছেন আইনজীবি সতীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ভাগনে ও জামাতা মহকুমা হাকিম এ এইচ এম ওয়াজেদ আলি প্রমুখ। শ্রী আশুতোষ গাঙ্গুলীর পিতা শ্রী হরনাথ গাঙ্গুলী এবং মাতা গঙ্গামনি দেবীর নাম মিলিয়ে কলেজের নাম রাখা হয় হরগঙ্গা কলেজ। কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।


এ কলেজ সম্পর্কে আরো জানতে হলে পড়ুন এই লেখাটিঃ

Click This Link

প্রায় শতবর্ষজীবি এ কলেজের ক্যাম্পাসটা অনেক সুন্দর লেগেছে। জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্মভূমি এ জেলায় তাঁর নামে একটি বিজ্ঞান ভবনের নামকরণ দেখে ভালো লাগলো। অন্যান্য বিভাগ আর অনুষদের জন্যও আলাদা ভবন রয়েছে। সবচেয়ে ভালো লাগলো রোভার স্কাউটদের উদ্যমী অংশগ্রহণ দেখে।






কলেজের একাডেমিক ক্যাম্পাসের পাশেই ছাত্রাবাস। পুরাতন ছাত্রাবাসটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাবার পর নতুন একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছে। তবে পুরোনোটির দরকারী সংস্কার করে এটিকে একটি দর্শনীয় স্থান বানানো যেত। এর স্থাপত্যশৈলী মুগ্ধ করবে যে কাউকে।




ছাত্রাবাসের সামনেই বিশাল পুকুর। পুকুরে ছাত্রদের গোসলের দৃশ্যটা বড়ই মনোরম। পুকুরে এমনকি নৌকার ব্যবস্থাও আছে। জাল ফেলে মাছও ধরা হচ্ছে দেখলাম।



হরগঙ্গা কলেজ থেকে গেলাম মুন্সিগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে। তখন অবশ্য মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল।




ওখান থেকে আমাদের যাবার পরিকল্পনা অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত বজ্রযোগিনী গ্রাম। বজ্রযোগিনী গ্রামের নামকরণ নিয়ে কিছুটা মতান্তর রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট শেরশাহের যুদ্ধের সময় পরাজিত এক হিন্দু রাজা বরজ নামে এক মেয়েসহ এই গ্রামে বসবাস করতে আসেন। এই মেয়ে পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে এই মেয়ে বরজ সন্ন্যাসীনী বা যোগিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কথিত আছে, এই সন্ন্যাসীনী তার অনুসারীদের নিয়ে সপ্তাহে একদিন প্রায় সাত মাইল দূরে মুন্সীগঞ্জের ঘাটে এসে স্নান করতেন। এক সময় এই ঘাট পরিচিতি পায় যোগিনী ঘাট হিসেবে। বরজ নামটি কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে বজ্র হয় এবং সেই অনুসারে গ্রামটির নাম হয় বজ্রযোগিনী।



আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে করতে অবশেষে একটি সিএনজি বেবিট্যাক্সি রিজার্ভ করলাম আমরা। বজ্রযোগিনী পৌঁছে যেটুকু পেলাম তা আমাদের এতো সাধনার তুলনায় যথেষ্ট ছিলো না। কয়েকশো বছর ধরে শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকরের এই ভিটা, যেটি স্থানীয়দের কাছে “পণ্ডিতের ভিটা” নামেই বেশী পরিচিত, অনাদরে পড়ে ছিলো। এইতো মাত্র কয়েক বছর আগে তাঁর জন্মসহস্রবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এখানে একটি মঠ নির্মাণ করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিফলক।



মঠটির সমস্ত কারুকাজ করা হয়েছে মার্বেলে। মঠের সামনে দু’টো মার্বেল পাথরের ড্রাগন, ওদের থাবার নীচে নিয়ে দু’টো গোলক। যদিও ওগুলোর মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারিনি, তবে আমার কাছে মনে হয়েছে ওগুলো পৃথিবীর রূপক।


মঠের এক কোনায় একটি পাথরে সাজানো ফোয়ারা আছে, আর আছে কিছু ফুলগাছ, চীনা বাঁশ (খুবই চিকন, বেঁটে আর ছোট) আর কিছু কলাগাছ। কোনোরকম দেখভাল ছাড়াই পড়ে আছে জায়গাটি। আশেপাশের বাড়ির লোকজন এখানে বসিয়েছে পোলট্রি খামার, মঠের উন্মুক্ত জায়গাকে ব্যবহার করছে বীজ আর খড় শুকানোর জন্য। অথচ শ্রীজ্ঞানের জন্মদিনে সুদূর চীন, তিব্বত, নেপাল আরো অনেক দেশ থেকে অনেক সুধীজন এসে এই গ্রামটাকে একবার দেখে যান, পণ্ডিতের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করে যান। সরকার কি কিছু করবেন? করার মধ্যে দেখলাম অতি সম্প্রতি অতীশ দীপংকরের নামে পাশেই একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।








পণ্ডিতজী সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার আর্টিকেলটি পড়ুনঃ

Click This Link



বজ্রযোগিনী থেকে ফেরার পথে ঘুরে আসলাম পুলঘাটা। জায়গাটা অবাক করে বটে। চুন আর সুরকির একটা পুল, তিরিশ-চল্লিশ ফুট লম্বায়, সেটা ওয়াটার লাইন থেকে প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচু—চিন্তা করা যায়?


