কুর্দি সামরিক কর্মকর্তা লাহুর তালাবানি রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“ইসলামিক স্টেইট লিডার লিডার আবু বকর আল বাগদাদি যে জীবিত এটা প্রায় ৯৯ পারসেন্ট নিশ্চিত।
আমাদের কাছে তথ্য আছে, সে জীবিত। না মরেনি লোকটা।”
আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, এই লোকটা আসলে আল কায়েদার তৈরি।
সে খুব ভালোভাবেই জানে সে কি করছে।
ইরাকি সিকিউরিটি ফোর্সকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে চলাফেরা করতে হয় অনেক আগেই সে আয়ত্ব করে রেখেছে।
তালাবানি আরো বলেন, দৌড়ের উপর থাকলেও এই লোকটা খুব-ই ধুর্ত শত্রু। সে বোকা নয়।
বছরের পর বছর সিকিউরিটি ফোর্সকে ঘোল খাওয়ানো তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
বাগদাদি'র হদিস পেতে, ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে তালাবানি অনেক দিন ধরে ফ্রন্টলাইনে কাজ করে যাচ্ছেন।
''এখন পর্যন্ত যতটুকু এলাকা ইসলামিক স্টেইটের কন্ট্রোলে আছে, আজো সে অঞ্চল দখল করা আমাদের জন্য খুব-ই কষ্টসাধ্য।
মসুলের প্রায় সব এলাকা থেকেই নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর এখন তাদেরকে রাক্কার দখল ও হারাতে হবে।
তারপরও ISIL-যে শেষ হয়ে যাবে এমন নয়।
ইসলামিক স্টেইটের তিন বছর ব্যাপি মসুল শাসনের অবসান ঘটিয়েছে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এবং তারা রাক্কায় প্রেশারে আছে।
তালাবানী বলেন, ইসলামিক স্টেইট তাদের যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। এরা পাহাড়ে এবং মরুভূমিতে লুকিয়ে থেকে ‘হিট এন্ড রান’ – পদ্ধতিতে যুদ্ধ করছে আর আমাদের গুরুত্বপুর্ন জাগাগুলো তাদের আত্মঘাতি বোমারুদের দেখিয়ে দিচ্ছে।
এদেরকে পুরোপুরি ধবংশ করতে আমাদের আরো তিন থেকে চার বছর লাগতে পারে।
তারা অন্যধরনের যুদ্ধেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আমার মনে হয়। মানুষে যা ভাবছে আসলে তা না।
আমাদের সামনে আসলে কঠিন দিন আসছে। আল ক্বায়েদাও সংঘটিত হচ্ছে। – তালাবানি যোগ করেন। তিনি বলেন, আল কায়েদা আরো স্মার্ট। এরা কখনো কোন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়নি। এরা এখন আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
বাগদাদির নিহতের ব্যাপারে অনেকগুলো রিপোর্ট পাওয়া গেছিলো। আর এত্থেকে প্রশ্ন উঠেছিলো এদের পরবর্তি নেতা কে হতে যাচ্ছে। ইরাক থেকে কেউ নাকি অন্য কোন আরব রাস্ট্র থেকে কেউ নাকি নিবেদিত প্রাণ কোন বিদেশি যোদ্ধা।
ইসলামিক স্টেইটের সন্ত্রাসী শাসন বাস্তবায়নের পিছনে সাদ্দাম হুসেনের সাবেক গোয়েন্দা অফিসাররা ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু এদের মধ্যে কে জীবিত আর কে মৃত এটা অনুমান করার কোন উপায় নেই। তবে আমার বিশ্বাস এদের বেশিরভাগই এখন সিরিয়া’র দক্ষিণ রাক্কায় আছে।
সাদ্দাম হুসেনের সাবেক মিত্রদের নতুন জেনারেশন মূল ভুমিকা নিয়ে নিতে পারে। তারাই এখন লাইনে আছে। যুবক ছেলেরা সব সময়-ই বিপজ্জনক , তিনি বলেন।
১২ বছর বয়সে তালাবানি ইরাক ছাড়েন যখন সাদ্দাম হুসেন কুর্দিদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিলো। তার গোস্টির লোকেরা তখন পাহাড়ের পাদদেশে জড়িত হচ্ছিলেন গেরিলা যুদ্ধ চালানোর জন্য।
তখনকার পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতির তুলনা করে দেখুন তো,
যখন ইরাকের নিরাপত্তার জন্য ইসলামিক স্টেইট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
আমরা এখনে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন কিন্তু সমস্যাগুলো আগের চেয়ে বেশি কঠিন!
##
বিদেশি সাক্ষাৎকার অবলম্বনে
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০১