ইনবক্স অণুকাব্য : ৫ : হাসান মনজু
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নন্দিনী,প্লিজ যেয়োনা ও পথে
হতে পারো ছিনতাই,
কে শোনে কার কথা যা হবার হলো তাই
হীরে জহরত সোনার পালঙ্ক তার সাথে নিজেও ছিনতাই
মাঝরাতে সর্বস্ব লুট
পেলাম মুক্তিপণের চিরকুট
মুক্তিপণ পরশ পাথরে সাজানো নক্ষত্রে খামার বাড়ী
কোথা পাই এত পণের কড়ি?
আমার কী !
আমি নুলো ভিখিরী
চাঁদ এখন অন্য গ্রহের বাসিন্দা
খুব কাছ থেকে দেখা পুলক বাবুর প্রিয়ার মুখ নয়
ক্ষুধার রাজ্যে যন্ত্রণাক্লীষ্ট সুকান্তর ঝলসানো রুটী,গদ্যময়
এমন চাঁদ কিছুতেই আমি চাইনা
তুমিতো আবার চাঁদের কথায় আহ্লাদে আটখানা
আদিক্ষেতায় বলে বসো আর জনমে চাঁদ হতে চাই
পাগল ! আমি কুল কিনারা ভেবে না পাই
দেখো বিরহের লেখাটি আমার ভেবেছো তো সর্বনাশ
হাজার বছর কবিতা লেখার হাজত বাস
কম পক্ষে শত বছর রিমান্ড কবিদের দরবারে
কিংবা দ্বীপান্তর অন্য গ্রহান্তরে
-উঃ অর্ক, বেশতো ভালই হবে
বাকস পেটরা গোছাই তবে
নক্ষত্র খামারে অথিতী হবো
শাড়ী চুড়ী গয়নাগাটি সবই নেবো
গোলাবাড়ি থেকে কিছু দূরে রবো সূর্যমুখী-পাড়ায়
দেখী কে আমারে ফেরায়
সঙ্গে নেবো আলাউদ্দীন খাঁ,
মোজার্ট,বেতোবেন ভীমসেন যোশী
তুমিও যেতে পারো ইচ্ছে হলে যা তোমার খুশী
সাথে নেবো প্রিয় ফুল পাখি যতো
এক একটি নূতন নাম দেবো ইচ্ছে মতো
চৌরাসিয়াকেও ডেকে নেবো নবান্নের উৎসবে
বিদায় আজ যাই তবে
উল্কাদের আতশ বাজী উৎসবের শেষ ভাগে
বিসমিল্লা খাঁর সানাঈ হবে পুরিয়া ধানেশ্রী রাগে
ইচ্ছে হয় তো চিঠি দিও পূর্ণতিথীর রাতে
ওয়ান ওয়ে টিকেট পাবে ধুমকেতুর হাতে
=নন্দিনী,প্লিজ আজ যেয়োনা
আজ তোমার বিবাহ বার্ষিকী
-অর্ক,যাবার বেলায় করছো কেন এয়ার্কি ?
সেটা হয়নি কখনো,আসবেনা সে তিথী
তাতে কি
সে দিন থেকেই মনে মনে
তুমি আমার পার্বতী
সেদিন থেকেই ঘুর্ণিঝড়,জলোচ্ছাস
বুক ভরা নিকোটিন,মদিরার দীর্ঘশ্বাস
তোমার রথের চাকায় চূর্ণ হাড় পাঁজর
সুনামীতে ভেসে গেল দালান বাড়িঘর
- আমার সব স্বপ্নইযে ঝুরঝুর করে
ঝরে পড়ছে অর্ক
= তুমিইতো আমার স্বপ্ন নন্দিনী
-আমার অনেক অনেক স্বপ্ন ছিলো
= জীবনটাই তো স্বপ্ন নন্দিনী
স্বপ্নের আবার স্বপ্ন কি ?
স্বপ্নে স্বপ্ন সত্যি
জাগরণে সব মিথ্যা
তাই জীবনের বাকীটা সময়
স্বপ্নে কাটাতে চাই
ভালবাসার ভগ্ন অট্টালিকায়
চলবে~~~~~~~~~~~~~~