পুলটা কখন তৈরি হয়েছে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারলেন না। তবে এক বয়োবৃদ্ধ জানালেন, রাজা বল্লান সেন এমনকি রাজা হরিশ্চন্দ্রের আমলেও এই পুল ব্যবহার হয়েছে।



এরপর আবার ফিরে আসলাম শহরে। ততক্ষণে বেলা পড়ন্ত, ক্ষুধা বাড়ন্ত, শরীর ক্লান্ত, মন শ্রান্ত। কিন্তু খাই কোথায়? একে জিগাই, ওরে শুধাই, ওই ছোট শহরে খাবার একটা জায়গা খুঁজে পাই না। উপায়ান্তর না দেখে ফোন পর্যন্ত করলাম কয়েকজনকে। শেষে এক লোক বুদ্ধি দিলো ধলেশ্বরীর ঘাটে নাকি ভালো হোটেল আছে খাওয়ার। নে বাবা, তোরা এখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমা, থুক্কু, ধলেশ্বরী যা।

গেলাম! দেখলাম! এবং ধরা খেলাম!
শালার হোটেল বলতে যা আছে তা হলো দুনিয়ার তাবৎ নৌবন্দরে খালাসীদের যে হোটেল থাকে সেইসব। তা-ই সই। ক্ষুধার জ্বালায় প্রাণ বাঁচে না। আমার আবার বিভিন্ন ঘাটের রান্নাতে ব্যাপক তুষ্টি, যখনই কোনো নদীর ঘাটে গিয়েছি, খেয়েছি, এবং তৃপ্ত হয়েছি। এবারও তার ব্যাত্যয় হলো না। মুরগীর ঝাল ঝোল দিয়া আচ্ছা করে খেলাম।

পেটপূজার পর এবার ফেরার পালা। সহযাত্রী স্বপন বললো লঞ্চে সদরঘাট চলে আসবে কি না! ঘাটে খোঁজ নিলাম, সদরঘাটের লঞ্চ আসতে অনেক দেরী। তাই অপেক্ষা না করে বাসেই চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। তার আগে কিছুক্ষণ ধলেশ্বরীর প্রাণ জুড়ানো বাতাস খেয়ে আর ঘাটে-ভেঁড়া লঞ্চের ছবি তুললাম মন ভরে।







আবার মুন্সিগঞ্জ সদর বাসস্ট্যান্ড। এবারে টিকেট কাটা হলো দীঘিরপাড় ট্রান্সপোর্ট-এর। তখন কে জানতো ভাগ্যে আছে এই দুর্গতি। শালার বাস শ্রীনগরের রুট না ধরে ধরলো মুক্তারপুর ব্রীজ-ফতুল্লা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুট। তবে ভাগ্যিস, যা ভেবেছিলাম, রাস্তাটা অতটা খারাপ না। তবে মুক্তারপুর আর ফতুল্লা দুই দুইটা বিসিক নগরী দিয়ে আসাটা মোটেও স্বাস্থ্যকর মনে হয়না আমার। তার ওপর আবার অফিসের দিনে এই রুটের যানজট আনপ্রেডিক্টেবল। গুলিস্তানে পৌঁছাতে সময় লাগলো দুই ঘণ্টা। সবচেয়ে বেশী সময় নষ্ট হয়েছে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের কারনে। গুলিস্তান থেকে সোজা বুয়েটে এসে ফ্রেশ হয়ে এই লেখা লিখতে বসেছি।

খুব সংক্ষেপে যদি বলতে যাই, মুন্সিগঞ্জ ঢাকার কাছে হয়েও অতটা শহুরে নয়, এবং খুবই ছোট। আর এ জেলার অন্য থানা সদরগুলোর তুলনায় জেলা সদরের প্রাধান্যটা তেমন প্রকট নয়। বিসিক এলাকা বাদ দিলে অন্য সব জায়গায় আবহাওয়া চমৎকার। মানুষজনের ব্যবহার ভালো লেগেছে। শ্রীনগর থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটা খুবই সরু। যদিও এখন যানবাহনের চাপ খুবই কম, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এ সরু রাস্তায় চলবেনা।

হাজারো কৃতি সন্তানের জন্ম এই মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের মাটিতে। বলা হয়ে থাকে “বিক্রমপুরের ইতিহাস শুধু একটি পরগনার ইতিহাস নহে, ইহা বঙ্গেরই ইতিহাস।” শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর, বীর সাঁতারু ব্রজেন দাস, শ্রদ্ধেয় স্যার ডঃ হুমায়ুন আজাদ, ঔপন্যাসিক মানিক বন্দোপাধ্যায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, কবি বুদ্ধদেব বসু, ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, অভিনেতা আব্দুল জব্বার খান, উদীচী সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি বিপ্লবী, সাহিত্যিক, শ্রমিক সংগঠক সত্যেন সেন, রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়, মীর জুমলা, ১১ নম্বর সেক্টর কমাণ্ডার হামিদুল্লাহ খান, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদ এবং এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরি, পণ্ডিত দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি, বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার পথিকৃত, বুয়েটের প্রাক্তন উপাচার্য, কেমিকৌশল বিভাগের গর্ব অধ্যাপক এম এ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দীন আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল—এতো স্মরনীয় বরণীয় ব্যক্তিত্বের জন্ম যে বিক্রমপুরের উর্বর জমিতে, সে এলাকা চাক্ষুস করে দেশভ্রমনের দরকারী একটা অধ্যায় সম্পন্ন করলাম বলেই মনে করছি। সাথে বন্ধু নাইম আর অনুজপ্রতিম কলিগ স্বপন সারাটা দিন রোদে পুড়েছে, প্রানবন্ত সঙ্গ দিয়েছে, ওদেরকে হৃদয় থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৯
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×