somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনপুরা - যার রূপে হৃদয় পুড়ে হল একাকার (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







আকাশে মধ্যাহ্নের সূর্য, এর মাঝে নৌকায় আমরা পাঁচজন আরোহী। আয়েশি ভঙ্গিতে আমরা ছবি তুলছি, আমি আর হাসিব। শাহরিয়ার নৌকার অন্য পাশে ছিল, সেখান থেকে আমাদের এই পাশে এল। কি মনে করে একটা সেলফি তুলবে বলে পকেটে হাত দিল। হাত দিয়েই টের পেল বিপদ, মোবাইল নেই পকেটে! এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি, কোথাও নেই। এদিকে আমাদের কারো মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই, কি করা। দামী এন্ডরয়েড ফোন, ফোনে একগাদা ছবি, ফাইল, কন্টাক্ট নাম্বার... শাহরিয়ারের অবস্থা তখন দেখার মত। ও বলল, নৌকা ঘুরিয়ে আবার সেই সৈকত ঘাটে ফেরত যেতে। ততক্ষণে নৌকা প্রায় অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়েছে। মাঝিদের সাথে আমিও নৌকা ঘুরাতে রাজী হলাম না। কেননা, জোয়ারের সময় তখন, মোবাইল যদি সেই সৈকতে পড়েও থাকে, এতক্ষণে তা জলে ভেসে গেছে। কেননা, শাহরিয়ারের ভাষ্য মতে, নৌকায় উঠার আগে ও ছবি তুলেছে মোবাইলে। ছবি তুলে প্যান্টের পকেটে রেখে নৌকায় উঠেছে। তাই পড়লে, মোবাইল ঐ পাড়েই পড়েছে। আমি এই কথা তাকে বুঝাতে গেলে, সে ক্ষেপে গেল, আমি স্বার্থপরের মত আচরণ করছি বলে অভিযোগ করল। আমার মন খারাপ হল, সে ভুল বুঝছে বলে। কারণ, আমি গত কিছুদিনে যে পরিমান জিনিস খুইয়েছি, আমি জানি এই মোবাইল ফেরত পাওয়ার নয়। বৃথাই হবে এই ফেরত যাওয়া...







মাঝিদের ফেরত যাওয়ার কথা বলতে তারা রাজি হল না। কিছুক্ষণ মোবাইলে নৌকার মালিককে পাওয়া যায় কি না, সেই চেষ্টা করা হল। নেটওয়ার্ক সমস্যায় তা সম্ভব হল না। শাহরিয়ার নৌকার যেখানে বসে ছিল সেখানকার পাটাতন তুলে খোঁজ করা হল, কোথাও নেই। হঠাৎ কি মনে করে, নৌকার একজন মাঝি আমাদের পাশের পাটাতনের যেই পাশে শাহরিয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বসেছে, তা তুলে খোঁজ করল। আর সেখানে উকি দিতেই দেখা গেল মাছ ধরার জালের মাঝে মোবাইলটি পড়ে আছে। শাহরিয়ার এই পাশে এসে বসার সময়ই মোবাইলটি পড়েছিল, যাই হোক, মোবাইল পেয়ে শাহরিয়ারের মুড ভাল হয়ে গেল। কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমার মুড আজও ভাল হতে পারে নাই। ঐ ঘটনা মনে পড়লে শুধু কানে একটা কথাই বাজে, ‘আপনি শুধু নিজের স্বার্থ বুঝেন’। :(







