somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় ব্লগার বন্ধুদের নিয়ে কিছু কথা-২

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেঘের দেশেঃ আমার সমবয়সী। ফেসবুকে আমাদের আড্ডার গ্রুপ ‘উরাক তারাক আড্ডাবাজি’ তে মেঘের দেশ হঠাৎ হঠাৎ এসে সবাইকে ট্যাগ দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। পোলা পানের চাহিদা লাল পানীয় পানের দিকে। মেঘ জো হুজুর বলে ভার্চুয়াল খাবার আমাদের রেগুলার খাওয়ায়। শীতের দেশে শীত বাড়লে ডেমন আর মেঘ দুজনেরই কাপাকাপি চলতে থাকে আর আমি খেক খেক করে হাসি।


টুকিঝাঃ বিচিত্র রকমের প্রো পিক দেয়া আমার দেখা একমাত্র ব্লগার। হা হা হা ... এ যাবত টুকিঝার অসংখ্য ছবি দেখা হয়ে গেছে। টুকিঝার নামটা আমার অসম্ভব সুন্দর লাগে। ছোট ছোট বাচ্চারা লুকোচুরি খেলার সময় টুকিঝা শব্দটা ব্যাবহার করে থাকে। ভালোলাগাটা সেখান থেকেই।


নীল কষ্টঃ অনেক দিন আগে আমাকে একটা কবিতা উৎসর্গ করতে বলেছিল। লিখবো লিখবো করে আর লেখাই হয়নি। আমার বুক পকেট সিরিজের শেষ কবিতাটা অবশেষে নীল কষ্টকে উৎসর্গ করতে পেরে আমি নিজেই খুব খুশি। নীল কষ্টকে খুব বেশি বিষণ্ণ মনে হয়। জানি না কারণটা কি। সে যাই থাকুক, সে অনেক ভাল থাকুক এই প্রত্যাশা রাখি।


জাহাজী পোলাঃ জাহাজীকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ব্লগের তুমুল জনপ্রিয় এই ব্লগারের জনপ্রিয়তার সূচনার সময়েই আমি ব্লগে নিয়মিত হই। জাহাজীর সমুদ্র, জাহাজ নিয়ে লেখাগুলো অসম্ভব ভাল লাগতো। মুগ্ধ হয়ে পড়তাম। চমৎকার কিছু কমেন্ট পড়ে আরও বেশি ভাললাগায় ডুবে যাই। ফেসবুক আইডি খোলার পর মে বি জাহাজীই আমার প্রথম ব্লগার বন্ধু হয়। জাহাজে জাহাজীর কিছু ছবি দেখে অবাক হয়ে যাই। আমি ভেবেছিলা সে অনেক সিনিওর কেউ হবে। বাস্তবে দেখি সে আমারও ছোট। অনেক ভাল লাগতো জাহাজীকে। ওর লেখার জবাব নেই আর ওর মতো করে মজার কমেন্ট করা মানুষের সংখ্যা খুব কম আছে ব্লগে।


আরিশ ময়ুখঃ সে যে বয়সে আমার ছোট তা জানতাম না। চমৎকার লেখে। ওর শেষ গল্প ‘রেল লাইনের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার’ আমার খুব প্রিয় একটা গল্প। মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে লেখা এই গল্পের ভাষা অনেক শক্ত। বক্তব্য খুব সহজ কিন্তু অনেক বেশি যন্ত্রণার। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো রিশাতের প্রতি।


লাবণ্য মেঘমালা আপুঃ আমাদের কফিশপ গল্প পড়ে আপু আমাদের তিনজনকে ট্যাগ করে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। কফিশপ যে এতো ভাল লাগবে শুধু আপুর না; অন্য সব ব্লগার বন্ধুর, পাঠক আর ভালবাসা এবং কিছু আবেগের গল্প পেজের অসংখ্য ফ্যানের, তা অন্তত আমি ভাবিনি। এই গল্প নিয়ে আমারও উচ্চাশা ছিল কিন্তু এতো এতো অভিনন্দন পেয়ে সত্যি আমার প্রত্যাশা বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আপুকে অনেক ধন্যবাদ জানাই সেই স্ট্যাটাস এর জন্য।


নাজিরুম মুবিনঃ ডাক্তার ব্লগার তবে খুব বেশি ইরেগুলার। মুবিনের সাথে পরিচয় রাজার মাধ্যমে। অনেক ভাল লেগেছে মুবিনকে। ওর নামটাও আমার অনেক ভাল লাগে। ইচ্ছা আছে কোন গল্পে এই নামটা ব্যাবহার করার।


