somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্ট্যাটাসে এক পাণ্ডব হারিয়ে গেছে... :(

২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্ট্যাটাস এ কবিতা কবিতা খেলা আমাদের পুরনো ভাললাগা। কখনো হয়তো আমার অথবা কখনো হয়তো রিয়েলের মন খারাপ থাকে। আর এই অস্থির সময়ে আমরা কবিতার কাছে আশ্রয় খুঁজি। আশ্রয় পাই, কবিতাকে ভালবাসি এবং অবশেষে কবিতার মাঝে স্বপ্ন আঁকি।

আজ সকালে আমার এবং দিমুনের সাথে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন 'লাবণ্য মেঘমালা আপু' তিনি কবিতা লেখেন এটা আমি জানি কিন্তু আর এক নতুন অতিথি এসেছিলেন যিনি কবিতা লিখতে পাড়েন না। কিন্তু না বললে কি হবে? তাকে কবিতা লিখতেই হবে। তিনিও লিখলেন আমাদের সাথী হয়ে। তবে তার নাম এখনই বলছি না। নব্য কবিকে স্বাগত জানাতে ব্লগার বন্ধুরা প্রস্তুত হোন। তার কথা বলছি পোস্টের শেষে। ;)


আমি রোদ কপালিকে নিয়ে কবিতা লিখি। কখনো কখনো আমি নিজেই রোদ কপালি হয়ে যাই। রোদ কপালিকে নিয়ে লেখা আমার প্রথম স্ট্যাটাস কাব্য ছিল এ রকম-


এইতো এই সময়েও কিছু নেই হাতে, তবু হাত কেন শূন্য নয়? সেদিনও জোনাকি ধরব বলে হাত বাড়িয়েছিলাম। জোনাকির তাড়া ছিল। শেষ ট্রেনে বাড়ি ফেরার টেনশন ছিল। সেদিনের গুটিয়ে নেয়া হাত এতো সহজে বাতাস ছোঁয় না। বাতাসে বিষাক্ত সীসা। হাতে প্রচণ্ড ব্যাথা। উঠোন ভেঙ্গে কেন যে এতো রোদ পোড়ে!!! রোদের আমি নাম দিয়েছি রোদ কপালি। ঘুমুতে গেলেই ডাকাডাকি। সকাল হল, এই দেখো না তোমার রোদ কপালি তোমার দ্বারে রোদ পোহায়, তোমার নির্জনতাকে কোলে নিয়ে। আমি কি তোমার রোদ কপালি হতে পাড়ি? এই দেখো না, রাত বিরাতে তোমায় দেখতে মন চাইলে পড়া লেখা বাদ দিয়ে তোমায় দেখতে হেঁটে হেঁটে চলে আসি। কম কি এই দূরত্ব? কতো মানুষ, কতো ঢেউ পেরিয়ে আসি! আর তুমি কি না অন্য রোদ কপালিকে নিয়ে গল্প লেখো। অনেক অভিমান জড়ো করেছি, এই দেখো না আচল ভরে নিয়ে এসেছি। তুমি তবুও দেখবে না? নাই বা দেখলে! আমি তোমার দ্বারে বসেই থাকবো। তোমার নির্জনতায় অশ্রু ফেলব। সকাল হলে ঘুম ভাঙ্গাব। তোমার অন্য রোদ কপালিকে নিয়ে গল্প লেখার রসদ যোগাব। পথ শেষে চলে গেলে আমিও যাব। দিন শেষে তোমার আশায় অপেক্ষায় থাকবো।


