সাত নদী তের সমুদ্দুর দূরে
কেবল এক অন্তহীন ভাবনা
একটু খানি সুখবরের জন্য
পেপার পত্রিকা টিভি রেডিও ব্লগ খুজে বেড়াই
একটু খানি আলোর আশায়
কিন্তু না। কোথাও কেউ ভালো নেই।
কোন আলো নেই সুড়ংগের শেষে
কেউ ভালো নেই।
কেউ ভালো নেই।
মাজারের ফাতেহা পাঠের কিন্চিৎ-ক্ষমতাবান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়
আপনার অসীম ক্ষমতাবান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ কে দেশ, আর মানুষকে মানুষ মনে করেন না।
তার কাছে দেশ কেবল ছড়ি ঘুরানোর চিরস্থায়ী জমিদারি।
আর প্রফেসর ইউনুসের মতো নোবেল বিজয়ী ও তার কাছে মানুষ নয়
বিশ্ববরণ্য এ ব্যক্তিত্ব ও আজ শান্তিতে নেই।
যদিও পাশের দেশের আরেক নোবেল বিজয়িকে নিয়ে নাচানাচি করতে তার এতটুকু বাধেনি।
ধিক হে ঘসেটি বেগম।
ধিক।
এত্ত নিচ তুমি।
ছিঃ।
শেয়ার বাজার, দ্রব্য-মূল্য, পানি, বিদ্যুৎ, আইন শৃংখলা, .....
ব্যাংক, অর্থনীতি, ডলারের রিজার্ভ, খাদ্য, চাকরি, ....
কোন জিনিসটা আজ ভালো আছে?
ছাত্রলীগ নামক নরপশুরা প্রতিটি বিশ্ববদ্যালয়কেই আক্ষরিক অর্থেই ডাকাতের গ্রাম বানিয়েছে।
কোথাও বেশ্যালয়!
দিন দুপরে জয় বাংলা শ্লোগানে
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে খুন হয় জুবায়ের আবু বকররা
আর রাতের ক্যাম্পাসে এদের মাতলামির কাছে নাকি শেয়াল ও নস্যি।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সরকারী দল
কোন লেবেলই বাঁচাতে পারেনি লোকমানকে
সারা দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকা।
হত্যা গুম খুনের শিকার পরিবার-স্বজনেরা লাশের অধিকারের জন্য আন্দোলনে নামে।
কেবল লাশটি ফেরত চায় একজন হতভাগা মা।
সারা দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকা।
কেবল হত্যার স্বীকৃতি চায় একজন হতভাগা বাবা।
সারা দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকা।
সরকারি শকুনেরা সাবাড় করছে রাষ্ট্রের প্রতিটি ভাগাড়
চোর দরবেশে মিলে ভাগাভাগি করে মেহনতি মানুষের ঘামে ভেজা ধন।
চারদিকে কেবল লুটেরা বর্গির দল
শেখের মাইয়া আজ বড় বেপরোয়া।
জয়বাংলার অভিধানে আজ মানবতা নেই।
মায়া নেই মমতা নেই
ন্যায় অন্যায়ের কবে যে সলিল সমাধি হলো।
বিচার আদালত সেতো তামাশা।
সারা দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকা।
জয়বাংলা বলে এখন গোটা দেশটাই সাবাড় করা যায়।
একচোখা শকুনের থাবায় ছিন্ন হে স্বদেশ!
চরম আতংক নিয়ে আবারও তোমায় দেখি
কেবলি এক মৃত্যু উপত্যকা।
সারা বাংলাদেশ আজ এক ভয়াল মৃত্যু উপত্যকা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