ফয়সাল তূর্যঃ সেদিন হুট করেই স্ট্যাটাস, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যে বাস পাবে সেই বাসেই নাকি উঠে যাবে। হোক না সে বাস সিলেট, চট্রোগ্রাম অথবা ময়মনসিঙ্গের। তূর্য আসবে ভেবে বসে গেলাম তার ছবি দেখতে। কিন্তু সিলেটের বাস মনে হয় সেদিন সে পায় নাই। সে আর আসেনি সিলেটে।


জৈবন দাঃ তুই কি আমার তুমি হবি সিরিজের লেখক জৈবন দা আর নীল ত্রিস্তান। অনেক অনেক অনেক ভাল লেগেছিল এই সিরিজ। আমারও মনে একটা গুপ্ত ইচ্ছে ছিল এরকম কিছু সিরিজ লেখার। সে আশাও পূরণ হয়েছে আমাদের কফিশপ লেখার মাধ্যমে।


নীল ত্রিস্তানঃ জৈবন দাকে মাঝে সাঝে দেখা গেলেও নীলকে আর দেখা যায় না। তাদের অসমাপ্ত এবং অস্পষ্ট অবস্থা সূর্যের আলোর দেখা পেয়েছে কি না তা জানা হয়নি।


অচিন রূপকথাঃ নতুন নতুন আমার ব্লগে দেখছি। অনেক ভাল লাগে তার আন্তরিক কমেন্ট গুলো।


ব্লগার নষ্টছেলেঃ উনাকে আমার বুক পকেট সিরিজের একটা কবিতা উৎসর্গ করেছিলাম। খুব খুশি হয়েছিলেন। ব্লগে আমি রেগুলার হওয়ার পর উনার লেখা খুব একটা পাইনি বলতে পাড়ি।


হানিফ রাশেদিনঃ সজ্জন এবং ভদ্র একজন মানুষ। ব্লগের খুব অস্তির এক সময়ে উনার একটা লেখা পড়ে মনে অনেক শান্তি পেয়েছিলাম। সে জন্য উনার প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।


দুর্যোধনঃ বিখ্যাত ব্লগার। পোষ্টে লাইক আর কমেন্টের বন্যায় উনার পোষ্টে যেতেই ভয় লাগে। উনার মুভি রিভিউগুলো পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ।


কিনাদিঃ কিনাকি নাকি বয়সে অনেক জুনিওর, আমি ঠিক জানি না কতো জুনিওর। তবে কিনাদির কৌতুক পড়ে না হেসে উপায় নেই। সিলেট নিয়ে গুরা গুরা কৌতুকটা পড়ে আমি প্রচুর হেসেছিলাম।


দাইফ ভাইঃ ফেসবুকে দিমুনের মুখে দাইফ ভাইয়ের কথা শুনে উনার সাথে পরিচয়। উনার ব্লগে খুব কম গিয়েছি।


মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাইঃ উনার ভ্রমণ পোস্ট পড়ে আমার খালি হিংসা হয়। উনার দেশি বিদেশি টাকা জমানোর নিউজ ব্লগে পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।


টিনটিন ভাইঃ নামটা অনেক সুন্দর এবং মজার। উনার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে আমাদের আড্ডা গ্রুপে। অনেক মজার মানুষ তিনি।


দিদিঃ আমার সমবয়সী। তাকে নানি ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। মাঝে মাঝে নানির স্ট্যাটাস পড়ে আমারই মাথা হট হয়ে যায়, নানি মানুষদের খালি পিডাইতে চাই। :(


নিশাচর ভবঘুরেঃ অনেক ভাল একটা ছেলে। কবিতা লেখে গল্প লেখে। মনে অনেক ক্ষোভ কেন তার পোষ্টে সবাই যায় না। ১৮+ পোষ্টে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে আর মৌলিক একটা লেখায় কেউ কমেন্টও করে না।


মরুর পাখিঃ মাঝে মাঝে দেখি উনাকে। সামনের বার আরও বেশি বেশি দেখবো আশা করি।


আর.এইচ.সুমনঃ ছবি পাগল মানুষ। ছবি ব্লগ আমার অনেক ভাল লাগে। সুমন অনেক সুন্দর ছবি তুলে। ওর সাথে সাথে আমারও ফটোগ্রাফি নিয়ে একটু পড়া হয়ে গেছে।