এই কবিতার পর জীবনের প্রতি চরম বিরক্ত রিয়েলের উত্তর ছিল এমন-

কান্ট্রি সিঙ্গার ফ্লুইডে কৃষ্ণ বিষাদময় সূর তোলে আর আমি বাধ্য শ্রোতার মত নেকড়েদের পাশে বসে কর্ণ জাগিয়ে শ্রবন করি। আমি জানি সেই সূর শেষ হওয়ার আগেই কালো শিকড় আমাকে আঁকড়ে ধরবে। শিকড় ছড়িয়ে যাবে আমার সমস্ত শরীরে, সমস্ত স্বত্বায়, অন্তরাত্মায়। আমি চাই শকুন আমার শরীর ক্ষত করুক, খুবলে খেয়ে নেয় যেন, সাথে যেন আমার অস্বস্তি, দমবন্ধ জ্বালা, আদিম সুখের নেশাও ঠুকরে ঠুকরে খায়। আমি জানোয়ার হতে চেয়ে পারিনি, জানোয়ার তবে শেষ করুক। আয় ভুমিকম্প, আয় সাইক্লোন, আয় কালবৈশাখী_ধংস চাই, বিনাশ চাই, চাই উৎপাটন। কান্ট্রি সিঙ্গার এখনো ফ্লুইড বাজিয়ে চলেছে। আই ক্যান্ট বেয়ার এনি মোর।



আমার আজকের স্ট্যাটাস ছিল এমন-

সুন্দরী হেলেন, কি এমন সৌন্দর্যে ধ্বংস করতে উদ্যত হলে সুদূর এক সাম্রাজ্য? কতো ঘটনা, দুর্ঘটনা, বিভ্রান্তির ইতিহাস রচিত হয়েছে হাজার বছরের পাণ্ডুলিপিতে। স্বপ্নের ট্রয় ভেঙ্গেছে, রাজ্য ধুলোয় মিশেছে, মন ভেঙ্গেছে প্রেয়সীর। আমি রোদ কপালি, আমার মনের রাজ্যে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের দামামা বাজে। আজ তোমার হাত স্পর্শ করেছি। দু হাতের নিবিড় উষ্ণ স্পর্শে তোমাকে জড়িয়ে থাকতে চেয়েছি। তোমার আঙ্গুলের নখগুলো এতো বড় রেখেছ কেন? হেয়ালি করে হাসলে মৃদু, বললে, দেখো আমার পায়ের আঙ্গুলগুলোর নখ ছোটই আছে। আমি তোমার পায়ের আঙ্গুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে তাকিয়ে দেখি তুমি চোখ বন্ধ করে মুখে একটা ম্লান হাসি ঝুলিয়ে রেখেছ। আমি আমার ঠোঁট দিয়ে ধুয়ে দিলাম তোমার পদ ধুলি। সে আমার হৃদয়ে রইলো। যে ইতিহাস তুমিও জানবে না। পৃথিবীও জানবে না। জানবে না কেউ আর একজন হেলেন ছিল রোদ কপালি হয়ে। বিস্তৃত রাজ্য জ্বলেছে সেদিন, আর আজ রোদ কপালির হৃদয় পুড়েছে। হেলেন প্যারিসকে পেয়েছিল। রোদ কপালি তোমার চরণ ধুলি পেল।


আজকের স্ট্যাটাস এ কবি রিয়েল ডেমন এতো চমৎকার কিছু কথা লিখেছে যে কি বলবো, আমি ওর ফ্যান হয়ে গেছি। :) আমার ভাল লাগা লাইনগুলো পোষ্টে কালো কালি দিয়ে বোল্ড করে দিয়েছি।

শরতের নীলাকাশে ছোপ ছোপ সাদা মেঘ ইশারায় টেনে যোগফলে আমি কল্পনা কবি একটি অবয়ব, দৃষ্টতা হলেও সত্যিই আমি একটি হাসি দেখি, মেঘের হাসি কিংবা দূরের আকাশ। পথিকেরা পথমাঝে উদাস আমির দৃষ্টিপানে তাকায় কি না আমার ভ্রুক্ষেপ নেই, তবে সেই টুকরো মেঘ আমার ব্যাক্তিগত সম্পদ ভাবতে আমার গা ছমছম করে। আমি আকাশে রং ঢেলে দিতে চাই, বিধবা সাদা দেখে যদিও আমি ক্লান্ত নই, ভয় যদি ক্লান্ত হয়ে পড়ি! যেখানে সাদা মেঘের অবয়ব সেখানে বাতাসের ভয় তো থাকবেই!