প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরা হচ্ছে ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায় ৮০ কিঃ মিঃ দুরত্বে সাগরের বুকে নয়নাভিরাম আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মনগাজী নামে এখানকার এক লোক একদা বাঘের আক্রমনে নিহত হন। তার নামানুসারে মনপুরা নাম করন করা হয়। বাংলাদেশের বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা ভূমি রূপালী দ্বীপ মনপুরা। চতুর্দিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত সবুজ-শ্যামল ঘেরা মনপুরা। সুবিশাল নদী , চতুর্দিকে বেড়ীবাঁধ, ধানের ক্ষেত, বিশাল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের বাগানে সমৃদ্ধ। মনপুরা উপজেলা দেশের মানুষের কাছে যেমন আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় জায়গা তেমনি বিদেশিদের কাছেও। এ দ্বীপে সকালবেলার সূর্য যেমন হাসতে হাসতে পূর্বদিকে ডিমের লাল কুসুমের মত উদিত হতে দেখা যায়, তেমনি বিকেলবেলাতে আকাশের সিঁড়ি বেয়ে লাল আভা ছড়াতে ছড়াতে পশ্চিম আকাশে মুখ লুকায়। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনার মোহনায় ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। মিয়া জমিরশাহ'র স্মৃতি বিজড়িত মনপুরা দ্বীপ অতি প্রাচীন। একসময় এ দ্বীপে পর্তুগীজদের আস্তানা ছিল। তারই নিদর্শন হিসেবে দেখতে পাওয়া যায় লম্বা লোমওয়ালা কুকুর। মনপুরার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যানগ্রোভ বাগান। ছোট বড় ১০টি চর ও বনবিভাগের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে সবুজ বিপ্লব। মাইলের পর মাইল সবুজ বৃক্ষরাজি বিশাল মনপুরাকে সাজিয়েছে সবুজের সমারোহে। শীত মৌসুমে শত শত পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। এই চরগুলো হলো চরতাজাম্মুল, চর পাতালিয়া, চর পিয়াল, চরনিজাম, চর সামসুউদ্দিন, লালচর, ডাল চর, কলাতলীর চর ইত্যাদি। মনপুরা সদর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে মনপুরা ফিশারিজ লিঃ। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২১০ একর জমিতে গড়ে উঠা খামার বাড়ীটি গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে।

উপরের প্যারার তথ্য এবং লেখাঃ দৈনিক ইত্তেফাক এবং মনপুরা উপজেলা পরিষদের ওয়েবসাইট

প্রায় ঘণ্টা দুইয়ের নৌভ্রমণ শেষে আমাদের নৌকা যেখানে আমাদের নামিয়ে দিয়ে গেল, সেটা মনপুরার দক্ষিণ পাড়। জায়গার নাম ‘দক্ষিণ তালতলা বাজার’, নির্জন এই পাড়ের রূপে এতোই মুগ্ধ হলাম যে, চাইছিলাম সেখানেই তাবু বিছিয়ে থেকে যাই। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল এখানে থাকাটা মোটেও সুবিধাজনক হবে না। এমন কি সেখানে কোন খাবার হোটেল পর্যন্ত নেই। কি আর করা, একমাত্র একটি চায়ের দোকানে হালকা চা-বিস্কিট খেয়ে আমরা কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে দেখলাম। তারপর দুটি মোটর সাইকেল ভাড়া করে চলে এলাম মনপুরা’র মূলকেন্দ্র ‘হাজির হাট’। এখানে এসে প্রথমেই খোঁজ আবাসনের। তাবুতে থাকা যাবে না, সন্দ্বীপের রাতে শীতের তীব্রতায় কাবু হওয়ার কথা ভুলি নাই। খুঁজে পেতে দেখা গেল এখানে একটি রেস্ট হাউজ আছে, আর এছাড়া সম্প্রতি চালু হওয়া একটা টিনের দ্বিতল হোটেল, যেখানে প্রতিটি রুম সিঙ্গেল, প্রচুর ডিমান্ড দেখলাম। আমরা তিনজন তিনটি রুম নিয়ে নিলাম। ভাড়া শুনে অবাক হবেন, রুম প্রতি ১০০ টাকা। ১০০ টাকার রুমে ঢুঁকে দেখি বালিশ, চাদর, মশারী, পাখা সবই আছে!! যদিও চাদরটা নোংরা ছিল। তারপরও, একশত টাকায় এই সময়ে হোটেল রুম!!!







আমরা ব্যাগ রেখে, একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর নীচে নেমে খাবার হোটেলে দুপুরের লাঞ্চ সারলাম একটু দেরীতেই। খাবার শেষে চলে এলাম মনপুরার পশ্চিম পাড়ে, সূর্যাস্ত অবলোকন করতে। লম্বা ব্রিজের মত জেটি ঘাটে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা চলল। একটু পর দেখি একজন, দুজন করে লোক জমা হচ্ছে। একজন বৃদ্ধ এসে জানতে চাইছী লঞ্চ চলে গেছে নাকি? তখন খোঁজ করে জানলাম, বরিশাল থেকে একটা লঞ্চ এই মনপুরা পর্যন্ত আসে এবং সেখান হতে হাতিয়া ফিরে যায়। সেই লঞ্ছে হাতিয়া-মনপুরা’র লোকজন যাতায়াত করে। আমরা সেই জেটি ব্রিজ হতে নেমে এসে ডান দিকের বাঁধানো পাড় দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। হেঁটে একেবারে শেষ প্রান্তে এসে চমৎকার একটা জায়গা পেলাম। সেখানে সন্ধ্যের পর অবধি বসে রইলাম। চমৎকার এক পরিবেশ। কোন ফাঁকে হাসিব কানে হেডফোন গুঁজে দিয়েছে, রোমান্টিক পরিবেশে রোম্যান্টিক গান শুনতে শুনতে তার কার কথা যেন মনে পড়ে গিয়েছিল। বারবার তাড়া দেয়া সত্ত্বেও হাসিবের অনুরোধ, ‘আর কিছুক্ষণ থাকি না এখানটায়...’ ;)