রেজওয়ানা আপুঃ বিখ্যাত ব্লগার। উনার ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে লেখা পোস্ট পড়ে অনেক বেশি মজা পেয়েছিলাম। অনেক অনেক ভাল একজন ব্লগার। রিয়েলের নানু আর আমার আপু।


দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যানঃ ডাচম্যানের খালি পিডাইতে মুঞ্চায় সিরিজ পড়ে আমার হাসি বন্ধ হয় না। দুঃখের কথায় হাসি কেন যেন একটু বেশিই আসে। চমৎকার গল্প লেখে। আমার অনেক পছন্দের একজন ব্লগার।


সালমাহ্যাপিঃ কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা মানুষটাকে নিয়ে জানার সুযোগ হয়নি এখনো।


নাআমি আপুঃ উনার প্রো পিকটা অসাধারণ। রজনীগন্ধা ফুল আমার অনেক প্রিয় একটা ফুল। অনেক ভাল লাগে ব্লগার নাআমি আপুর নিক।


রিয়েল ডেমনঃ ব্লগ জীবনের এই একটা মানুষ আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সে আমাকে অসংখ্যবার মন খুলে হাসিয়েছে। সে তার বয়স কাউকে বলে না। তবে আমি জানি সে অনেক পিচ্চি। ওকে পিচ্চি পিচ্চি করে ডাকতে ডাকতে এ যাবত যত নাম তাকে দিয়েছি তত নাম অন্য কাউকেই দেইনি। দিমুনের সাথে প্রথম পরিচয়ের সময় ওকে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি করে বলতাম। তারপর ক্রমান্বয়ে তুমি এবং এখন অনেক আদরের তুই বলে ডাকি। একদিন দিমুনের পুরনো পোস্ট পড়তে গিয়ে দিমুন আর আমার আপনি আপনি সম্বোধন দেখে অনেক মজা পেয়েছিলাম।

ব্লগার বন্ধুদের মাঝে আমার সাথে ফোনে কথা হওয়া ১ম মানুষ দিমুন। আর আমাকে ফোনে চমকে দেয়া প্রথম মানুষ এই দিমুন। অনেক বেশি দুষ্ট, অনেক বেশি আড্ডাবাজ, আর আমাকে অনেক বেশি লাইক করা এই পিচ্চিটাকে অনেক ভাল লাগে। সমস্যা হয়েছে এই পিচ্চিকে নিয়ে লিখতে গিয়ে। বুঝতে পারিনি কি লিখবো। মনের অনুভূতি লেখায় নিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব না। তো এই পিচ্চির প্রতি আমার ভাললাগাও তেমন। পোস্ট দিবো দিবো করে দিতে পারিনি। আজ এই দিমুনকে নিয়ে লিখলাম। আর অন্য সবাইকে নিয়ে অনেক আগেই লিখেছি।


ত্রিনিত্রি আপুঃ কেন যেন মনে হয়েছিলো এই মানুষটা অন্য সবার চেয়ে আলাদা। যেমন বলি, কোন ছেলে ব্লগারকে ফোন দিতে কিংবা হুট করে দেখা করার কথা বলে ফেলতে সমস্যা নেই কোন। কিন্তু কোন মেয়ে ব্লগারকে আমি তার অনুমতি না নিয়েই যদি বলি যে, আমি আপনার সাথে আজ অমুক জায়গায় দেখা করবো, তবে বিষয়টা কিন্তু এতো সহজ হয় না। কিন্তু ত্রিনিত্রি আপুর ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয়েছে। আমি কখনো ভাবিনি যে হুট করে আপুর সাথে দেখা করার কথা বললে আপু কিছু মনে করেবে। কিন্তু সত্যি বলতে আপু কিছু মনে করেনি। আমরা সিলেটে আড্ডা দিয়েছি। প্রথমবার দেখা হবার পর ২য় বার এবং ৩য় বার আমরা আড্ডা দিলাম এবং খেয়াল করলাম এই মানুষটাকে যতোটা ভাল ভেবেছিলাম মানুষটা তার চেয়েও বেশি ভাল। আপুর গিফট গ্রাসোফার থেকে কেনা কবিতা লেখার খাতায় এখনো কিছু লিখিনি। আপুকে বলেছিলাম খাতায় সবচাইতে সুন্দর কবিতাটা উনাকে উৎসর্গ করবো। লিখতে ভাল লাগে না। এতো সুন্দর একটা খাতা নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না আপু।


