somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

#ইশান_এবং_কুখ্যাত_সন্ত্রাসী_কালা_মফিজ (পর্ব-৩)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




রহমত দৌড়ে আসল আমার রুমে।ইশান ভাই ইশান ভাই
- কি হয়েছে রহমত।
- ডানা কাটা পরী আসছে একটা মেসে।রাগী পরী।
- কোথায় সে এখন?
- আসাদ ভাইর রুমের সামনে।
ডানা কাটা পরী দেখার কৌতুহল চাপলো।বের হয়ে এলাম রুম থেকে।সত্যিই ডানা কাটা পরী মেয়েটা।আসাদের রুমের সামনে সে।ক্রমাগত দরজা ধাক্কা দিয়ে চলেছে।
-আসাদ তোমাকে শেষ বারের মত বলছি দরজা খুল।

ভিতর থেকে শব্দ আসে

- খোলা যাবে না।আমি হিমু হওয়ার ট্রেইনিং নিচ্ছি।তুমি এখন আসতে পার।
- আমি চিৎকার করব যদি না বের হও।আমি তোমাকে এক মিন সময় দিচ্ছি।এর মধ্যে তুমি বের হবা।
- চিৎকার কর আর যাই কর। আমার সংকল্প থেকে কেউ আমাকে একচুল নড়াতে পারবে না।
- এটাই তোমার ফাইনাল কথা?
- হু
হঠাত করেই যেন ডানা কাটা পরীর আমার উপর এ চোখ পড়ল।আমার দিকে রুদ্র মূর্তি নিয়ে তেড়ে আসল।
- আপনি তাহলে ইশান?
- জ্বী
- আসাদকে নষ্ট করার নাটের গুরু আপনি?
- আমি কিভাবে নষ্ট করলাম আবার?
- ওকে হিমু হওয়ার বুদ্ধিতো আপনি দিয়েছিলেন তাই না?!!!
- ও বুদ্ধি চাইল।আমি একটা বুদ্ধি দিলাম।সে প্রাপ্ত বয়স্ক নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনা বোধ আছে।ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে।
- আমি অতো কিছু বুঝি না।আসাদের মাথা থেকে এই ভুত আপনি বের করবেন। আপনাকে আমি দুই দিন সময় দিচ্ছি।যদি না ঠিক করতে পারছেন আপনার খবর আছে।
মেয়েরা রাগ হলে অদ্ভুত সুন্দর লাগে।কিন্তু এই মেয়েকে দেখে মনে হচ্ছে এই মেয়ে ডেঞ্জারাস।ডেঞ্জারাস মেয়েরা বোকা হয়।কিন্তু এই মেয়ে বুদ্ধিমান, চালাক।এর সাথে বুঝে শুনে কথা বলতে হবে।
চিৎকার চেচামেচি শুনে মেসের অন্য মেম্বাররা তাদের রুম থেকে বের হয়ে এসেছে। এদের মধ্যে ইছানুর নামে এক লোক আছে।আগে এমএলএম এর বিজনেস করতো।প্রত্যেক মেসে এরকম কিছু অপদার্থ থাকে। ইছানুর এই মেসের সেই অপদার্থ। কথার চাতুর্যতায় ভরা,ধুরুন্ধর আর সুযোগ সন্ধানী লোক। এতক্ষন সে পরিস্থিতি বুঝেছে।এখন মেস মেম্বারদের দিকে ফিরে বক্তৃতা দেয়া শুরু করলো।
- ভাই ও বোনেরা।এই ইশান নামের লোকটা আমাদের মেসের সহজ সরল ছেলে গুলাকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।তার দূরভিসন্ধির আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বড় এক অংশ তার কথায় সায় দিচ্ছে।এক অংশ দ্বিধা বিভক্ত।
সে আবার বক্তৃতা দেয়া শুরু করলো।
- চারা গাছ থেকেই মহীরুহু জন্মায়।এই ইশানের কুটবুদ্ধি মহিরুহের আকার ধারন করার আগেই আমাদের সবাইকে মিলে এটি প্রতিরোধ করতে হবে।ভিরের মধ্যে থেকে একজন চেয়ার এগিয়ে দিল।ইছানুর এবার চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে বক্তিতা দেয়া শুরু করলো।আমরা আজ ইশানের বিরুদ্ধে গন আদালত বসাব।এই আদালতে তার বিচার হবে।