আজকের কবিতার অলিখিত বিষয়বস্তু ছিল 'মেঘমালা' আমি লিখলাম-

শাদা মেঘ কালো মেঘের অন্তরালে ভেসে ভেসে ম্রিয়মাণ অস্তিত্ব লুকিয়ে কতোনা যাতনায় মেঘ হয়ে ঝুলে রয় শরতের আকাশ পানে, বাতাসের স্পর্শে প্রেম না মেখে পুনরায় হারিয়ে যাবার চিরাচরিত নিয়মে, সে ইতিহাস মেঘ মাত্রই লিখে রাখে জলের বুক।


মেঘমালা আপু চলে এসেছেন- :)


আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার হৃদয় বলে কিছু আছে
যখন টের পেলাম
ততদিনে সেটা হাতছাড়া হয়ে তোমার কাছে
আমি আমার হৃদয় টা আর ফেরত চাই না
ওটা এখন তোমার সম্পদ
একটু যত্নে রেখ
আর যদি পার তোমার হৃদয় আমায় দিও
আর কিছু চাই না আমি।


রিয়েলের লেখা বাকি কবিতা-

১. ইচ্ছে হয় নগর ভবনে দাম্ভিকতার সাথে দাঁড়ানো ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিতে, সময় ধরতে চাই।
সেই সময়ের মানদণ্ডে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলে পড়া ব্যাক্তি_
নেহায়েত কম নয় এই শহরে।

বেদুঈন সময়ের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ার অপমান
কিংবা রিটায়ারমেন্টের সকালের চা দুটোই ভীষণ তিক্ত।

শহরবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমেছে সেই অহংকারী ঘড়ির উপরে।


২. মেঘেরা যেদিন কাজল টেনে সাজাবে তাদের চোখ,
সেদিন কিংবা সেই মুহূর্তে আসবে তুমি,
তুমি একলা পাখির ক্রোধ।
জোছনা মেখে গায়ে
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে
শিশির আর শৈবালে
শেওলা বাঁধা ঘাটে।
মেঘেরা এখনো কাজল দিয়ে সাজায়না টানা চোখ,
দিন চলে যায়, সকাল আসে রোজ,
তুমি আজো অভিমানী রোদ।


৩. আজ মেঘের পত্র পেয়েছি,
সে নাকি দূরে যাবে আমার আকাশ থেকে,
জানি মেঘেরা ধীবর
স্থিরতার নয় কখনো
মেঘ চলে যায় শুন্য আকাশ রেখে।

থাকুক আমার প্যাটরা টিনের বাক্সে
শেষ কয়েকটি চিঠি আর সবুজ পাতার খাম,
ইনভেলপের বাম দিকটায় হারানো মেঘের নাম।


৪. যেহেতু ভালোবাসা নামক শর্তে তুই আমার, সেহেতু তোকে নিয়ে বৈধ কিছু ইচ্ছে এবং অবৈধ কিছু সঙ্কোচ কল্পনায় কিংবা আনমনে পরগাছার ন্যায় জন্মেছে আমার মাঝে। চাঁদ দিয়ে ঢেকে রাখতে চাওয়া আমার বৈধ ইচ্ছে নাকি অবৈধ সঙ্কোচ এ ব্যাপারে আমি সন্দিহান। যেখানে হাজারো প্রেমী এলিয়েনের মত ভরসা করে চাঁদের আলোয়, প্রেম যেখানে চাঁদ ঘিরে উপমা সেখানে চাঁদ বিছিয়ে গল্প করা অবৈধ বৈকি? তবে শুধু একটি রাত, হোক নাহয় চাঁদটা চুরির পাপ।


৫. আমাদের সম্পর্কে যখন দেয়াল টেনে দেয়া হলো,
দেয়ালের দু'পাশে দুটি পালকছেড়া ম্যাগপাই বোবাকান্না করতো।
দেয়ালে হাত রেখে ওপাশের স্পর্শ খুজতো......


