লাভ টা কি হল? কোচিং সেন্টার গুলার ঠিকই তাদের টাকা নিল, কত হাজার হাজার বাবা মা সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় কত কষ্ট করে সন্তানকে ভর্তি করল মেডিকেল কোচিং এ, তাদের পকেট ভর্তি হওয়ার পরে ই কেনো নীতিমালা করলেন? কোচিং বানিজ্য বন্ধই যদি হয় লক্ষ্য তবে কেনো বানিজ্য হওয়ার আগেই নয়?? গতবছর এটা সিদ্দান্ত দেওয়া হলে এই বছর শিক্ষার্থী রা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখত, এখন এই নীতিমালা করে লাভ কি???
তবে আমার মতে শুধুমাত্র এই বছরের ক্যান্ডিডেট বাদে আগামীর জন্য এটা ভাল উদ্দ্যেগ। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির সময় ও এরকম ব্যাবস্থা করে দেওয়া উচিত। তাহলে যেসব দূর্ভাগ্যের সিস্টেমে বাদ পড়া প্রকৃত ব্রিলিয়ান্টগন অন্য কোন ক্ষেত্রে নিজেকে তথা সমগ্র সিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নিজের জন্যই। এতে করে ভবিষ্যত তরুন প্রজন্মের হতাশা মনে হয় লাঘব হবে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার শুধু নয়, নিজের যোগ্যতা বলে যেকোন ক্ষেত্রেই সু প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এবং দেশ, জাতির সর্বপরি নিজের উন্নতি সাধন করা যায় এই ধারনাটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া জরুরী। আমার দেখা মতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে খ্যাতি পাওয়া সুপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশীদের মাঝে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যার চেয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করা বাংলাদেশীর সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে তাকালে দেখা যায় সেখানে কত শত বিষয়ে নিজেদেরকে সুশিক্ষিত করে তুলছে তরুন প্রজন্ম, তাদের মাঝে হতাশার পরিমান কম। তারা জানে যে সুযোগ শেষ হয়নি, হওয়ার নয়। তাই দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজেদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাতে পারে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় সায়েন্স এর জন্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা কমার্সের জন্য বি বি এ ব্যাতিত অন্য কিছু বলতে গেলে চিন্তাই করতে পারেনা সাধারন মানুষ। এই বলয় থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের গন্ডি থেকে বের করে তরুন প্রজন্মকে উচিত একটা স্বকীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা। যেই শিক্ষাতে আর কিছু না হউক, মনোবল টিকিয়ে রাখার শিক্ষা তারা পাবে, নতুন কিছু করার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রেরিত হতে পারে। হউক সেটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাবসায়ী অথবা অন্য যে কোন ক্ষেত্রে......
(এটা একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত, ছোট মাথার ছোট চিন্তা)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