সবাই সমস্বরে চিৎকার করলো।বিচার চাই বিচার চাই…
সে আবার বলা শুরু করলো।
- এই আদালত ইশানের বিচার এর রায় ঘোষনা করবে।পাঁচ মিনিটের মধ্যে রায় ঘোষনা করা হবে।এই পাঁচ মিনিট আপনাদের জন্য হালকা নাস্তার ব্যাবস্থা করা হবে।পার হেড একপিস লিলিপুট সিংগারা। সবাই খুশি.। নাস্তা খাইয়ে সবাইকে নিজের দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।ব্যাটা একটা বাটপার।..
আমি আমার রুমে চলে এলাম।কিছুক্ষন পর রহমত ঢুকলো আমার রুমে।
- ইশান ভাই দেখছেন এই ইছানুর কত ধুরন্ধর।সে প্রতিমাসে মেসের বাজারের টাকা হতে ২-৩ হাজার টাকা সরায়।আপনি আসার পর থেকে তার এইটা বন্ধ হইছিল।এখন সুজোগ বুঝে আপনার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে, অন্য ইস্যু তৈরি করে।
- হুম
- আপনি যদি অনুমতি দেন ওরে ওই লাডিডা দিয়া এক বাড়ি দিয়া মাথাডা দুই ভাগ করে দিয়া আসি।যামু ভাই?
- তোমার কিছু করতে হবে না।
- চোর বাটপারে মেস ভরে গেছে। আর বলদা মেস মেম্বার গুলা এই ধূর্ত শিয়ালের পক্ষ নিয়েছে।
- হুম
নাস্তার পর্ব শেষ হতে পাঁচ মিনিটের জায়গায় বিশ মিনিট লাগলো।আবার ডাক পড়লো আমার ডাইনিং রুমে।আমাকে বসতে একটা চেয়ার দেয়া হল। বিজ্ঞের মত ভাব নিয়ে বসে আছে ইছানুর।ডানা কাটা পরি আমাদের সবার থেকে একটু দূরে বসে আছে।তার মুখের ভাব দেখে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।বিচারে খুশি কি বেজার। কিছুক্ষন পরে ইছানুর মুখ খুলল।এক সদস্য বিশিষ্ট বিচারক কমিটি রায় ঘোষনা করবে এখন ই।রুমে পিন পতন নিরবতা।ইছানুর বলা শুরু করলো

- ইশান ভাই যেহেতু আমাদের মেসে মেম্বারদের অপূরনীয় ক্ষতি করেছে।তাই তার অপরাধের ধরন বিবেচনা করে তাকে আমরা চ্যাংদোলা করে সবাই মিলে ধরে মেসের বাহিরে বের করে দিব চিন্তা করেছি।আপনারা কি বলেন?!!