৬. প্রবাসী রাজপথের ল্যাম্পপোষ্ট ঠায় দাঁড়িয়ে আছে আলো নিয়ে,
প্রতি রাতে আমি থমকে দাড়াই ল্যাম্পপোস্টের নীচে।
আমাদের শহরেও আলো চাই, নষ্ট ল্যাম্পপোষ্ট আর কতদিন?
কেউ একজন আসুক দিশারী
ল্যাম্পপোষ্ট না হোক লন্ঠন নিয়ে আসুক,
আমরা আলো চাই, আমরা পথ চিনতে চাই
অপসারিত হোক রাজপথের নিষ্ক্রিয় সোডিয়াম বাতি।

(এটা আমাদের রাজনীতি নিয়ে রূপক)


৭. মেঘের ডাকে পশ্চিমের কপাট খুলে জানালা শিকে গাল ছুঁইয়ে মেয়েটি অপেক্ষা করতো মেঘের। মেঘ কড়া নেড়ে যেতো তার জানালায়, কিন্তু সেই মেঘের বারিপাত ছিল অন্য কোথাও বলয়ের বাইরে।তরুণী মেঘ চেনেনা, চেনানা মেঘের রঙ, বাতাস এসে জুড়িয়ে দিত মিথ্যে মেঘের ভ্রম। কিশোরী এলোচুল বাড়িয়ে হাত বাতাস ছোঁয়ার নেশায়, চায়না এবার হারাতে বাতাস মেঘের মত করে। দমকা বাতাস আসেনা আর থমথমে চারিদিক, বাতাস-ও শেষে হারিয়ে যায় মেঘের মত দূরে। বালিকা শেষে বিষাদ আপন করে নেয় অন্য কোন সূরে।




মেঘমালা আপুর লেখা কবিতা-


১. মেঘমালার খুব ইচ্ছে ছিল
তোমার শহরে বৃষ্টি ঝরাবে
প্রতি মুহূর্তের ভালোবাসা জমিয়ে
সে যখন তোমার কাছে নেমে এলো
তখন তুমি দিধাগ্রস্ত
এই বৃষ্টিতে একবার ভিজেই দেখ
শুকনো হৃদয়টা একবার সজল করেই দেখ
চিরস্থায়ী সবুজ ডাকছে তোমায়



নীরবের লেখা কবিতা-

১. প্রাগৈতিহাসিক সময়ের গায়ে যে পঙ্কিলতার আঁচড় দিয়েছিলে তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বেড়ে যায়নি কেবল সুখ স্মৃতির পেলব সময়ের দীর্ঘ ইতিহাস। ঘুম ভাঙ্গা এই শহরের মাঝে আজন্ম যে লুকিয়ে থাকা কষ্ট তাড়া করে ফেরে তার ইতিহাস কখনো লেখা হয়নি কাগজে কলমে। কিংবা লিখিত দলিলের কদর হয়নি গতিশীল সময়ের নিদারুণ পেষণে। শহরের শেষ রাস্তার ঘড়িটি সময়ের দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। শহরকুলের মৃত্যু হোক, ঢেকে যাক ধূলিঝড়ে; কে তুমি? চিনি না তোমাকে আমি। দেখা হয়নি এবং হয়তো তোমার পানে তাকানোর সময় হয়নি। আমি ক্রমাগত নির্দিষ্ট শব্দে শহরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে যাই। সময় কোথায় অসময়ের পানে কর্নপাতের?


২. অভিমানী রোদ হয়েছ
উচিত কথার বোধ হয়েছ
আজন্ম ক্রোধ ঢেলেছ
কেন আজ সঙ সেজেছ?


৩. দ্বিধার বৃষ্টিতে প্রেম জাগে না
শহরের ঘুম ভাঙ্গে না
তোমার মনের দোর খোলে না
শুধু তুমি জেনো এ ভালবাসা শেষ হবে না।


৪. বিজন বনে স্বজনহীনের স্বজন
তামাক রতন, ধুম্র যতন
ধোঁয়ায় মাতন
সে আমার স্বপ্নের মতোন


