নড়াইেল স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পিটিয়েছেন এক সেনা সদস্য। ওই সেনা সদস্যের নাম শফিকুল শেখ। সে সিলেট সেনানিবাসের ৩৮ বেঙ্গলে কর্মরত । আর তাঁর নির্যাতনের স্বীকার স্ত্রীর নাম ববিতা। তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ববিতার স্বামীকে গ্রেপ্তার না করে স্বামীর ভাইকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নড়াইল লোহাগড়া থানার উপজেলার কাশিপুর ইউপির শালবরাত গ্রামে এই ঘটনা ঘটে ৩০ এপ্রিল। এতিদন ঘটনা চাপা থাকলেও গাছে বেধে নির্যাতনের ছবি কেউ একজন তুলে রেখেছিলেন। আর সেই ছবি একহাত হয়ে অন্য হাতে গেলে ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে।
অভিযোগ স্বামী শফিকুল,ভাসুর হাসান শেখ,শ্বশুর ছালাম শেখ,শাশুড়ি জিরিন আক্তার,চাচা শ্বশুর কালাম শেখ ও প্রতিবেশী নান্নু শেখ মিলে ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ববিতা অজ্ঞান হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাকে বাজারে নিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর ববিতাকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ মে মঙ্গলবার সাতজনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
নড়াইলের সাংবাদিক আব্দুন সাত্তার জানান, ববিতার স্বামি সেনা সদস্য শফিকুলকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।সে তাঁর কর্মস্থলে চলে গেছে। আর তিনি এ নিয়ে একটি রিপোর্ট করে চাপের মুখে আছেন। যৌতুকের দাবিতে এই নির্যাতন করা হয় বলে জানান তিনি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন,এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন ববিতার মা খাদিজা বেগম।
See more at: Click This Link