somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ বাংলা মুভি "টেলিভিশন" এবং আমার সিনেমাদেখার গল্প!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলা সিনেমা দেখতে গিয়া বাড়ির মুরুব্বিদের অনেক ধাতানি খাইছি...হয়ত বয়স কম আছিল...তাই সে সময় কাউরে জবাব দিতারিনাই...আর ৫/৬ক্লাসে পড়ার সময় সিনেমা দেখতে যাওয়াটাও যে সব পরিবার হাসিমুখে মেনে নেবে এটা ভাবাও তো ঠিক না...

স্কুল পলাইয়া সিনেমা দেখা,বাড়িতে বিচার আসা...মেজ ভাইয়ের লাকড়ি(রান্না করার জন্য যে কাঠের প্রয়োজন হয়,অনেকে হয়ত বুঝতে পারবেনা,তাই ভেঙ্গেচুরেই লেখলাম!)নিয়ে তেড়ে আসা...আর আম্মার আমাকে আগলে রাখা...মারিসনা...সে না বুইঝা দেখছে...সামনে আর দেখবোনা...

এর পরের সপ্তাহেই স্কুল পলাইয়া আবার সিনেমাহলে গিয়ে মুভি দেখা...তখন মুভির বুঝতাম ই কি?
কিছুই বুঝতামনা আসলে...রুবেল জসিমের মারামারি,ইলিয়াস কাঞ্চনের কান্নাভেজা ডায়ালগ আর সিনেমার গান ই মনে হয় আমার আকর্ষন ছিল...কারন রাস্তাঘাটে এএম ব্র্যান্ডের রেডিওতে বাংলা সিনেমার যেই হারে প্রচারনা হইত...নিজেরে বুঝানো মুশকিল হইয়া যাইত...
ঘটনা৯০ এর শুরুর দিকে!

স্কুল থেকে আসার পথে যহন পাশের বাড়ি থেকে শুনতাম
"বেলি ফুলের মালা পরে...এক প্রেমিক প্রিয়াকে ঘরে তুলেছে..."আরে বাবা...কেমন যে লাগত...
তারপরে?
"বন্দুর দুইটা চোখ যেন দুই নলা বন্ধুক...গুলি কৈরা ভাঙল আমার প্রেমের ই সিন্ধুক..."
অথবা
"মানুষ নিষ্পাপ...পৃথিবীতে আসে...কাউকে দিওনা দোষ পিতার দোষে...মা বলেছে...মানুষ যদি হতে হয়...পাপকে ঘৃনা কর...
পাপীকে নয়..."

এইসব মুভি গান যারা শুনছে দেখছে তারা বুঝতে পারব বাংলা সিনেমার কি মায়া...কিশোর মনে সেসব গান/মুভি কেমন প্রভাব ফেলে...

তো যা বলতেছিলাম...এইসব মুভি বিষয়ক বাড়িতে যেসব ক্যাচাল হইছে...সেসবের জন্য দায়ী কে?
দোষী কে?

তারা কি কোন ধর্মিয় ভাবাবেগ থেকে আমার সিনেমাহলে যাওয়া নিয়ে রাগারাগি করত?
নাকি আমার লেখাপড়ায় ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেজন্য এইসব করত?

আমি সেইটা দুইভাবেই দেখতে পারি..দেখাতেও পারি।
ব্লগেও সেভাবে বলতে পারি।
পাবলিক বাহবা দিব...আপনে আপনের পরিবারের বিপক্ষেও বলতে পারছেন...স্রোতের বিপক্ষে বলার মত লোক আছে বলেই পৃথিবীটা এখনো এত সুন্দর! সেসব সত্যকে অকপটে প্রকাশ করতে পেরেছেন...ব্লা ব্লা ব্লা!
প্রসংসা পাওয়ার লোভ আমার সেই লেভেলে এখনো যায়নায়।আল্লায় রক্ষা কর্ছে!


আসলে এরকম ঘটনা আমাদের প্রায় সবার জীবনেই ঘটছে...বিভিন্নভাবে সেটার ব্যাখ্যা বিভিন্নজনে দিছে...সামনেও দিবে...

এইসবের জন্য ধর্মিয় গোড়ামি,অথবা ধর্ম সময়ের সাথে চলতে পারেনা...কাউকে চলতেও দেয়না...সবাইকে বাধা দেয়...তারপর ধর্ম ফেল মারে... এইসব কাবজাব তুইল্যা আইনা অনেক কিছুই প্রমান করন যায়...বাবা-মারে ব্যাকডেটেড দেখানো যায়...ধর্মরে কিছু দোষ দেয়া যায়...

সেটা যদি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পৌছে?

তাহলে মানুষের বুঝতে সুবিধা হয়...বাংলাদেশের মানুষ একটু গোড়া...এইসব থেকে বেরোনো উচিৎ...এইসব থেকে বের হবার জন্য যারা কাজ করতাছে তাদের ফান্ড দিয়ে দাও...বানাক মুভি!

ভায়া?
এলা থামেন...
আমরা এখনো এতটা গোড়া হইতারিনাই...মাইনষের কাছে এইসব দেখাইয়া ভাল সাজনের কোন দরকার নাই...
তাবলীগের কড়া ভক্ত যারা তারা ছাড়া(আমার দেখামতে দেশে এবং বিদেশে ) টেলিভিশন দেখেনা/রাখেনা এমন মানুষ বঙ্গমুল্লুকে নাই...এমন বাঙ্গাল ও চোখে পড়েনাই...

আর যেই প্লট লইছেন।স্কাইপে ভিডিও কল করা যায় সেই এলাকায় টেলিভিশন নাই।দেখতে দেয়না।
কি দরকার টেলিভিশন কিননের?ইন্টারনেটেই তো কত্ত সাইট আছে টিভি চ্যানেল দেখনের:P

আর গুগলের মত মামা থাওতে কে যায় পত্রিকার পাতার ছবি দেখনের লাইগ্যা?
আপনে নিজেও আপডেট হইতারেন্নাই।আইসা পরছেন আরেকজনের পিছুগামীতা দেখাইতে!!

পুরান প্যাচাল ছাইড়া নতুন কিছু করেন...আগেই জানতাম এমঙ্কিছু করবেন...এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা দেখাইতে আরো সময় লাগবে আপনের।
ভাল থাইকেন!

আর হ্যা কমেডি মুভি হিসেবে টেলিভিশন সফল হোক সেই কামনা কর্লাম!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
২৮টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×