পত্রিকার শিরোনাম । চীনে কোরান এবং ধর্মীয় বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে । এমন কি জায়নামাজ ও সেখানে নিষিদ্ধ । এগুলো সরকারি দফতরে জমা দিয়ে আসতে বলা হয়েছে। গনতন্ত্রহীন একটা রাষ্ট্রে এমন কাজ সম্ভব। ইসরাইলের মত একটি রাষ্ট্র এমন অদ্ভুত আর চরম ইসলাম বিদ্ধেষী সিদ্ধান্ত নেয়নি বা নিবে ও না। চীনের কারনে নিরাপত্তা পরিষদে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি । কোন ঘোষনা বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে অনুষ্ঠান। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড,আর ফ্রান্সই বাংলাদেশের পাশে ছিল। মিয়ানমার কূটনীতি বা সামরিক সব দিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে বলা যায়। তারা কিছুদিন পর পর রোহিংগাদের বাংলাদেশে পাঠাবে আর আমরা মানবতার নাম নিয়ে সেগুলো গ্রহন করে যাব । বাংলাদেশ কি আর একটু গলা চড়াতে পারতো না মায়ানমার ইস্যুতে??!!! নিরাপত্তা পরিষধের আলোচনায় বসার আগে যদি বাংলাদেশের প্রভাবশালী কেউ এই ঘোষনা দিয়ে বলতো যে এই পরিষধের পরত্যেক রাষ্ট্রের অবস্থান আমাদের পরবর্তী পররাষ্ট্র নীতিতে প্রভাব ফেলবে । তাহলেই তো চীন মায়ানমারের পক্ষে তার অবস্থান কিছুটা হলে ও নমনীয় করতো। আর অন্য রাষ্ট্র তখন আরো বেশি চাপ দিতে উৎসাহিত হত..। ভারত কে নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে গিয়ে চিনের ব্যাপারটা পুরোপুরি এড়িয়ে গেছি। ভারতে মুসলিম নিধন হলে সেটার বিরুদ্ধে মামলা হয় । গুজরাট মামলা তার প্রমান । কিন্তু চীনে কি এমন কোন মামলা হয়েছে ??!! সেখানে সংখ্যা লঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে সকল সহিংসতা হয়েছে তার বিরুদ্ধে??!!! চীনের মানুষ এক উন্মুক্ত কারাগারে বাস করে।সেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা গলা টিপে হত্যা করা হয়। চীন যে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র না এটা সবার বোঝার সময় এখনই । মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশকে চোখ রাংগানী দেবে চীনের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আর আমরা সেটা সহ্য করে যাব । কি অদ্ভুত এক জাতি আমরা। এদিকে আরেক বড় ভাই ইন্ডিয়া যাকে বাংলাদেশ সব দিয়ে দিছে । সে ও পল্টি দিল। ইন্ডিয়া যে বিশ্বাস ঘাওক জাতি সেটা আমরা জানি। ইন্ডিয়ার সাথেই বেশি দহরম মহরম এর কারনে ও চিনের মায়ানমারকে সাপোর্ট করায় ভূমিকা রেখেছে। তাই বাংলাদেশের এখনই উচিত চোগল খোর ইন্ডিয়া আর রেড ডেভিল চীনকে বাদ দিয়ে ফ্রান্স,ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুটনতি আরো উন্নত করা । আর মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক বিশেষ করে মালেয়শীয়া আর ইন্দোনেশিয়ার সাথে সামরিক সম্পর্ক জোর দার করা। কেননা এই দুটো দেশের সাথে আছে মিয়ানমার আর চীনের সীমান্ত । এদের সাথে সামরিক সম্পর্ক ভালো থাকলে হতদরিদ্র মায়ানমার জিবনে ও বাংলাদেশকে এমন চোখ রাংগানী দিতে পারতো না...।। মায়ানমার এর কাজ ই হল রোহিংগা উৎপাদন করা। আর ২ বছর পর পর সেগুল বাংলাদেশে পাঠানো। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব এক সময় বিলিন হয়ে যাবে।এখনই চিটাগাং অঞ্চলে স্থানীয়দের থেকে রোহিংগার সংখ্যা বেশি। তারা এক সময় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। আর গনতান্ত্রিক দেশে সংখ্যা গরিষ্টরাই সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়ে থাকে ভোটের রাজনীতির কারনে। সেখানে কে বাংগালী আর কে রোহিংগা আসল বিষয় না।কার ভোট ব্যাংক কত সেটাই আসল বিষয় ।এক সময় চিটাগং ও রোহিঙ্গাদের হয়ে যাবে না সেটার নিশ্চয়তা কি ?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