হার্ট লকারঃ আমার ব্লগ পড়া প্রথম সারির ব্লগার। এখন উনাকে আর ব্লগে দেখি না।


টুনাঃ তিনিও আমার ব্লগে প্রথম থেকেই নিজের উপস্থিতি জানিয়ে যান।


শিশিরের বিন্দুঃ নিকটা আমার অনেক পছন্দের।


ফারিয়াঃ ইদানীং ব্লগে খুব বেশি দেখা হচ্ছে ফারিয়ের সাথে।


শোশমিতা আপুঃ অসম্ভব ভাল একটা মানুষ। আমাকে অনেক স্নেহ করেন। ফেসবুক ম্যাসেজে প্রায় সময় আপুর সাথে কথা হয়। অতন্ত অমায়িক একটা মানুষ। আমার অনেক পছন্দের আপু। উনার বেন টেনের কথা পড়ে খুব ভাল লেগেছিল। পিচ্চি বাবুদের আমি সব সময়ই খুব বেশি লাইক করি আর বেন টেনের বিভিন্ন দুষ্টামির কথা আপুর কাছে শুনতে অনেক ভাল লাগে।


আশরাফুল ইসলাম দুর্জয় ভাইঃ কবি মানুষ। আমার বুক পকেট কবিতা যখন ব্লগে পোস্ট করছিলাম তখন হঠাৎ একদিন খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করে গেলেন। সেদিন থেকেই দুর্জয় ভাই আমার অনুসরিত ব্লগার। ফেসবুকে উনার সাথে আড্ডা হয় না বলতে গেলে। মনে হয় অনেক চুপচাপ একটা মানুষ।


নষ্ট কবিঃ বাংলা বর্নমালা দিয়ে উনার কবিতা দেখেছি যখন প্রথম ব্লগে নিয়মিত হই কিন্তু দুঃখের বিষয় কবিতা গুলো পড়তে পারিনি। কিছু মনে হয় পড়েছিলাম। উনার প্রো পিক দেখে উনাকে সহজেই আলাদা করা যায়।


শাহানা আপুঃ সুন্দর একটা হলুদ গোলাপ ফুলের নিক ধারি এই আপুর পোস্ট পড়তে আমার অনেক ভাল লাগে।


বিতর্কিত উন্মাদ মানবঃ কফিশপ চলাকালীন দেখা এই ব্লগারের সাথে। বেশ বন্ধুবৎসল একটা মানুষ। কফিশপ গল্পের নিয়মিত পাঠকদের মাঝে তিনি ছিলেন একজন যার বেশ কিছু মজার কমেন্ট এখনো মনে আছে।


মেঘ-মেঘাঃ অসম্ভব ভাল একটা মেয়ে। ফেসবুকে প্রায় সময় আড্ডা হয়। মেইনলি আমি আর দিমুন আড্ডা দিলে মেঘাপুর হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দিয়ে যায়।


জিসান শা ইকরাম ভাইঃ অনেক সিনিওর একজন ব্লগার। উনার পোস্ট খুব কম পড়েছি। আমি আদতে একটু অলস টাইপের, হয়তো এ কারণেই।


নিয়নের আলোঃ আমার ইউনির ছোট ভাই। পরিচিত হবার পর আমি আলোর ছবি চাইলাম। ক্যাম্পাসে দেখা হলে তো ওকে আমি চিনতে পাড়ব না কারণ ফেসবুকে সে কোন ছবি আপলোড করেনি। এ কথা শুনে সে বলল, নীরব ভাই আমিই আপনাকে খুঁজে নিব। আপনাকে ক্যাম্পাসে দেখলে নীরব ভাই বলে জোরে একটা ডাক দিবো। কিছুদিন আগে সে আমাকে তাঁর একটা ছবি দেখিয়েছে। সেদিন ক্যাম্পাসে আলোকে মনে হয় দেখেছি। তবে কথা বলার কোন উপায় ছিল না।


মিরাজ is: ভেবেছিলাম অনেক সিনিওর ব্লগার হবেন কিন্তু ব্লগ ডেতে উনার ছবি দেখে মনে হল, নাহ উনি আমাদেরই সমবয়সী।


ইষ্টিকুটুমঃ সিলেটে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। নাম ইষ্টিকুটুম। আমার মেসের কাছেই রেস্টুরেন্টটা। অনেক ভাল খাবার পাওয়া যায়। তবে ইষ্টির গ্রিল, কাবাব, পরোটা, নান, ফালুদা আর চা অনেক মজার। আমরা প্রায় খেতাম তবে এখন আর এতো বেশি ভাল লাগে না। তো এই ইষ্টিকুটুম আপুর নামটা শুনলেই রেস্টুরেন্ট এর কথা মনে পড়ে যায়।


