শরয়ী সমাধান
حامدا و مصليا و مسلما، اما بعد
জনাব মামুনুর রশিদের লিখিত ও মৌখিক এবং মরিয়ম বেগমের লিখিত বক্তব্য দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক অটুট আছে। কোন ধরণের ঝগড়া-বিবাদ বা মনোমালিন্য তাদের মধ্যে নেই। পিতা ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন তাদেরকে কাজী অফিসে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী কর্তৃক তালাক কবুল করতে ও তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ঘটনা সত্য হলে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী উক্ত ঘটনার দ্বারা মামুনুর রশিদের স্ত্রীর উপর কোন তালাক পতিত হয়নি। তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুর্বের ন্যায় বলবৎ আছে।
উল্লেখ্য যে, ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মামুনুর রশিদের পিতা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ তাঁর ও মরিয়ম বেগমের বৈবাহিক সম্পর্কের উপর খুবই অসন্তুষ্ট। ফলে তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় কোন মেয়েকে বিবাহ করে নিলে পরিবারের অন্য কারো এধরণের অধিকার থাকেনা। বরং একটি হালাল বিবাহ চ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে তারা আল্লাহর আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। হাদিস শরীফে এসব লোকদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারি বাণী ও শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই তাদের সকলের কর্তব্য হলো মামুনুর রশিদের উক্ত বিবাহকে মেনে নিয়ে তাদের সাথে সৌহার্দ্যপুর্ণ আচরণ করা। কোন অবস্থাতেই তাদের এ বিবাহ বন্ধন চ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা ইসলামী শরীয়তে বৈধ হবে না। বরং উল্টো তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছে পবিত্র কুরআন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে দ্বীন বুঝার ও তদনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন! আমীন!!
প্রমাণাদি
(১)وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا (سورة النساء،৩৫)
(২) وَفِي الْبَحْرِ أَنَّ الْمُرَادَ الْإِكْرَاهُ عَلَى التَّلَفُّظِ بِالطَّلَاقِ ، فَلَوْ أُكْرِهَ عَلَى أَنْ يَكْتُبَ طَلَاقَ امْرَأَتِهِ فَكَتَبَ لَا تَطْلُقُ لِأَنَّ الْكِتَابَةَ أُقِيمَتْ مَقَامَ الْعِبَارَةِ بِاعْتِبَارِ الْحَاجَةِ وَلَا حَاجَةَ هُنَا ، كَذَا فِي الْخَانِيَّةُ ،(رد المحتار)
(৩)قَالَ فِي الْبَحْرِ : وَلَا بُدَّ مِنْ الْقَبُولِ مِنْهَا حَيْثُ كَانَ عَلَى مَالٍ ، أَوْ كَانَ بِلَفْظِ خَالَعْتكِ ، أَوْ اخْتَلِعِي ا هـ . (رد المحتار)
(৪) وَفِي الْقُهُسْتَانِيِّ عَنْ شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ : السُّنَّةُ إذَا وَقَعَ بَيْنَ الزَّوْجَيْنِ اخْتِلَافٌ أَنْ يَجْتَمِعَ أَهْلُهُمَا لِيُصْلِحُوا بَيْنَهُمَا ، فَإِنْ لَمْ يَصْطَلِحَا جَازَ الطَّلَاقُ وَالْخُلْعُ .ا هـ .ط ، وَهَذَا هُوَ الْحُكْمُ الْمَذْكُورُ فِي الْآيَةِ ، وَقَدْ أَوْضَحَ الْكَلَامَ عَلَيْهِ فِي الْفَتْحِ آخِرَ الْبَابِ ،(رد المحتار)
(৫) وَإِذَا أَضَافَهُ إلَى شَرْطٍ وَقَعَ عَقِيبَ الشَّرْطِ مِثْلُ أَنْ يَقُولَ لِامْرَأَتِهِ : إنْ دَخَلْت الدَّارَ فَأَنْتِ طَالِقٌ(هدايه،جلد ২ صفحه ৩৬৫)