somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রচনাঃএকটি জ্বীন সেতু :-*

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সূচনা: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীব।ইহার গুরুত্ব মুখে, কাগজে, হাতে, পায়ে বলিয়া বা লিখিয়া শেষ করা সম্ভব না, তাই কী-বোর্ড দিয়া লিখিতেছি। এই সেতুটি পদ্মা নামক একটি নদীর উপর দাড়াইয়া থাকিবে বলিয়া অনেকের বিশ্বাস এবং সেই সূত্রে এর নামও রাখা হয়েছে "পদ্মা সেতু"।ইচ্ছা করলে এর নাম অবশ্য "সাহারা মরুর আবুলীয় সেতু" রাখা যেত।নিম্নে ইহার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা ও এর উপকার রচনা করা হইলো।



বর্ণনা: পদ্মা সেতু একটি অত্যন্ত উপকারী জন্তু। ইহার অনেকগুলা মোটা চিকন পা, লম্বা দুইটা লেজ এবং হালকা বাকা ত্যাড়া একটা পিষ্ঠ রহিয়াছে।কিন্তু এই সেতুটি সচরাচর চোখে দেখা যায় না, তার কারন হিসেবে অনেক বিশেষ অজ্ঞ বলেন যে এটা জ্বীন জাতীয় জীব হতে পারে।ইহার পিঠের উপরে অনেকগুলা খাজ কাটা খাজ কাটা খাজ কাটা আছে।এর দুইটা লেজ থাকলেও লেজে কোন লোম নেই। ইহা প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার লম্বা জীব।এর কোন নাক এবং কান নাই।নাক না থাকার কারনে ইহা কোথা দিয়া যে শ্বাস নেয় তা বোঝা যায় না।ইহা সাধারন জনগনকে!! কোন দুধ দেয় না।তবে বিশেষ বিশেষ লোকদেরকে দুধ দেয়।এই জন্তুটির কোন ওলান খুঁজে পাওয়া যায় নাই, তাই জণগণ জানে না ইহা দৈনিক কি পরিমান দুধ দেয় অথবা এর ওলান কিরকম কিংবা কোথায় আছে!। নানা ধরনের আবুল কাবুল’রা এইসব দুধ খেয়ে খোদাই খাসীর মত মোটা তাজা হয়ে যায় !! পদ্মা সেতুর দুধে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, পানি ও জ্বৈনিক উপাদান আছে, এই কারনে দেশের নানা সমস্যায় আবুলেরা জ্বিন এর মত হাওয়াই কথা বলিতে খুবই পটু হয়।পদ্মা সেতুর কোন মাথা নাই, সুতরাং এর কোন শিংও নাই।শিং না থাকার কারনে এই জীব কাউকে গুতা দিতে পারে না।এর পায়ের নীচে মোটা মোটা খুর আছে।এই খুর অনেক দামী।পদ্মা সেতুর গোবর , মুত্র এবং চামড়াও অনেক দামী।আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সেতুকে সযত্নে লালন পালন করার জন্য অনেকগুলা রাখাল রাখিয়াছে।বেশীরভাগ রাখাল আবার বেশ তাজা ধরনের রাখা হয়েছে, যাতে করে তারা ৪৮ ঘন্টায় সব কাজ করে ফেলতে পারে। আশা করা হচ্ছে 2020 সালের মধ্যে এই সেতু গর্ভবতী হইয়া দেশকে দুই ইঞ্চি আগাইয়া দিবে।

