আমেরিকার একটি সুপরিচিত বিস্কুট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে একদিন হঠাৎ দেখা গেল—কিছু প্যাকেটে বিস্কুট না থাকলেও সেগুলো ধীরে সুস্থে বাক্সবন্দি হয়ে বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। পণ্যের মান বজায় রাখা তাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা বিশেষজ্ঞ ডেকে আনল, এবং শেষ পর্যন্ত বিপুল ব্যয়ে—প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার ডলার খরচ করে—একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে স্ক্যানার স্থাপন করল। এর মাধ্যমে প্রতিটি প্যাকেট স্ক্যান করে নিশ্চিত করা হবে যেন কোনও খালি প্যাকেট আর উৎপাদন লাইনে টিকেই না থাকে।
এদিকে, একই ধরনের সমস্যা দেখা দিল বাংলাদেশের একটি বিস্কুট কারখানায়। মেশিনের ত্রুটিতে মাঝে মাঝে খালি প্যাকেট প্যাক হয়ে যাচ্ছিল। কর্তৃপক্ষ প্রথমে চিন্তিত হলেও খুব দ্রুতই সমাধান খুঁজে বের করল। দীর্ঘ আলোচনার পর, জটিল প্রযুক্তি বা ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতির পথে না গিয়ে তারা উৎপাদন লাইনের এক কোণে একটি শক্তিশালী ফ্যান বসিয়ে দিল। ফলে খালি প্যাকেটগুলো বাতাসে ভেসে নিজে থেকেই সরে যেতে লাগল, আর ভর্তি প্যাকেটগুলো রইল যথাস্থানে।
সমস্যার সমাধান দু’জায়গায় দু’ভাবে—একদিকে প্রযুক্তির জটিলতা, অন্যদিকে সরল বুদ্ধির প্রয়োগ। তবে ফলাফল একটাই: কাজ আদায়।
এই ঘটনাই মনে করিয়ে দেয়—
টাকা থাকা না থাকা বড় কথা নয়; বুদ্ধিই আসল শক্তি। আর সেই বুদ্ধিটাই, যতই সহজ হোক, কখনো কখনো সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হয়ে উঠে।
collected

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


