somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিনির পরিবর্তে আমরা যা খাচ্ছি তা কতটা ক্ষতিকর তা কি ভেবেছেন?সতর্ক হোন।সুস্থ্য থাকুন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






এই যে কয়দিন আগে খবর বের হইল চিনির মত দেখতে চিনির থেকে দাম কম এক আজিব চিজ পাওয়া যায়।
চিনি যেই কাজ করে সেই একই কাজ সেই চিজটিও করে থাকে।
বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে সেই জিনিষখানা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের বাসা বানানের দায়িত্ব ও নিয়া থাকে।
খুব ভয়ংকর সব রোগের কারন সেই চিনির মত দেখতে অথচ চিনির থেকে কয়েকগুন বেশী মিষ্টি।

এখন আমাদের ব্যবসায়ীদের তো আমরা চিনি ই।তারা অল্প পয়সায় অধিক মুনাফাতে বিশ্বাসী।
খুব কম মানুষকেই পেয়েছি যারা অল্পতে তুষ্ট থাকে।
তো এই হরেক রকম মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমাদের বাজার সয়লাব।লাখে লাখে বেকারি আমাদের আশেপাশে।আর আমরাও মাশাল্লাহ মিষ্টি খাবার খুবই পছন্দ করি।

অন্তত খিলগাও থানাতে অনেক বেকারি।ডাইনে বায়ে যেইদিকেই যাইবেন বেকারি নজরে আসবে।
আর এদের বানানো রুটি বিস্কুট টোষ্ট ছড়িয়ে যাচ্ছে আশেপাশের গ্রোসারি কনফেকশনারী দোকানগুলোতে।
তো এইসব বেকারির খাবারে যে সেই বিষাক্ত চিনি মেশানো হয়না তা আম পাবলিকের জানার উপায় কি?

রাস্তার পাশে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেশীরভাগ বেকারি তাদের কাজ চালায়।
ইন্সপেকশনে যারা আসে তাদের পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে।অনেক সময় ইন্সপেকশনে আসা লোকগুলোই বলে দেয় আমাদের টাকা দিলেই আমরা আপনাদের মনের মত রিপোর্ট জমা দিয়ে দেব।
তো এইসব খাবার ছাড়া সকালের নাস্তাই হয়না আমাদের।

বিভিন্ন রেস্তোরাতে রেইড দিচ্ছেন ভ্যাট পুলিশরা।খুবই ভালো একটা উদ্যোগ।কিন্তু এইসব ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদের কি অবস্থান?
তো খাদ্যের এই ভেজাল রোধে সেই বিষাক্ত চিনি আমদানি আর বিক্রি বন্ধে কোন ব্যবস্থা কি নেওয়া হয়েছে?সম্ভাবনা আছে এমন?
যদি না থাকে তাহলে কি আমরা জেনেশুনেই এইসব বিষাক্ত চিনি মেশানো খাবার খাইতে থাকব?

ছোটখাট বেকারির সাথে সাথে বড় কোম্পানী যারা আছে তারাও যদি সেই বিষাক্ত চিনি ব্যাবহার করে থাকে তাহলে আমাদের অবস্থা কতটা ভয়ংকর হইতে যাইতেছে ভেবেছেন কি?বড় কোম্পানীরা একাই সবধরনের আইটেম বানিয়ে থাকে।
এরা যদি টাকার লোভে পরে সেই সার চিনি বলে চালিয়ে দেয় তাহলে আমাদের বাঁচার কোন উপায় আছে কি?

ফেসবুকে এক ভাই লিখেছিলেন কিছুদিন আগে এই নিয়ে।তার লেখাটা কপি করে দিচ্ছি।
{ চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট…. যার ফলে পৃথিবীর এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না। শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি, আইটেম,আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে। চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি। সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে। ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি। বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি। বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কমদাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য। ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনিরমত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন। গুগলে ছবি দেখলাম ঘন চিনি এবংম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে। যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!! কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেটসার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, “ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম শেষ হবে বাচ্চারা”। নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে?? এখন কথা হচ্ছে তাহলে আমরা কি চিনি বা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাবো না? ঠিক তা নয়, অবশ্যই খাবেন,, ভাই অত কিছু না ভেবে নিশ্চিন্ত মনে বংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার উৎপাদিত চিনি খান,তা দেখতে যেমনই হোক লালচে হলেও নির্ভেজাল,চিনি সাদা করতে ও অনেক ক্ষতি কারক কেমিক্যল ব্যবহার করতে হয়। আর সাদাচিনি ডায়াবেটিকস রোগী দের জন্য ও নিষিদ্ধ!}

তো এই অবস্থায় কি ভাবতে ইচ্ছে করেনা এর প্রতিকারে কি করা যায়?


না ভাবলে ভাবেন...নিজের ভবিষ্যৎ বংশধরদের চিন্তা কইরা হইলেও ভাবেন।
সতর্ক হোন।রোগ থেকে বেচে থাকুন।
সুস্থ্যতা অনেক বড় নিয়ামত।আমরা অসুস্থ্য না হইলে সেটা বুঝতে পারিনা।


আমি বেকারীর টোষ্ট বিস্কুট টেষ্ট করেছিলাম একদিন।সন্ধ্যার আগে খেছিলাম।রাত ৯ টায় সুগার টেষ্ট করে দেখি বিশাল অবস্থা।
যদিও ডায়াবেটিসের সমস্যা নাই আলহামদুলিল্লাহ।কিন্তু মিষ্টি বেশী খাওয়া নিষেধ করে দিয়েছেন ডাক্তার।

তারপরে মনে হওয়াতে এই লেখা লিখলাম।
নিজের জানা তথ্যগুলোকে যদি কাউকে জানাতে পারি আর তার ফলে কেউ যদি সতর্ক হয় সেটাই হবে পাওয়া।

ভালো থাকুন সর্বদা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×