somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রতিক আন্দোলনের সাইন্টিফিক বিশ্লেষণ

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাম্প্রতিক আন্দোলনের সাইন্টিফিক বিশ্লেষণ
Nuclear chain reaction VS Political chain reaction.
I think , political chain reaction like as nuclear chain reaction.
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যায় সরকার বিরোধীরা নিউক্লিয়ার চেইন রিয়েকশনকে অনুকরণ করে পলিটিকাল চেইন রিএকশন মেথড ব্যবহার করছে। এতে একটি পরিস্থিতি সামনে এনে একটার পর একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যা অনেকটা চেইন বিক্রিয়ার মত কাজ করে এবং এই পরিস্থিতি গুলো সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে আস্তে আস্তে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষও এর সাথে জড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে সমগ্র সমাজ এমনকি একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে গ্রাস করে ফেলতে পারে। এতে একটি সময়ের জন্য সত্য মিথ্যা এক হয়ে যায় এবং গুজবের ডালপালা মেলে একটি সমাজ তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা এতে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে, যা একটি পারমাণবিক বোমার চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। এই পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে, সময়ের প্রয়োজনে সৃষ্টি হতে পারে অথবা কোন বিশেষ গোষ্ঠী, কোন বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সৃষ্টি করতে পারে। ই-হু-দিবাদী রাষ্ট্র তাদের নিউক্লিয়ার চেইন রিঅ্যাকশনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের জন্য এর এক ধরনের পলিটিক্যাল ভার্সন পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন (আমার দেয়া নাম) তৈরি করে। যা ক্ষেত্রবিশেষে পারমাণবিক বোমার চেয়েও বেশি ভয়ংকর ও কার্যকর। যার কার্যক্ষমতা খুবই নীরব হলেও এর ধ্বংসযজ্ঞ অনেক বেশি ব্যাপক। ই-হু-দিরা বিভিন্ন দেশে এমন পদ্ধতি প্রয়োগ করে যার শুরু হয় কোন ঘটনাকে পুঁজি করে গুজব ছড়িয়ে দেয়া এবং একটার কাউন্টারে আরেকটা গুজব সৃষ্টি করে পুরো সমাজব্যবস্থাকে গ্রাস করে ফেলা, কখনো কখনো যা পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকেজো করে দেয় এবং যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের দেশের সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতি তার একটি উদাহরণ হয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এই পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন তৈরি করাও ঠিক পারমাণবিক বোমা তৈরির মতো কঠিন বা অত সহজ বিষয় নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতি। যেখানে এই পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন উইপন ইউজ করা হবে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাষ্ট্রীয় ইতিহাস, রাজনৈতিক দলগুলির নৈতিক অবস্থান, সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা, শিক্ষা ব্যবস্থা, সর্বসাধারণের আবেগ অনুভূতি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্বলতা, মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসহ আরো অনেক বিষয়কে বিবেচনা করে এই পলিটিক্যাল চেইন রিঅ্যাকশনের ট্রিগার নির্ধারণ করা হয়। সূক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রের সার্বিক সিস্টেমকে এনালাইসিস করে কিছু মেধাবী ব্যক্তিদের এর দায়িত্ব দেয়া হয় যাতে এসপিওনাজ জগতের সেরা কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