অন্ধকার জেঁকে বসার আগেই আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। হালকা চা-নাস্তা খেয়ে বাজার এলাকাটা চারিপাশ ঘুরে দেখলাম। মনপুরায় ঐ অঞ্চলটায় এতো বেশী এনার্জি সিএফএল বাল্ব ছিল যে, আমার মনে হচ্ছিল আমি ঢাকার গাউছিয়া মার্কেট এর মত কোন মার্কেটে চলে এসেছি। দিনের আলোয় কেমন ঝিম ধরা ‘হাজির হাট’ রাতে যেন জৌলুশ খুঁজে পেয়েছে। বেশ কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি শেষে আগামীকালের ঢাকা ফেরার লঞ্চের খোঁজ করলাম। হাজির হাট হতে পানামা নামের একটা লঞ্চ যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে, আর মনপুরার মূল ঘাঁট উত্তর প্রান্তের রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাঁট হতে ছেড়ে যাবে ফারহান ৪। আমরা সবদিক বিবেচনা করে ঠিক করলাম রামনেওয়াজ ঘাঁট হতে ফারহান ৪ এই যাব। নিঝুম দ্বীপ থেকে মনপুরা এসেছি দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে। সেখান থেকে হাজির হাট। বিকেলে ঘুরে বেড়িয়েছি পশ্চিম প্রান্ত। পরেরদিন লঞ্চ ধরা হবে উত্তর প্রান্ত থেকে। তাই প্ল্যান হল, সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ঘুরে দেখব পূর্ব প্রান্ত।







এখানে, একটা কথা না বললেই নয়, মনপুরা সিনেমার শ্যুটিং কিন্তু এখানে হয় নাই, মুন্সিগঞ্জের আশেপাশে কোন একটা চরে হয়েছিল। যাই হোক, মনপুরা কিন্তু মোটর সাইকেলে ঘুরে দেখতে অসম্ভব ভাল লাগবে, কারণ এর টানা সরু পিচ ঢালা রাস্তা, একেবারে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত। হাজার টাকা ভাড়ায় সারাদিনের জন্য মোটর সাইকেল ভাড়া করে পুরো মনপুরা চষে বেড়াতে পারবেন। প্রাচীন এই দ্বীপ জনপদ প্রতিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়া সত্ত্বেও অসম্ভব সুন্দর এর রূপ। তাই আমি বলি, ‘মনপুরা’র রূপে হৃদয় পুড়ে হল একাকার’ :P







রাতে ঘুমাতে গিয়ে পড়লাম বিপাকে। মাথায় ঢুঁকে গেছে বিছানা নোংরা, কি করা? এই বিছানায় ঘুম আসবে না। শেষে ব্যাগ খুলে স্লিপিং ব্যাগ বের করে তার ভেতর নিজেকে কোন মতে ঢুকিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। একঘুমে রাত পার। সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের কমন বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। ব্যাগ গুছিয়ে রেখে রুমে তালা দিয়ে বের হলাম। নাস্তা-চা শেষ করে এবার হাঁটা শুরু করলাম পূর্ব দিকে। রিকশা মোটর সাইকেল না নিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক হেঁটে একটা ছোট পাড়ায় থেমে একমাত্র দোকানের দোকানীকে বললাম, আমরা পূর্ব পাড়ে যেতে চাই, রাস্তা কোন দিকে, কত সময় লাগবে। উনি রাস্তা দেখিয়ে বললেন আরও ঘণ্টাখানেক লাগবে হেঁটে গেলে। ঘড়িতে তখন প্রায় সকাল দশটা’র কাছাকাছি। আমাদের লঞ্চ ধরতে সাড়ে বারোটার মধ্যে রওনা হতে হবে হোটেল থেকে। তাই, সেখান হতে একটা রিকশা নিয়ে চলে এলাম পূর্ব পাড়ে। পূর্ব পাড়ের এই জায়গাটা একটা ম্যানগ্রোভ বন, আমরা তিনজন রিকশা হতে নেমে রিকশাওয়ালার নির্দেশ মোতাবেক হাঁটা শুরু করলাম। তার আগে উনার মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিলাম, আমরা ফেরার সময় উনাকে কল করলে যেন, উনি আমাদের নিতে এখানে চলে আসে। সেখান থেকে আমরা সরাসরি চলে যাব হোটেলে।