সমর্থনের আশায় সে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে।মেস মেম্বার দের মধ্যে দুইজনের কাছে আমি কিছু টাকা পাব।ধার হিসেবে দিয়ে ছিলাম।তারা দুই জন বাদে কেই ইছানুরের এই বক্তব্য সমর্থন করলো না। মানুষ এর চরিত্র খুব অদ্ভুত।আমি আশা করেছিলাম।টাকা ধার দেয়ার কৃতজ্ঞতা থেকে হলে ও সবাই আমার বিরুদ্ধে গেলেও এই দুইজন আমার পক্ষে থাকবে।কিন্তু ঘটনা পুরো উল্টো। ইছানুর তেমন জোড়ালো সমর্থন না পেয়ে ডানা কাটা পরির দিকে তাকালো।তার চোখে মুখে স্পষ্ট বিরক্তি ভাব। ইছানুর এর এই বিচার সেও মেনে নিতে পারছে না বোঝা যাচ্ছে।মেয়েদের মন আসলেই নরম।একটু আগেই আমাকে দেখে নিবে বলে যে রাগ দেখালো,এখন তার কাছেই আমাকে চ্যাংদোলা করে ফেলে দিবে বলে মায়া লাগছে।অসহ্য বলে সে হন হন করে বের হয়ে গেল মেস থেকে।যাওয়ার আগে আসাদের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলে গেল।দুই দিনের মধ্যে যদি তোমার ভন্ডামী বন্ধ না করছ আমাদের ব্রেক আপ।
ভিতর থেকে আসাদের উত্তর
- ব্রেক আপ হোক,দুনিয়া উল্টে যাক।আমি বের হচ্ছি না।

বিচার ওখানেই মুলতবী ঘোষনা করা হল।ইছানুরের মন খারাপ।চ্যাংদোলা করে আমাকে মেসের বাহিরে রেখে আসার বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারে নাই সে।

বিকালে দেখলাম কালা মফিজ এসে হাজির মেসে
- মফিজ তুমি এই সময়ে মেসে যে? তোমার কাজ শেষ করছ তার মানে?
- এখন ও মনডা শক্ত কইরা সারতে পারি নাই।মন নরম হইতে ও টাইম লাগে,শক্ত হইতে ও টাইম লাগে। অতিশিঘ্রই শক্ত হইব ইনশাল্লাহ।
- তো এসেছ কেন?!!
- শুনলাম কোন .... লারপুত আপনার উপর স্পর্ধা দেখাইছে নাকি।তার চান বদন খানা দেখতে আইলাম।

- তোমাকে খবর দিছে কে?!!
- ভাই আবার ও ভুল করলেন।এই লাইনে থাকতে হলে নেটওয়ার্ক এর টাওয়ার মোরে মোরে রাখা লাগে।যেখানেই যা হবে।সাথে সাথে আমার কাছে খবর চইল্লা আইব।
ওই হালায় কই একটু ডাকেন।
- তোমাকে কিছু করতে হবে না।তুমি এখন যেতে পার।
- আপনার বাসায় আসলাম।না খাইয়া যাই ক্যামনে?