আপেলঃ আমার স্কুল লাইফের বন্ধু। ওর বাসাতেই আমি আমার ৫ বছর আগের পুরনো সামু নিক খুলেছিলাম। তবে রেগুলার ব্যাবহার না করার কারণে নিক নেম, পাসওয়ার্ড সব ভুলে গেছি। ইঞ্জিনিয়ার মানুষ, অনেক বাস্তববাদী। তবে বেশি বাস্তব কথা বলে বিধায় ওর সাথে কথা বললেই ঝগড়া লাগে, শুধু আমার না, আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সবার সাথেই ওর মতের অমিল।


সকাল রয়ঃ সৃজন সৃষ্টিতে অসাধরনত্ত দেখিয়েছেন তিনি। নির্ধারিত তারিখের ১ দিন আগেই সৃজন হাতে পেয়েছি। বাস্তব জীবনে দাদাকে আমার কাছে ছন্নছাড়া মনে হয়। কখনো ধুমকেতু আবার ক্ষণিক পরেই কেমন ম্রিয়মাণ মনে হয়।


পাহাড়ের কান্নাঃ কমেডি আর প্যারোডি জগতের এক উজ্জ্বল নাম পাহাড়ের কান্না। অনেক প্রিয় একজন মানুষ পাকা ভাই। উনার ছন্দ আর প্যারোডিরে কোন তুলনা নেই।


শুন্য উপত্যকাঃ আমার প্রিয় পোষ্টে প্রথম গল্পটাই শূন্যদার। এতো ভাল লেগেছিল যে গল্পটা আমি অনেক কয়বার পড়েছিলাম। সেদিন শূন্য দার সাথে ফোনে কথা হল। অনেক ভাল লেগেছিল। উনি আমার খুব কাছাকাছিই থাকেন। একদিন হুট করে চলে যাব উনার ওখানে, এই ইচ্ছা আছে।


সরল মানুষঃ নামটা এতো সুন্দর আর পিকটা এতো মারভেলাস যে পিক দেখে কিছুক্ষণ হাসতে হয়। চরম দুষ্ট একটা মেয়ে সবাইকে জিহ্বা দেখাচ্ছে, বিষয়টা কেমন যেন হলেও আমার অনেক ভাল লাগে।


বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোরঃ নামটা আমার অসম্ভব প্রিয়।


খুশবুঃ উনার ছোট ছোট লেখায় শুধু হাহাকার আর আমি হাহাকার করে কমেন্ট করলেই বলেন, নীরব ঝেড়ে কাশো।


অরুদ্ধ সকালঃ তিনি আমার কিছু কবিতা পড়েছেন এবং ভাললাগা জানিয়েছেন। উনার প্রো পিক দেখলে খুব ভাল লাগে।


নীল- দর্পনঃ আমি জানতাম উনি ছেলে। একদিন উনার পোষ্ট পড়ে আমি তো কনফিউজড। পরে জানতে পেরেছি আসল রহস্য। উনার রম্য লেখাগুলো বেশ সুখ পাঠ্য।


রোদেলাঃ ব্লগের যে সকল কবিদের সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিলো ব্লগার রোদেলা আপু তাদের মাঝে একজন। উনার কবিতা আমার অসম্ভব ভাল লাগে। কেন যেন উনার আর আমার কবিতার সুর এক। তবে ইদানীং উনাকে আর ব্লগে দেখি না। আর একটা কথা জানি তিনি এই পোস্ট পড়তে আসবে না কিংবা হয়তো জানবেন ও না কখনো, তবুও বলি রোদেলা নামটা আমার খুব প্রিয়। হয়তো কফিশপের রোদেলা নামটা এই ব্লগার আপুর নাম এবং এই নামের প্রতি সুপ্রাচীন ভাললাগার ফসল।


চাটিকিয়াং রুমানঃ ওর ছবিব্লগ আমার ভীষণ ভাললাগে। পতেঙ্গা সৈকতের একটা ছবি ব্লগের কিছু ছবি আমি ওর ফেসবুক এ্যালবাম থেকে নামিয়ে নিজের কাছে রেখেছি কোন পোষ্টে ব্যাবহার করবো বলে। রুমানের নিকটা অনেক ভাল লাগে আর ব্যাক্তি রুমান অবশ্যই একটা ভাল মনের মানুষ হবে। :)


