somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শূন্যের গুনিতক
ছোট বেলায় বাংলা ছবির খুব একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম, আমাদের বাংলা ছবিগুলাতে নায়কদের উপস্থাপন করা হয় মোটামূটী দাগি টাইপের ভিলেনের সাঝভঙ্গিতে, শূধু আমাদের দেশে যে এই কালচার তা কিন্তু না, হলিউড, বলিউড সকল ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রীতি পালন করা হয় নায়কদের উপস্থ

রোগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তারকে ডাকা হইল

১২ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লাভ টা কি হল? কোচিং সেন্টার গুলার ঠিকই তাদের টাকা নিল, কত হাজার হাজার বাবা মা সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় কত কষ্ট করে সন্তানকে ভর্তি করল মেডিকেল কোচিং এ, তাদের পকেট ভর্তি হওয়ার পরে ই কেনো নীতিমালা করলেন? কোচিং বানিজ্য বন্ধই যদি হয় লক্ষ্য তবে কেনো বানিজ্য হওয়ার আগেই নয়?? গতবছর এটা সিদ্দান্ত দেওয়া হলে এই বছর শিক্ষার্থী রা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখত, এখন এই নীতিমালা করে লাভ কি???

তবে আমার মতে শুধুমাত্র এই বছরের ক্যান্ডিডেট বাদে আগামীর জন্য এটা ভাল উদ্দ্যেগ। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির সময় ও এরকম ব্যাবস্থা করে দেওয়া উচিত। তাহলে যেসব দূর্ভাগ্যের সিস্টেমে বাদ পড়া প্রকৃত ব্রিলিয়ান্টগন অন্য কোন ক্ষেত্রে নিজেকে তথা সমগ্র সিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নিজের জন্যই। এতে করে ভবিষ্যত তরুন প্রজন্মের হতাশা মনে হয় লাঘব হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার শুধু নয়, নিজের যোগ্যতা বলে যেকোন ক্ষেত্রেই সু প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এবং দেশ, জাতির সর্বপরি নিজের উন্নতি সাধন করা যায় এই ধারনাটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া জরুরী। আমার দেখা মতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে খ্যাতি পাওয়া সুপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশীদের মাঝে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যার চেয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করা বাংলাদেশীর সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে তাকালে দেখা যায় সেখানে কত শত বিষয়ে নিজেদেরকে সুশিক্ষিত করে তুলছে তরুন প্রজন্ম, তাদের মাঝে হতাশার পরিমান কম। তারা জানে যে সুযোগ শেষ হয়নি, হওয়ার নয়। তাই দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজেদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাতে পারে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় সায়েন্স এর জন্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা কমার্সের জন্য বি বি এ ব্যাতিত অন্য কিছু বলতে গেলে চিন্তাই করতে পারেনা সাধারন মানুষ। এই বলয় থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের গন্ডি থেকে বের করে তরুন প্রজন্মকে উচিত একটা স্বকীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা। যেই শিক্ষাতে আর কিছু না হউক, মনোবল টিকিয়ে রাখার শিক্ষা তারা পাবে, নতুন কিছু করার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রেরিত হতে পারে। হউক সেটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাবসায়ী অথবা অন্য যে কোন ক্ষেত্রে......
(এটা একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত, ছোট মাথার ছোট চিন্তা)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×