গ্রামের পথ দিয়ে একসময় আমরা ঢুঁকে পড়লাম বনের পথে। চারিদিকে নানান গাছ, পাখির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। এখানেও হরিণ আছে, আগের দিন বিকেলে দক্ষিণ পাড় হতে ‘হাজির হাট’ আসার সময় দুটি হরিণের দেখা মিলেছিল পথের ধারের ম্যানগ্রোভ বনে। তাই আমরা যতটা নিঃশব্দে হাঁটা যায়, হাঁটছিলাম। সাথে কোন গাইড নাই, পথ হারিয়ে না ফেলি আবার। কিন্তু আশার কথা, বনটা লম্বাটে এবং খুব বেশী বড় নয়। বনের মাঝ দিয়ে হাঁটছি, হাসিব’কে সাবধান করা হয়েছে, ও যেন তার আহত পা বাঁচিয়ে চলে। কিন্তু বিধিবাম, একটা শ্বাসমূলে তার জখম পা আবার আঘাত প্রাপ্ত হল। ক্ষত থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। ফের ত্রাণকর্তা শাহরিয়ার, লতাপাতা আর গাছের বাকল দিয়ে ব্যান্ডেজ করে আবার পথ চলা। পূর্ব পাড়ে যখন আমরা পৌঁছলাম তখন বেলা এগারোটা প্রায়। সিদ্ধান্ত হল, মিনিট দশেক এখানে থাকব, তারপর আবার ফিরতি যাত্রা। এতো সুন্দর ছিল জায়গাটা, কিন্তু ফেরার তাড়ায় বেশীক্ষণ থাকা গেল না। মিনিট দশেক পরে ফিরতি যাত্রা, আর তখন রিকশাওয়ালা ভাইকে ফোন করে দিলাম। আধঘণ্টা’র মধ্যে আমরা বনের পথ শেষ করে গ্রামের পথে ফিরে এলাম। আরও মিনিট পাঁচেক পরে আমাদের রিকশা দেখতে পেলাম।

রিকশা করে এবার হোটেলের দিকে যাত্রা। সেই গ্রাম্য মুদি দোকান হতে বীচি কলা কিনে নিয়ে রিকশায় বসে খেতে খেতে চলে এলাম হাজির হাট। এক কাপ গরম গরম গাভীর দুধের চা পান করে (হোটেলের সামনের রাস্তায় এই চাওয়ালার চা’টা সেইরকম টেস্টি ছিল, দুদিনে বেশ কয়েককাপ পান করেছিলাম) ব্যাগ নিয়ে রওনা হলাম উত্তর পাড়ের রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাঁট।

প্রায় দুপুর একটার দিকে পৌঁছে গেলাম রামনেওয়াজ ঘাটে, লঞ্চ আসবে বেলা দেড়টায়। ঘাটের একটা হোটেলে ইলিশ মাছ আর ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিলাম। যথাসময়ে লঞ্চ আসলে পরে সেখানে উঠে পড়লাম, এরপর একটা কেবিনের ব্যবস্থা করার পালা। পরের দিন অফিস ধরেতে হবে, খুঁজে পেতে কেবিন পাওয়া গেল। কেবিনে ঢুঁকে হুট করেই আবিস্কার করলাম টানা চারদিনের দৌড়ঝাঁপ শেষে আগামীকাল ভোরবেলা পর্যন্ত আর কোন কাজ নেই, এই কেবিনে বসে থাকা ছাড়া!!! কি আর করা, চলল যত নাই কাজ তো খই ভাজ টাইপের আড্ডাবাজি আর গান শোনা। পেছনে পরে রইল ঘটনাবহুল চারটি দিনের অসংখ্য স্মৃতি আর সম্মুখে ঢাকায় নিজ পরিচিত ডেরায় ফেরা।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ হাসিব এবং শাহরিয়ার



এই সিরিজের আগের পর্বগুলোঃ
হাতিয়া - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)
সন্দ্বীপ (প্রথমাংশ) - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)
সন্দ্বীপ (শেষাংশ) - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)
নিঝুম দ্বীপ - (জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ)

============== জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী - ফার্স্ট ফেইজ সমাপ্ত ==============
======================================================================
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×