৫. বিষয়গুলো ঠিক এমনই, কাব্যের মতো কঠিন নয় আবার তোমার বোধের মতো এতো সহজও নয়। বিষয়গুলো নদীর কলকল জলের মতো স্বচ্ছ কিন্তু তবুও দু হাতে ধরা যায় না। বিষয়গুলো প্রেমিকার খোপার লাল গোলাপের মতো মোহনীয়, স্পর্শ করা যায় তবুও আজন্ম ধরে রাখা যায় না। বিষয়গুলো সময়ের সাথে সাথে আবর্তিত হয়। একসময় বিলুপ্ত হয়, একসময় নিষিদ্ধ হয় আর বাকি সময় যন্ত্রণায় হাহাকার করে মরে তোমার দরজার সামনে। সময়ের ফাঁকিবাজিতে যথেষ্ট দুর্বলতার রেখেছ, কড়া নাড়ার শব্দে ঘুম ভাঙ্গেনি তোমার। তুমি বেঘোরে ঘুমিয়েছ অথবা সময় ভুলে অসময়ে জন্মেছ।


এবার আমাদের নব্য কবির কবিতা- ;) :)


১. হারিয়ে ছিলাম অর্থহীনের '' নিকৃষ্ট '' গানে
কবিতা চলে গেছে সাইত্রিশে একটানে



২. জীবনটা যেন এক সিগারেট ,
আগুন ধরালেই পুড়ে শেষ ,
দেখবে না কেউ টানলো কি টানলো না
তবুও কমেনা আগুনের ছাই হওয়া


৩. উদ্দেশ্যহীন পথচলা
যেন পানিতে ভেসে চলা খড়কুটা
আকড়ে ধরে বাচতে চাওয়া
হারিয়ে যায় জীবনের অনেক পাওয়ার আশা
জীবন মানে কি খেলার পাশা??


৪. কান্না ভেজা চোখ অথবা মিষ্টি হাসি
অযথাই কেন মিছে ভালোবাসাবাসি ?
সম্পর্কের ঠুনকো আবড়ন
ভেংগে যাবে যে কোন ক্ষণ.......


৫. পুরানো জীবনে নতুনের আগমন
পুরানো পৃথিবীতে নতুন হাওয়া
কেন ভুলে যাওয়া আগের
পাওয়া না পাওয়া??


৬. মেঘের দেশে কি তুমি এখনো হারাও আনমনে???
দেখতে কি পাও তুমি ঐ হাতছানি ???
পাবে না জানি তুমি আর কখনোই মেঘের চিঠি
কখনোই না ঐ রানারের হাতে কিংবা বৃষ্টি হয়ে গা ভিজিয়ে


৭. ছিলেতো স্বপ্নের দেশে
থাকতে তাকিয়ে মেঘের দেশে
হারিয়ে গেলে বেলা শেষে


৮. কখনো ল্যাম্পপোস্ট কখনোবা ক্রিকেট ব্যাট
হেলান দিয়ে অথবা আকড়ে ধরে
উদাস তাকিয়ে তোমার জানালায়
দৃষ্টি কেমন ভেজা ভেজা
কান্না নয় প্রকৃতির ধারাও নয়
কাকের অবাধ ভালোবাসা (Real Demon এর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গকৃত ;) )


৯. চেয়েছি হতে রোমিও
চাইনি হতে হোমিও
ভালোবাসা মনের গহীনে
পারলে না যেতে গভীরে
ভালোবাসলে না এই কবিরে
তাই বিলালাম অসীম ভালোবাসা
সবার মাঝে হয়ে গেলাম প্রেমের প্রেমিক ( নীরব ০০৯ এর প্রতি উৎসর্গকৃত :) )


১০. মেঘ কন্যা বৃষ্টি হয়ে পড়লো শেষে ঝুপ করে
দিলো ভিজিয়ে মনটাকে
ছাতা বাচালো শরীরটাকে


১১. কেন মেঘের এই ছলনা, রংদেখিয়ে ভালোবাসা নিয়ে রংধনুর মতো করে হঠাৎ পালিয়ে যাওয়া ??? জানে না কি সে পিছনে সেই অবুঝ বোকা একা মেয়েটার অদ্ভুত ভালোবাসার কথা ???? টিকতে যদি না পারো তুমি ঐ বাতাসের সাথে যাও কেন সামনে ভাব মারতে ???


এবার বলুন নব্য কবিটা কে? হি হি, আমিই বলে দেই। তিনি হলেন প্রবাসী ব্লগার, আমাদের সবার প্রিয় 'মেঘের দেশে';)







৫৯টি মন্তব্য ৫৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×