আজ ২১ আগস্টের সেই ভয়াবহ দিন।
এই নিয়ে সংবাদপত্রগুলোতে নানা বিশ্লেষনের ছড়াছড়ি।
গোয়েন্দাদের গলদঘর্ম সাংবাদিকদেরই করতে হচ্ছে। অভাগা দেশ হলে এমনি হয়। আজকের কালের কন্ঠ ও প্রথম আলোর দুটি লেখা পাশাপাশি রেখে দুই বেশ মজা পাইলাম। একটা হইল মতিউর রহমানের মন্তব্য প্রতিবেদন। অপরটি হলো ডিটিজাল বাংলাদেশ ফোরামের মানব বন্ধনের রিপোর্ট।
এখন কথা হলো সত্য কি? ইহা মহান পরওয়ারদিগারই ভালো জানেন।
দায় এড়াতে পারেন না বিএনপি-নেতৃত্ব
মতিউর রহমান
বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘটনাবলির মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস ঘটনাটি ছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। এই হামলায় জড়িত জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেই শনাক্ত হয়। সে সময়েই এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন যে ওই হামলার জন্য আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন, তাও এখন প্রমাণিত সত্য। কিন্তু এখন মামলাটির অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসছে, শুধু আবদুস সালাম পিন্টুই নন, তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। অন্তত বাবর যে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে তখন তদন্তকে ভিন্ন খাতে নিতে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাতে আর সন্দেহের অবকাশ নেই।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আরও বড় বা গুরুত্বপূর্ণ কেউ ওই হামলার নেপথ্যে ছিলেন কি না? বা, আগে থেকে হামলার ঘটনা জানতেন কি না, বা পরে প্রকৃত সত্য জেনেও ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে সায় দিয়েছিলেন কি না? তবে এমন কারও নাম যদি বেরিয়েও আসে, আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না—বর্তমান তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত...
২১ আগস্ট হামলা
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি মাওলানা তাজউদ্দিনের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরাম নামের একটি সংগঠন। তারা মতিউর রহমানের গ্রেপ্তার এবং তাঁর উপযুক্ত বিচারের দাবি জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরামের দাবি, ২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে '৭১ ও '৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র রয়েছে। গতকাল সংগঠনটির মানববন্ধন কর্মসূচির সময় বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন পলাশ, অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ সাগর প্রমুখ।
সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান বলেন, 'যে গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছিল সেই একই গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। এর নেপথ্যে কারা ছিল তা তদন্ত করে বের করতে হবে।' তিনি বলেন, 'একই দাবিতে এখানে আগেও আমি মানববন্ধন করেছি। এ হামলার সঙ্গে '৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী, '৭২-এর সংবিধানবিরোধী ও '৭৫-এর খুনিদের যোগসাজশ রয়েছে। তাজউদ্দিন, মতিউর রহমান, মোছতাকিন মোরছালিনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চক্রান্তকারীদের সবার পরিচয় বেরিয়ে আসবে।'
বিস্তারিত....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