উপকারীতা: আগেই বলা হইয়াছে, পদ্মা সেতুর উপকারের কোন শেষ নেই।এই সেতুর দ্বারা সরকারী নেতা, বিরোধী নেতা, ছোট নেতা, পাতি নেতা, আইট্টা কলা নেতা, কাঠালের বীচী নেতা, ছাগল নেতা, বাদর নেতা সহ আরো অনেক ধরনের নেতারা উপকৃত হইবে এবং এর মাধ্যমে দেশ আগাইয়া যাইতে থাকিবে।শোনা যায় এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিন বঙ্গের নানা ধরনের পাগল ও শিশুরা টাকা কামাইতে ঢাকা চলিয়া আসিতে পারিবে।অনেকে নাকি এখনি লঞ্চে উঠিয়া এই সেতুর উপরে দিয়া চলিয়া আসে।তারা বলেন যে সারা জীবন এইভাবে লঞ্চে উঠিয়া পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়া ঢাকা আসা অনেক আনন্দের।এই সেতুর কারণে দেশের পাগল এবং শিশুরা অত্যন্ত উচ্ছসিত আছে।তারা চায়ের দোকানে, অফিসে, আড্ডায় পদ্মা নামক জ্বীন সেতুর আলোচনা করে থাকে এবং আনন্দ পাইতে থাকে।পদ্মা সেতু রেল নামক দৃশ্যমান জীবের চাইতেও বেশী উপকারী।রেল এ চুলের মধ্যে অনেক কালো বিড়াল পাওয়া যায়, কিন্তু পদ্মায় কালো ডাইনোসর পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।এইসব ডাইনোসরেরা গাড়ীতে করিয়া, থলেতে করিয়া, বাক্সতে করিয়া নানা জায়গার বড় বড় মানুষদের বাসায বাসায় ভ্রমন করিবে এবং আনন্দ দিয়া বেড়াবে তবে্ এই বিড়াল এবং ডাইনোসর শিশু ও পাগলদের কোন কাজে আসে না বরং মাঝে মাঝে কামড় দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাসস্থান এবং উৎপত্তি: পদ্মা সেতুর উৎপত্তি আপাতত অজানা, তবে ধারনা করা হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক নামের বৃহত ষাড়ের বীজ দ্বারা এই সেতুর জণ্ম হবে।কিন্তু এই বীজ আসার পূর্বেই আবুল কাবুলেরা কাউ কাউ করিয়া উঠিয়াছে বিধায় ষাড় খানিকটা খেপিয়া গিয়াছে।এই ষাড়কে ঠান্ডা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বড় বড় পীরদের শরনাপন্ন হয়ে পড়া পানি আনিতে সচেষ্ট আছে।দেশের বড় বড় নেতা নেত্রীদের কেউ কেউ আবার বলেছেন ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত দিয়া সেতু জন্ম দেয়া হবে।এতে অনেকে ভয় পেয়ে গেছেন এই ভেবে যে তাদের হাত দিয়ে সেতু জন্ম হলে তারা হাত কোথায় পাবেন।হাত ছাড়া তো সবাই ঠাকুর সাব হয়ে যাবে এবং দেশের ক্রিকেট শিল্প ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।এই সেতুটি বাংলাদেশের পদ্মা নামের এক নদীর উপরে বসবাস করিবে।যদিও ধারনা করা হচ্ছে এই নদী খুব দ্রুত সাহারা মরুভূমি হইয়া যাইবে তবুও সবাই চায় এমন দুধেল প্রাণী আমাদের দেশে বসবাস করুক এবং প্রচুর পরিমানে দুধ উৎপাদন করুক, কারন সাহারা মরুভূমিতে কোন দুধ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা নাই।বাংলাদেশের অনেক বিজ্ঞানী আবার এই পদ্মা সেতুর দুধের সাথে হরলিক্স, মালটোভা ইত্যাদি মিশাইয়া আরো উন্নত কোন উপাদান তৈরী করার জন্য গবেষনায় ব্যস্ত।দেশের ছোট খাটো নেতারা অবশ্য এই সেতুর গোবর, মূত্র এবং খুর দিয়া নিজেদের কাজ চালাইয়া নিতে চায় এবং তারা এর শিং না থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

উপসংহার: এই পদ্মা সেতু অনেকের অনেক উপকারে আসলেও শিশু ও পাগলদের কোন উপকারেই আসবে বলে মনে হয় না। কিন্তু শিশু এবং পাগলরা তারপরও পদ্মা নামক জ্বীন জাতীয় সেতুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষো করছে।তবে পদ্মা সেতু অবশ্যই শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যবান হওয়া দরকার নতুবা চট্রগ্রাম ফ্লাইওভার জন্তুর মত চিৎ হইয়া পড়িয়া অনেক পরিমানে শিশু ও পাগল মারা যাইতে পারে।যদিও দক্ষিন বঙ্গের বহু পাগল ও শিশু প্রতি বছর লঞ্চে করে আসার সময় নানা রকম নদীতে ডুবে মারা যায় এবং এভাবে মারা গেলে মাছেদের অনেক খাবার হয় আর মৃতদের পরিবার বেশ কিছু ছাগলও পায়, তারপরও দেশের পাগল ও শিশু কমাতে এরকম নৃশংস পদ্ধতি অবলম্বন না করাই ভালো।অনেকে বলেন এই পদ্ধতিতে পাগল ও শিশু কমানোটা নৃশংস হলেও বিশ্বজিৎ, প্রামানিক দের মত ছিল্লা কাইটা হত্যা করার মত এত নৃশংস পদ্ধতি না।আমরা চাই বাংলাদেশে পদ্মা সেতু বসবাস করুক এবং দুধ দিক, কিন্তু সেই দুধের পানি মেশানো কিছু অংশ হলেও যেন দেশের পাগল ও শিশুরা পায়। নৃশংস কসাই, হাড্ডিসার সেতু জাতীয় জীব, লঞ্চডুবি কার্যকলাপ, স্থাপনায় আগুন ইত্যাদি দ্বারা দেশে পাগল ও শিশু নিয়ন্ত্রন না করে এটমিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রন করা হউক।এতে করে জনসংখ্যা দ্রুত কমবে এবং এটা একটি বিদেশী অত্যাধুনিক পদ্ধতি হওয়াতে অনেক সুনাম কামানো যাবে, যা বিভিন্ন দেশে আমাদের ভাবমুর্তিকে অনেক উঁচুতে উঠিয়ে দেবে।তবে বেশী উঁচুতে উঠাতে গিয়ে পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্টের বর্ডারে পাঠানো ঠিক হবে না, এতে করে ভাবমুর্তি এত বেশী উচুতে ওঠার সম্ভাবনা, যে সেটা সূর্যের কাছে চলে যেতে পারে।

**রচনার সমস্ত ঘটনা, চরিত্র, নাম, স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক।বাস্তব কারো সাথে মিলে গেলে লেখক. প্রকাশক, পাঠক, কম্পিউটার, ইন্টারনেট কোনভাবে দায়ী নয়।তবে একমাত্র দায়ী হতে পারে ইলেক্ট্রিসিটি কারণ আজকে টাইম মত ইলেক্ট্রিসিটি ছিল। **

রচনার পূর্ণমান - ১৩.৫৩
হাতের লেখা-৬.২৩
বিষয়বস্তু-৬.২৩
লেখার মান -১.১০
সাধু ও চলিত ভাষার গুরুচন্ডালী দোষ অগ্রাহ্য করা হইবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×