নিউক্লিয়ার চেইন রিএকশন এবং পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন এর মধ্যে একটি বড় পার্থক্য আছে। নিউক্লিয়ার চেইন রিএকশন নিয়ন্ত্রণহীন, যা একবার ব্লাস্ট করলে তা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে কিন্তু যারা পলিটিক্যাল চেইন রিয়েকশন এপ্লাই করে তারা ইচ্ছে করলে নতুন নতুন পরিস্থিতি ক্রিয়েট করে পরিস্থিতিকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণত বড় কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অথবা পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন করার জন্য এই ধরনের পলিটিক্যাল চেইন রিএকশন পদ্ধতি বা উইপন apply করা হয় যা ই-হু-দিবাদী ধারণা ও উদ্দেশ্য পুষ্ট। সামারি আকারে আমাদের বর্তমান সহিংস ঘটনাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ট্রিগার পয়েন্ট হচ্ছে কোটা ব্যবস্থা, মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফিউশন পাওয়ার হচ্ছে স্টুডেন্ট যা চেইন বিক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করবে এবং স্তর ভেদে মানুষের আবেগকে আঘাত করে চেইন বিক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরকে সংযুক্ত করে যা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে এগিয়ে যায়।
বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে আরো অনুমান করা যায় যে এর জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন । সম্ভবত ৩-৪ বছর পূর্বেই ফেসবুককে তারা মাধ্যম হিসেবে সিলেক্ট করে। এরপর দেশে-বিদেশে কিছু সেলিব্রেটি পারসন ক্রিয়েট করা হয় যার মধ্যে অনেকে পজিটিভলি নিজেদের নিরপেক্ষ ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউয়ার এর আইকনে পরিণত হয়। অনেকে বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার সমালোচনা করে সেলিব্রিটি হয়, এতে যারা সত্যি কারের সেলিব্রিটি তাদের সাথে এদের যোগাযোগ স্থাপন হয়, ব্যাপারটা এমনও হতে পারে এদের অনেকেই জানেইনা যে সে তৃতীয় পক্ষ দ্বারা ইউজ হচ্ছে। এরপর হাজার হাজার পেইজ ও এডমিন প্যানেল তৈরি করা হয়। যারা চেইন প্রসেসটিকে একটিভ করে তোলে। যে স্থানে এই পলিটিক্যাল চেইন উইপন ফেলা হবে আগে থেকে সেখানে সর্বস্তরে বিভিন্ন অবস্থানে অনেক ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল এক্টিভেটর তৈরি করা হয়। ঠিক এখন যেমনটি বাংলাদেশে ঘটে চলেছে কোটা আন্দোলনের চলমান ইসুকে ট্রিগার হিসেবে ইউজ করা হয়েছে অথচ এক্ষেত্রে সরকার এবং আন্দোলনকারী উভয়ই সংস্কারের পক্ষে ছিল। ছাত্রদের উসকে দিয়ে তৃতীয় পক্ষ ছাত্রদের মাঝে ঢুকে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে প্রশ্ন করেছিলেন কোটা মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? তার ভাষণকে বিকৃত করে তৃতীয় পক্ষ গুজব ছড়িয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে রাজাকার বলেছেন এ ঘটনায় ৫৩ বছর পর অনেকে শান্তির হাসি হেসেছিল। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিয়ে তৃতীয় পক্ষ রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করল। সরকার নির্বিচারে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করল, ডিবি অফিসে নিয়ে নাটক করল। এক্ষেত্রে সরকার অবশ্য উভয় সংকটে পড়েছিল সরকারের ভয় ছিল ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হলে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাবে আর তারাও নিরাপদে থাকবে আর হেফাজতে না নিলে কেউ যদি সাবোটাজ করে তখন সবাই সরকারকে দোষারোপ করবে এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। আর সরকার নিজেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই চেইন বিক্রিয়ার এটোমিক পাওয়ার হিসেবে কাজ করে যাতে ছিল না কোন স্ট্রেটিজিক্যাল চিন্তাধারা। এই চেইন বিক্রিয়া ছয় দফা থেকে এখন নয় দফায় উন্নীত হয়েছে, এক সময় দেখা যাবে তাদের কাঙ্খিত এক দফায় এসে স্থির হয়েছে। তখন ঘটবে মূল বিস্ফোরণ এবং আফটার শখ ওয়েভ।
তবে সমস্যা যত জটিল হোক না কেন সঠিক কিছু স্ট্যাটিজিক্যাল পদক্ষেপ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, ব্যাপারটা আলোচনা সাপেক্ষ ।
Hasanur
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×