এই মফিজ লোক দেখছি বহুত খারাপ।বসতে দিলে শুইতে চায়।
- সাংবাদিক ভাই, আজকে আমি রান্না করুম।আমার হাতের রান্না একদিন খাইয়া দেইখেন। অনেক দিন মনে থাকব।
মফিজ আমার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই রাতের রান্নার আয়োজন করতে লাগলো।তার সাহায্যকারী রহমত।খেতে বসে বুঝলাম।মফিজ মিথ্যা বলে নাই। অপূর্ব রান্না করেছে।কচি লাউ দিয়ে বয়লার মুরগী।আর ঝর ঝরে সাদা ভাত।এগুলো মেসের জাতীয় খাবার হলে ও।আজকের স্বাদ অপূর্ব লাগছে।অনেক দিন না সারা জীবন ই মনে থাকবে।এই রান্নার কথা।খাওয়া শেষে মফিজ বলল
- ভাই, আপনারে একটা ইন্টারেস্টিং কথা বলতে ভুলে গেছি।
- কি ইন্টারেস্টিং কথা?
- এক পুলিশ অফিসারের লগে পরিচয় হইছে।গোয়েন্দার লোক।ভিক্ষুক সাইজা রাস্তায় ভিক্ষা করে।আমি চালাক মানুষ। ধইরা ফালাইছি এইডা আসল ভিক্ষুক না।তাগড়া জোয়ান। নকল দাড়ি মোচ লাগাইছে।ভাল করে ধরতেই স্বীকার করলো।এক ভয়ংকর আসামী ধরতে এই বেশ নিয়েছে। রাতে আমার অস্থায়ী আস্তানায় থাকে।একরাম নাম।ভেরি ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার।আপনারে আজকে তার সাথে দেখা করতে নিয়া যামু।
- এখন আছে কই সে?
- আমার সাথে গেলেই দেখতে পারবেন।
মফিজের সাথে তার আস্তানায় আসলাম।ঢাকা শহরের কোন ট্রান স্ট্যান্ড।পাশেই একটা টিনের একচালা ঘর। রাত এগারটা বাজে।দেখি গা হাতপা মেসেজ করছে দুইজন লোক। মফিজের লোক হবে হয়তো এই দুইজন।আমি ঢুকতেই জিজ্ঞেস করলো
- এই চিড়িয়াটা কে মফিজ?
তার কথার মধ্যে কেমন উদ্ধত একটা ভাব আছে।রাগ উঠে গেল আমার।কিন্তু কিছু বললাম না।
আমার দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলো
- নাম?
- ইশান।
- কি করা হয়?
- সাংবাদিক।
সাংবাদিক শুনেই বোধ হয় একটু নড়েচড়ে বসলো একরাম।মুখ পাংশু বর্ন হয়ে গেল। কিন্তু সেই ভাব প্রকাশ করলো না।পুলিশের লোক এই জিনিসটা ভাল পারে।পেশার খাতিরেই তারা আবেগ লুকাতে শিখে যায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই একরাম শুরু করলো তার ভয়ংকর সব অভিজানের কথা। কত বড় বড় আসামী ধরেছে জীবনে।সৎ পথে ছিলেন।জীবনে কোন অপরাধ করেন নাই।পুলিশ বাহিনীর নামে কলংক লাগে এমন কোন কাজ করেন নাই।আমি শুনছি।বিরক্ত লাগছে।কিন্তু মফিজ আর তার দুই সাগরেদ আগ্রহ নিয়ে শুনছে সেই গল্প।একটু পর পর খিলি পান মুখে পুরে দিচ্ছে।রস গড়িয়ে নকল দাড়ি ভিজে যাচ্ছে সেদিকে তার খেয়াল নেই।
কিছুক্ষন পর মফিজ উঠে গেল।বলল পান নিয়া আসি।আসলে সে সিগারেট খেতে বাহিরে গেল।অপরাধিরা পুলিশের সামনে সিগারেট খেতে অসস্থি বোধ করে। মফিজের ও একই অবস্থা । মফিজের সাথে সাথে তার দুই সাগরেদ ও বাহিরে গেল।
একরাম আমার দিকে ফিরলো।
- খুব ইন্টারেস্টিং না আমার কাহিনী গুলো।
- নাহ, ইন্টারেস্টিং না।যা যা বলেছেন মফিজ বিশ্বাস করলে ও আমি বিশ্বাস করছি না।
রাগ আর ক্ষোভ দেখা গেল একরামের চোখে মুখে।
- কেন আপনার এটা মনে হল?
- আপনার আসল নাম একরাম না।আর আপনি এখন আর পুলিশ বাহিনীতে নাই। কোন এক অপরাধ করেছেন।এর জন্য আপনার বাহিনীর লোকই আপনাকে খুজছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে আপনার উপর।তাই আপনি এভাবে ছদ্ধ বেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

