somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমতাশালীরা জনগণের সম্পদ চুরি করে বলেই কিছু মানুষ গরীব হয়ে যায়

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আল্লাহ তালা পৃথিবীতে মানুষের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। শুধু মানুষ বলে কথা নয়, প্রত্যেক প্রানীর জন্যই তিনি যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য পানীয় এবং জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ রেখেছেন। তবুও দেখা যায় মানুষ খাদ্যের অভাবে মরছে, ক্ষুদার কারণে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। এর কারণ কি? এর একমাত্র কারণ হচ্ছে কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের জনগণের সম্পদ চুরি করা। কিছু মানুষ নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। নিরীহ জনগণের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়ে নিজেরা ভোগ বিলাসে মত্ত হচ্ছে। আরামের অট্টালিকায় ঘুমাচ্ছে। অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর পাহারায় পথ চলছে। মদ আর নারী নিয়ে ফুর্তি করছে। আর অন্য দিকে কিছু মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দু বেলা দু মুঠো খাবারের অভাবে কেও কেও অন্যায় পথে পা বাড়াচ্ছে। কেও দেহ বিক্রি করছে, কেও রক্ত বিক্রি করছে আর কেও নিজের প্রিয় সন্তান পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দুর্ভিক্ষপীড়িত বিভিন্ন দেশের মানুষের ছবি দেখলে ন্যায়পরায়ণ যে কোনো মানুষের চোখে পানি চলে আসে। এসবের একমাত্র কারণ কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের সম্পদের পাহাড় বানানো।
কিছু মানুষ জনগণের সুযোগ সুবিধার কথা বলে জনগণের ভোটে অথবা জোর করে ক্ষমতায় বসে দেশের সম্পদ চুরি করে বলেই স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও দেশ এখনো গরিব হয়ে আছে। দেশের জনগন এখনো অভাবে অনটনে জীবনযাপন করে। দেশের প্রচুর সম্পদ থাকা স্বত্বেও আজকাল কাজের খোঁজে আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বিদেশে কঠোর পরিশ্রম এর সাথে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে দেশের অনেক মানুষকে। মানুষ গুম করে মুক্তিপন আদায়, রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতির পথে পা বাড়াচ্ছে মানুষ টাকার
আমাদের দেশে প্রত্যেক সরকারের আমলেই প্রচুর দুর্নীতি হয়। কেও একটু রেখে ঢেকে দুর্নীতি করে আর কেও প্রকাশ্যে করে, এই শুধু পার্থক্য। দুর্নীতি দমন কমিশন বানানো হয়েছে দুর্নীতিবাজদেরকে ধোয়া তুলসীপাতা বলে সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। তারা সেটা করেছেনও। মন্ত্রী এমপি চুরি করে প্রকাশ্যে ধরা পড়ার পরেও দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে ‘না তাদের কোনো দোষ নাই’। এভাবে সরকারী ভাবে জনগণের সম্পদ চুরির মহোৎসব চলছে দেশে। তবে জনগণের সামনে আসলে এরা বলে যে আমরা কিছুই চাই না শুধু জনগণের শান্তি চাই। এরাই আবার নিরীহ মানুষকে গুলি করে মারে। এরাই সন্ত্রাসী লালন করে। এরা দেশের শত্রু। এদের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষ সারা জীবন গরিব হয়ে আছে।
এইসব দুর্নীতিবাজদের অনেকের কাছে এমন বেশি সম্পদ আছে যে এদের কয়েকজনের সম্পদ বন্টন করে দিলে পুরো দেশের সব মানুষ ধনী হয়ে যাবে। এরকম বিশাল সম্পদের পাহাড় তারা গড়েছে শুধু আমার আর আপনার সম্পদ চুরি করে। দেশের জন্য জনগণের জন্য এরা শুধু ততটুকুই করে যতটুকু না করলে তাদের চুরি করার ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকে। দেশের মানুষের জন্য বা দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এরা কোনো কাজ করে না। যা করে সেটাও তাদের চুরি করার সুবিধার পরিমাণ মত করে। দেশবিরুধী চুক্তি, সরকারি সম্পদ বিক্রির মত জঘন্য দেশ বিরুধী কাজ এরা করতে পারে নির্দিধায়। আর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এমন কোনো অন্যায় নাই যা এরা করে না। সন্ত্রাসী লালন, মিথ্যা, ধোকাবাজি, প্রতারণা, ভয় ভিতি দেখিয়ে ভোট আদায়, প্রতিপক্ষকে চিরতরে ক্ষতম করে দেয়া এদের কাছে ডাল ভাত। এরা আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা। ভোটের আগে এদের পক্ষে কিছু মানুষ টাকার বলে শ্লোগান দেয় যে ‘অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র’। আসলে কতটা পবিত্র সেটা জনগনও ভাল জানে এবং তারা নিজেরাও ভাল জানে। আর জানে বলেই এরা সাধারণ মানুষের সামনে আসতে পুলিশের সাহায্য ছাড়া আসে না। অনেকে পুলিশের সাহায্য নিয়েও তাদের অঞ্চলে আসতে ভয় পায়। এরাই আমাদের নেতা। কিছু ভাল মানুষ হয়ত আছে। তারা সংখ্যায় একেবারেই কম।
এসব নেতারা কত বেশি দেশের সম্পদ চুরি করেছে তা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। দেশের প্রত্যকটি ডিপার্মেন্ট দুর্নীতিগ্রস্ত। এমন কোনো খাত নাই যেখানে দুর্নীতি হয় না। আর তার সংখ্যাও মা শা আল্লাহ বিরাট বড় বড়। ক দিন আগে এক প্রতিষ্ঠানের সাড়ে চার হাজার কোটি দুর্নীতির খবর বের হলে মন্ত্রী বললেন সাড়ে চার হাজার কোটি তেমন বেশি না। তাহলে পাঠক একবার ভাবুন বেশি দুর্ণীতি বলতে এরা কর টাকাকে বুঝে? এ থেকে সামান্য আন্দাজ করা যেতে পারে যে এরা প্রতি বছর দেশের কত টাকা চুরি করে। মাহমুদুর রহমান একবার লিখেছিলেন যে দেশের পুরো বাজেটের চেয়ে বেশি টাকা এরা এক বছরে শুধু দুই একটি খাত থেকে চুরি করে। তাহলে পুরো দেশের হিসাব করলে সেটা কত বেশি হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন। এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে। দেশ বাঁচাতে হলে চুর দুর্নীতিবাজ নেতাদের হঠানো ছাড়া উপায় নাই। ভাল মানুষের শাসন ছাড়া দেশে শান্তি আসতে পারে না।
এই ভাল মানুষগুলো কারা?
ভাল মানুষ কারা তা দেখা যেতে পারে আমার আগের পোষ্টে
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×