.
.
.
ভগবান শব্দটিকে অনেকেই
সৃষ্টিকর্তা অর্থে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই শব্দটা মোটেও কোন ভাল শব্দ নয়। এটি একটি অশ্লীল গালি।সংস্কৃত "ভগ" শব্দের অর্থ
"স্ত্রী যোনী" আর "ভগবান" এর অর্থ "স্ত্রী যোনি আছে যার"
এই শব্দটা ব্যবহারের কারণ জানতে চান?
দেবরাজ ইন্দ্র একদা তার গুরু
গৌতমের স্ত্রীকে স্নান করে ফিরে আসার পথে ভেজা কাপড়ে দেখে কামাতুর হয়ে পড়ে।
সে কৌশলে গুরুর স্ত্রীকে সম্ভোগ বা ধর্ষণ করে।
গৌতম এই ঘটনা জানার পর ইন্দ্রকে অভিশাপ দেয় যার ফলে ইন্দ্রের সারা শরিরে সহস্র ভগ বা স্ত্রী যোনী সৃষ্টি হয়।
এরপর থেকে কিছু দেবতাকে বুঝাতে এই
" ভগবান "
বা যোনীওয়ালা শব্দটি ব্যহার করা হয়।
আক্ষরির অর্থেও ভগবান শব্দের অর্থ যে "যোনী আছে যার" সেটা বুঝার জন্য একটা স্লোক দিচ্ছি,
মনোযোগ দিয়ে ভগ শব্দের অর্থ দেখুন।
"গুরুতল্পে ভগঃ কার্য্যঃ সুরাপানে সুরাধ্বজঃ ।
স্তেয়ে চ শ্বপদং কার্য্যঃং ব্রক্ষ্মহন্যশিরা পুমান্ ।।
অর্থঃ গুরুপত্নীগমনে অপরাধীর
কপালে স্ত্রী যোনী চিহ্ন,
সুরাপানে সুরাপাত্রচিহ্ন,
চৌর্যে কুকুর চিহ্ন, ব্রহ্ম হত্যায় কবন্ধ চিহ্ন একে দিতে হয়।"
মনুসংহিতা, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যায়-৯ম, স্লোক-
২৩৭, পৃষ্ঠা নং-২৭৪
সুতরাং হিন্দু সাস্ত্রে কেউ
গুরুপত্নীকে ধর্ষণ বা সম্ভোগ
করলে তার শাস্তি হচ্ছে ইন্দ্রের মত শরিরে যোনীচিহ্ন একে দেওয়া বা ভগবান বানিয়ে দেওয়া।
এর মানে হিন্দুরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে আসলে জোনীচিহ্নযুক্ত বা ধর্ষণের শাস্তিপ্রাপ্ত বলে ডাকছে। যে ধর্মের মানুষ নিজের
সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান
না থাকে তবে আজই ভগবান শব্দ এবং হিন্দুধর্মকে বর্জন করুন।
যে ধর্মে সৃষ্টিকর্তাকে এভাবে কে এভাবে গালি দিয়ে ডাকা হয়
সেই ধর্ম অবশ্যই সম্পূর্ণ ভুল ধর্ম।
কিন্তু শ্রী কৃষ্ণের মত ১৬০০০
গোপীধারীকে এভাবে লুচ্চা ধর্ষণকারী বা ভগবান
ডাকা হবে এটাতো খুবি স্বাভাবিক।
[বাংলাভাষায়ও ভগবানের
ভগঃ শব্দটি স্ত্রীযোনী অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন স্ত্রী জোনীর
একটি অংশকে বলা হয় ভগাংকুর
বা ভগ + অঙ্কুর বা যোনী মুকুল!
আশা করি সবাই ভগবান শব্দের অর্থ বুঝতে পেরেছেন।]
(কপি) পোষ্ট!