একরামের চোখে মুখে দেখলাম ভয়ের ছাপ।কিন্তু শেষ চেষ্টা করে দেখল সে।
- আপনি জানেন আপনি একজন পুলিশের অফিসারের সাথে কথা বলছেন।এর জন্য আপনাকে আমি গ্রেফতার করতে পারি।একজন আসল পুলিশ অফিসারকে ভুয়া পুলিশ বলার অপরাধে।
- তাহলে করুন।এই মুহূর্তেই করুন।
এখন একটু নরম হল।হাত জড়িয়ে ধরলো।
-ভাই আপনি সাংবাদিক মানুষ।শিক্ষিত,বুদ্ধিমান। আসলে আমি পুলিশের এস আই ছিলাম। এক নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে চাকরি হারাইছি।তদন্তে আমার অবৈধ সব সম্পদ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে।গ্রেফতারী পরোয়ানা ঝুলছে।তাই এভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
- হুম।
- আপনি মফিজকে এগুলা কিছু বলবেন না। কথা দেন আমাকে।
- হুম,বলব না।কথা দিলাম।
- ধন্যবাদ সাংবাদিক ভাই।
একরাম আমাকে হাত পা টিপে দিচ্ছে।একটু আগের সেই অহংকার এখন নেই।আমি বললাম
- আপনার আসল নাম একরাম না।আসল নাম,বরকত উল্লাহ।
- জ্বি ভাই। আপনার কাছে কিছুই লুকাব না।
- আপনি প্রায় ৪ বছর আগে মফিজের বিরুদ্ধে একটা মামলার চার্জশীট দিয়েছিলেন।মিথ্যা মামলা তাই না?
- উপায় ছিল না।আসামী ধরার তাগিদ ছিল।পরে মফিজকেই ধরিয়ে দেই।আসল আসামী অনেক চালাক ছিল।টিকিটি ও খুজে পাচ্ছিলাম না।
- আপনার সামান্য লাভের জন্য একজন লোকের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে জানেন? তার সংসার তছনছ হয়ে গেছে।সে এখন জিন্দা লাশের মত ঘুরে বেড়ায়।
একরাম ওরফে বরকত কিছু বলল না।চুপ করে আছে।
আমি আবার বললাম
- একরাম?
- জ্বী ভাই।
- একটা কথা কি জানেন?
- না ভাই
- পাপ বাপকে ও ছাড়ে না।
একরাম উদাস হয়ে গেছে।সে তার অপরাধ বুঝতে পেরেছে।বড় অপরাধ বুঝতে পারলে মানুষের চোখ দিয়ে অটোমেটিক পানি পরে।একরাম এর চোখে ও পানি টল মল করছে। আমি বের হয়ে এলাম ছাউনি থেকে। বাহিরে মফিজ দাঁড়ানো।সে উদাস মনে সিগারেট খাচ্ছে।
- মফিজ?
- জ্বী ভাই।
- তোমার বিরুদ্ধে যে এস আই চার্জশীট দিয়েছিল তার নাম মনে করতে পারবা?
- পারব না আবার।মরার আগ পর্যন্ত মনে থাকবে শুয়ার এর বাচ্চার নাম।
- তার উপর তোমার প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছা করেনা?
- করে তো ভাই।ডা দিয়া কুইট্টা ফালাইতে মন চায়।আইনের লোক।কিছু করতে পারি না। ক্ষমতাশালী লোক। আল্লাহ ক্ষমতাশালী লোকদের অপরাধ দেইক্কা ও চোখ বুইজ্জা থাকে।

- তুমি কি কোন দিন বিচার চেয়েছ তার নামে আল্লাহর কাছে?
- চাই নাই আবার।চার বছর এ একটা দিন ও বাদ যায় নাই তারে অভিশাপ দেই নাই।শুনে না আল্লাহ।গরীবের কথা কেউ শুনে না।
- মন পরিস্কার থাকলে আল্লাহ সবার দোয়া কবুল করে।
- সেটা বড় লোকের জন্য ভাই।গরীবের গা ই ময়লা।নিচা কাম করে।ড্রেন ছাপ করে,রিক্সা চালায়,ময়লা ফালায়।গায়ে অপবিত্র জিনিস লাইজ্ঞা থাকে। তাই আমাগো দোয়া কবুল হয় না।
- তোমার মন পরিস্কার মফিজ।আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করেছে। অতিশীঘ্রই সেটা দেখতে পাবা।
এটা বলে তার কাছে বিদায় না নিয়ে ই চলে আসি।সে কিছু বুঝতে না পেরে বিস্ময় ভরা দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।..শোয়েব হাসান..
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×