নেত্রকোনা জেলা লোকসংস্কৃতির লীলাভূমি। লোকসংস্কৃতির নানা উপাদানে সমৃদ্ধ এই জেলা। সে উপাদান ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব দরবারে ময়মনসিংহ গীতিকার কল্যাণে। লোকমুখে প্রচলিত অনেক উপাদানই এখন হারিয়ে যাবার পথে। সেই হারানো ঐতিহ্যের এক চিলতে ঝলক লোকসংস্কৃতির নানাবিধ অনুষঙ্গ নিয়ে লেখা হয়েছে এই বই। নেত্রকোনা অঞ্চলের লোকছড়া, প্রবাদ-প্রবচন, লোকধাঁধাঁ ও শিলুক, বিয়ের গান, মেয়েলী গীত, জারি গান, বৃষ্টির গান, বারোমাসী গান, বাউল-মুর্শিদী, দেহতত্ব, মারফতি, ভাটিয়ালী, পক্ষী শিকারের গান, পুথি পাঠ, হালকার গান, আঞ্চলিক গান, কবিগান, পল্লী গান, ফকিরালী জিকির গান, খেয়ালী ও রাখালী গান, পালা-গীতি, পাড়া-গায়ের ছড়া, দরবারী শিলুক, পালাগীতি অভিনয়, সাপের মন্ত্র, বারনী-আড়ং, ষাড়ের লড়াই, মুরগের লড়াই, চৈত্র সংক্রান্তিতে মশা-মাছি তাড়াবার আনুষ্ঠানিকতা, লোক-কাহিনি নির্ভর কিচ্চা, পালাগান, যাদু টোনা মন্ত্র, গাইনের গীত, হিরালী, পালকির গান এসব অধিকাংশেরই সামাজিক জীবনে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকলেও তা হারিয়ে যাচ্ছে।
লোকসংস্কৃতির পাশাপাশি এ গ্রন্হে উঠে এসেছে আরো কিছু গুরুত্বপূণ বিষয়। নেত্রকোনার আদিবাসী, সংস্কৃতি সংগ্রাম-বিদ্রোহ-আন্দোলনে নেত্রকোনা,পাগলপন্থী আন্দোলনে, ছফাতি নেতৃত্বে গারো বিদ্রোহ, হাতি খেদা আন্দোলন, টংক আন্দোলন, নেত্রকোনায় তেভাগা আন্দোলন ও সর্বভারতীয় কৃষক সম্মেলন, মুক্তিযুদ্ধে নেত্রকোনা, নেত্রকোনার প্রাচীন নিদর্শন, নেত্রকোনার সাহিত্য সম্মেলন ও সংস্কৃতি
লোকসাহিত্য সঙ্গীতের আনন্দ ভুবন: নেত্রকোনা। এ ছাড়া তুলে ধরা হয়েছে নেত্রকোনার লোকগীতি, ভাটিয়ালী গান, জারি গান, সারি গান, গাজীর গীত, ঘাটু গান, ধামাইল গান এবং যাত্রাগানের কথা। এসব আলোচনার পাশাপাশি আলোকপাত করা হয়েছে বস্তুগত লোকসংস্কৃতি, কিংবদন্তি, পুথি সাহিত্য এবং ভাটকবিতাসহ নানাবিধ বিষয়। লোকসাহিত্য প্রেমী পাঠক ও গবেষকের কাছে বইটি আদরণীয় হবে।
[নেত্রকোনার লোকসংস্কৃতি বইয়ের প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।)
বইয়ের নাম: নেত্রকোনার লোকসংস্কৃতি
লেখকের নাম: হামিদুর রহমান
প্রকাশক: বাদল চৌধুরী
প্রকাশনা সংস্হা: য়ারোয়া বুক কর্ণার
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪২