somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিন্নমতঃ রমযান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন ভাবনা

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাকে মনে করা হচ্ছে জোট সরকারের সর্বশেষ গুরূত্বপূর্ণ পরীক্ষা। নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ময়দানের সংকটের চেয়ে এ সংকট মোটেই কম গুরূত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আসন্ন রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোট সরকার ফ্লপ হতে যাচ্ছে।

বরাবরের মত এবারও রমযানে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য কিছু পণ্যের শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রণালয়ের টানাপড়েনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রোযা শুরূর দুই সপ্তাহ আগে। অথচ এলসি খোলার পর কানাডা, অসট্রেলিয়া বা রাশিয়া-তুরস্ক থেকে 4 থেকে 5 সপ্তাহ সময় লেগে যায় দেশে পণ্য আসতে। শূন্য শুল্কের পণ্য আসতে আসতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোযার অর্ধেক পার হয়ে যেতে পারে। এ সময়ে এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম কমতে শুরূ করে (বিশষ করে পাইকারি বাজারে)। সিদ্ধান্তহীনতায় না ভোগে 1 মাস আগে শুল্ক পদক্ষেপ নিতে পারলে এর সুফল বেশি পাওয়া যেত।

রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার বিডিআর দ্্বারা গুরূত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রয়োজনীয় পন্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। ভাল কথা। কিন্তু আমি মহাজন এখানে ভিন্নমত দিব। এই ব্যবস্থা যদি এক মাসের জন্য হয় তাহলে আমার কয়েকটা কথা আছে। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ে নিরূৎসাহী করবে। যার প্রভাবে দ্রব্য মূল্য বরং বেড়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশী। বিডিআরের কমদামে দ্রব্যাদি বিক্রির ভয়ে আমদানিকারকরা বাজার চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানী করতে ভয় পাবে। ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাবে।

বিডিআর যে মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে তাতে গুটি কয়েক লোকের উপকার হচেছ দেখা গেলেও আসলে তেমন উপকার হচ্ছে না দেশবাসীর। বিডিআর পণ্য সংগ্রহে কোন চাঁদা দেয়না কিন্তু একজন খুচরা ব্যবসায়ী বা সাধারণ ব্যবসায়ীকে যে ভাবে পথে ঘাটে ব্যবসাস্থলে চাঁদা দিতে হচ্ছে তাতো সবসময়ের জন্য ওপেন সিক্রেট। এই চাঁদার টাকা যোগ করেই সাধারণ ব্যবসায়ীকে পণ্যমূল্য নিধর্ারণ করতে হয়। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স , ভ্যাট দিতে হয় সরকারি কোষাগারে। আর ব্যবসা পরিচালনার খরচতো বহন করতে হয় তাদেরকেই। একজন ব্যবসায়ীকে ঘিরে বউ বাচ্চা ও পরিবারসহ অনেকই নির্ভর করে থাকে। কিন্তু সরকারি মাইনে দিয়ে পরিচালিত বিডিআর বাহিনীর পন্য বিক্রিতে এসবের কিছুরই বালাই নাই। [গাঢ়]সরকার বেহুদাই জনগনের দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির পুঞ্জীভূতক্ষোভ নিরসনে এবং সরকারের সমর্থনপুষ্ট সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের দমননীতি গ্রহন না করে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিদ্্বন্দিতায় নামিয়েছে বিডিআরকে।[/গাঢ়]

ব্যবসায়ীরা একেবার ধোয়া তুলসীপাতা তা কিন্তু বলব না। অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করছেটা কি? যেমন গরূর গোস্ত সরকার 140 টাকা নিধর্ারণ করলেও আমাদের কিনতে হচ্ছে 160-170টাকা কেজি দরে (হাড়সহ)। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে হয়রানি ও চাঁদাবাজি করছে। এর বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে পড়তে শুরূ করেছে।

[গাঢ়]বাজারনীতির সূত্রানুযায়ী বাজারের দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে তার মূল্য বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এব্যাপারে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি জনসাধারণকে সিয়াম সাধনার নিমিত্তে অস্বাভাবিক ঘি-গু খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সরকারের একার পক্ষে কখনো দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়।[/গাঢ়]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:২৬
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×