somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনলাইনে বই প্রকাশ: সুযোগ ও অবস্থান, বিশ্ব ও বাংলাদেশ (ই-বুক এর ইতিবৃত্ত - ২য় পর্ব)

১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নীলক্ষেত থেকে বিদেশী রঙীন বইয়ের বাজে ও সাদাকালা ফটোকপি পড়ে পড়ে যাদের জীবন ত্যানা ত্যানা লেখাটি তাদের জন্য,
প্রকাশকদের পেছনে ঘুরে ঘুরে জুতোর লাইফ হেল করেও নিজের মানসম্মত বইটি প্রথম বলে যারা প্রকাশ করতে পারেছেন না লেখাটি তাদের জন্য,
হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়তে ভালেঅবাসেন অথচ ‘অন্যপ্রকাশ’-এর বেঁধে দেয়া বিরাট অঙ্কের হাদিয়ার কারনে যারা অপেক্ষায় থাকেন কবে নতুন বইটার সফ্টকপি বের হবে (যদিও ইহা অন্যায়), এই লেখাটি তাদের জন্য ।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যারয়ে যারা পড়ি আমরা খুব ভাল করেই অনুধাবন করি যত বিদেশী লেখকদের বই আমাদের পড়তে হয় তার সব যদি নীলক্ষেতের ফটোকপিও পড়তে যাই আমাদের অধিকাংশের বাজেটে পোষাত না। এক্ষেত্রে রক্ষা যে বিদেশী বইয়ের সফ্টকপিগুলো পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন এর সুবাদ-এ স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রেও তাদের পাঠ্যবইগুলোর অনলাইন সংস্করণ আজকাল পাওয়া যাচ্ছে খুব সহজে, যদিও এর দরকার ছিল অনেক আগেই।

শুরুটা যে হয়েছে তা সুখের সংবাদ হলেও বেশী সুখবোধ করার কোন কারণ নেই; কারণ অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব যেখান বহু এগিয়ে গেছে আমরা সেখানে যথেষ্ট পেছনে।

আমরা পিছিয়ে নিজেদের বোধগত জায়গায়- কয়েকশত গান মোবাইলে থাকা খুব স্বাভাবিক, কিন্তু কয়েকটা বই মোবাইলে নিয়ে ঘুরে বেরানোর মত লাইফ প্র্যাকটিস্ আমরা এখনো শুরু করতে পারিনি ব্যাপকভাবে।
আমরা পিছিয়ে রাষ্ট্রের উদাসীনতার কারেণে ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে;
আমরা পিছিয়ে ব্যক্তি-উদ্যোগ ও দূরদর্শী চ্যালেঞ্জ গ্রহনের মন-মানসিকতার অভাবে, প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনাগুলোও কম লাভের ভয়ে কিংবা কোন অজ্ঞাত কারনে তেমনভাবে এগিয়ে আসেনি ই-বুক কিংবা অনলেইনে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে।

আশার কথা হল- সব অভাব-ই পূরণ হবে, চাইলেও আমরা পিছিয়ে থাকতে পরব না। দুঃখ শুধু একটাই- যখন যা দরকার তখন যদি তা না পাই।
যাহোক মূল বক্তব্যে ফিরে আসি।

ই-বুক এর উৎস দুই ধরনের হতে পারে-

প্রথমত: সরাসরি অনলাইনেই প্রকাশিত বই; এবং
দ্বিতীয়ত: মুদ্রিত বই এর অনলাইন ভার্সন প্রকাশ।

কোন প্রকাশনী যদি সরাসরি তাদের বইটি অনলাইনে প্রকাশ করে তবে তা প্রথম শেণীতে পড়ে। নতুন লেখকদের জন্য এটি হতে পারে বিশাল এক সুযোগ তাদের সৃষ্টি বহু মানুষের কাছে অল্প সময়ের মাঝেই পৌঁছে দেয়ার ও পরের বই প্রকাশের পথটি অনেক সহজ করার। পৃথিবীতে অন্যান্য অনেক দেশে এই সুযোগটি থাকলেও আমাদের দেশে এর অবস্থা খুবই নৈরাশ্যকর।
অন্যদিকে, যে প্রকাশনী তাদের মুদ্রিত বইয়ের অনলাইন ভার্সন প্রকাশ করে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এই সংস্কৃতি যদিও বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তবু আশাপ্রদ নয়। তার ওপর অনেক সাইট আছে বর্তমানে যেখানে বিভিন্ন বাংলা বই পাওয়া যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই পাইরেসী করে প্রকাশনীর অনুমতি না নিয়ে বইগুলোর সফ্টকপি অনলাইনে ছেড়ে দেয়। এরা প্রকাশক তথা কোন অর্থেই Publisher নয়।

“অনলাইন বুক পাবলিশিং” এ বাংলাদেশের কিংবা বাংলা বইয়ের যে বেহাল অবস্থা তার কিছু সংখ্যাগত প্রমাণ দিচ্ছি। নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ৯৭৩ টি E-Book Publishing Companies রয়েছে (তথ্যসূত্র), যার মাঝে বাংলা ভাষায় E-Book Publishing Company আছে মাত্র চারটি (তথ্যসূত্র), যার তিনটিই কোলকাতা থেকে প্রকাশিত । একটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত বলা হলেও তার কোন ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, অর্থাৎ সেটির বাংলাবাজারে একটি অফিস থাকলেও কোন উল্লেখযোগ্য অনলাইন একটিভিটি নেই।

সুতরাং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ছিল পিছিয়ে।
সেই শূণ্যতা পূরণ করতে যে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে এসেছে তা হল “গ্রীন নেট পাবলিশার্স” (Green Net Publisher) । (https://www.facebook.com/GreenNetPub)
এবং “গ্রীন নেট পাবলিশার্স” এর মূল ওয়েবসাইটের ঠিকানা হল- www.greennetpub.com

যেজন্য উদ্যোগটি খুব বেশী প্রশংসিত ও প্রয়োজনীয়:

>নতুন লেখকদের বই প্রকাশ নিয়ে যে বিশাল প্রতিবন্ধকতা, অনিশ্চয়তা ও প্রতারণার শিকার হতে হয় তার একটা চমৎকার সমাধান সমস্যার সমাধান গ্রীণ নেট অনলাইন বুক পাবলিশার্স ।
>প্রচুর সংখ্যক দেশী-বিদেশী পাঠকের কাছে স্বল্প সময়ে পৌঁছানো সম্ভব একমাত্র অনলাইন পাবলিশিং এর মাধ্যমেই।
>‘বই প্রকাশ ও পাঠকের কাছে পৌঁছানো’ ধারণাটিকে সহজবোধ্য ও প্রক্রিয়াটিকে সহজসাধ্য করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে “অনলাইন বুক পাবলিশিং”।
বাংলা বই প্রকাশনা জগতে এটি নিশ্চয় একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কারণ, অনলাইনে বই প্রকাশ, প্রচার ও বিপনণ এর সুযোগ-সমৃদ্ধ এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম।
- See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×