তানভীরসজিবঃ আমার বন্ধু। সজিবের 'জীবনে প্রথম এই জিনিসের স্বাদ লইলাম' লেখাটা পড়ে অনেক মজা পেয়েছিলাম। সেই দিন থেকেই বন্ধুকে অনুসরণ করি ব্লগে। তারপর ব্লগ ছেড়ে ফেসবুকে কথা হতো প্রায় সময়। সে কবিতাও লেখে। ওর ছোট ছোট ছন্দবদ্ধ কবিতাগুলো অনেক ইন্টারেস্টিং হয়। এখন আর আগের মতো রেগুলার না। মিস ইউ ফ্রেন্ড।




আমার কিছু ফেসবুক বন্ধু আছে যারা আমার লেখা পড়বেই। তাদেরই কয়েক জনের কিছু কথা ...

মুকিত তুষারঃ চমৎকার একটা ছেলে। ভার্চুয়াল রিলেশনগুলোর মাঝে মনে হয় সেই সবচেয়ে ছোট। ওকে পিচ্চি বলেই ডাকি। সিলেটে আসার জন্য ওর বন্ধুদের অস্থির করে তুলেছে। তার ফ্রেন্ড অজয় দুই দিন আমার সাথে কথা বলল। জানালো, দাদা মুকিতকে কি বলসেন বলেন তো!! সে সিলেটে যাবার জন্য অস্তির হয়ে আছে। আমি বললাম, না, কি আর বলবো। এমন কিছু বলিনি। ঠিক দু দিন পরই অজয় জানালো সেও না কি সিলেটে আসার জন্য অস্থির হয়ে আছে। আমাকে দেখতে তার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। জানে না কেন তবু।

এই পিচ্চিগুলকে আমি অনেক লাইক করি কিন্তু ওরা যখন আমাকে শাসন করতে ছাড়ে না তখন ভাবি কি দিন আইল রে বাপ। :(


অজয় কর্মকারঃ ক্লাস টেনে পড়া ছয় ফুটেরও উঁচু অজয়ের কথা তো মুকিতের সাথেই বলে দিলাম। এবার বলি মুকিতের কথা, ছেলে অনেক বেশি সুন্দর। এই সুন্দর চেহারা দিয়েই এখনই লুলামি করা শুরু করে দিয়েছে। হায়রে...


অর্পিতা নীলিমাঃ অনেক ভাল একটা মেয়ে। জানি না কেন সে কার ওপর রাগ করে ফেসবুক একাউন্ট ডিসেবল করে রেখেছে। এখন কোন যোগাযোগ নেই। আমাদের কফিশপ গল্প পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতো। গল্প পড়ে ম্যাসেজে জানাত কেমন হয়েছে।


উল্লাস রাজীঃ বন্ধু মানুষকে নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধু বলবো, জাস্ট চিয়ার্স ম্যান। মেগাবাইট খরচ করতে চায় না তবে আমার পোস্ট পড়তে অবশ্যই ব্লগে আসে এবং আওয়াজ দিয়ে জানাতে ভুলে না যে সে আমার ব্লগে এসেছিল। খিকজ... আজকের এই পোস্ট দেয়ার কথা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেখানেও বলে এসেছে মেগা বাইটের কথা। ;)


অর্কঃ মিষ্টি একটা হাসি সবসময় ঝুলিয়ে রাখে মুখে। এখন অর্কর সাথে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। অনেক ভাল একটা ছেলে কিন্তু এতো বেশি কথা বলে যে আমি মাঝে মাঝে বাক্যহীন হয়ে শুধু অর্কর কথা শুনি। খুব ভাল লাগে অর্কর সাথে কথা বলতে।


দুর্বা জাহানঃ অনেক বেশি আবেগি একটা মেয়ে। এতো আবেগ দিয়ে অন্তত এই পৃথিবীতে চলা যায় না।
কবিতা লেখে। ফেসবুকে বিভিন্ন গানের লিঙ্ক দেয়। একদিন একটা গানের লিরিক এবং লিঙ্ক দিয়েছিল আমি বলাতে। গানটা আমার খুব ভাল লাগে কিন্তু গানের কিছু কথা ধরতে পারতাম না। দুর্বা লিরিক লিখে দিয়েছিল স্ট্যাটাস এ। শুভ কামনা রইলো দুর্বার প্রতি।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×