আমেরিকান ক্যান্ডি কিংবা আমেরিকান ক্যান্ডি শপ অথবা ভিন্ন নামে বিভিন্ন প্রকার চকলেট পণ্যের দোকান বেশ জমজমাট যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রস্থলে। যেখানে দোকান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ এবং ট্যাক্স খুবই বেশি।
লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র অক্সফোর্ড ষ্ট্রিট ও এর আশেপাশের এলাকায় করোনা মহামারির সময়ে এসব সুইট শপের আতিশয্য ব্যাপকতা লাভ করেছে। হাইষ্ট্রিট মার্কেটে ব্যবসায়িক খরচ বহন করতে না পেরে ডেবেনহাম, টপশপ কিংবা গ্যাপের মত বড় বড় ব্রান্ড যেখানে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে সেখানে এসব অখ্যাত ব্র্যান্ডের এত ব্যয়বহুল দোকান চালনোর পুঁজি আসে কোথা থেকে?
যুক্তরাজ্যের জনমনে যখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন লন্ডনের ওয়েষ্টমিনষ্টার সিটি কাউন্সিল এসব ক্যান্ডি শপকে দোকান ভাড়া না দেওয়ার জন্য হাউজিং এজেন্সীগুলোর সাথে যোগাযোগ করেছে। কারন এসব দোকানে নানা অনিয়ম ছাড়াও লন্ডনের অভিজাত এলাকাগুলোতে এসব দোকানের ছড়াছড়ি এখানকার ঐতিহ্যের সাথে ঠিক মানানসই নয়। এছাড়াও চলমান ব্যবসাগুলো যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য ৭০% ট্যাক্স হ্রাসসহ নানা স্কিম চালু করেছে। এ থেকেই প্রমাণ হয় বেপরোয়া এসব ক্যান্ডি শপের বিনিয়োগের পিছনে অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত।
নামে আমেরিকান ক্যান্ডি শপ হলেও এসব দোকানে বিক্রি হয় মূলত যুক্তরাজ্যের কিছু ব্রান্ডের চকলেট সামগ্রী। এর মধ্যে বেশিরভাগই নকল পণ্য। পণ্যের গায়ে দাম লেখা নেই। কাউন্টারে নিয়ে গেলে বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম নেয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে এসব কারণে জরিমানার মুখোমুখিও হয়েছে এই ক্যান্ডি দোকানগুলোর কর্ণধাররা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমেরিকান ক্যান্ডি শপ নামের এইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূলধন যোগানের সাথে সংশ্লিষ্টরা মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত। তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরন্ন গরীব মানুষের প্রদানকৃত করের টাকা লুটপাট করে অর্জিত ব্ল্যাক মানি বৈধ করার অবলম্বন হিসাবে এই পথকেই বেছে নিয়েছেন তারা।
কালো টাকার মালিক এসব রাঘব বোয়ালদের অন্যতম একজন হলেন সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান ও গণপিঠুনির ভয়ে পলায়নকৃত আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। পতিত এই স্বৈরশাসক এখন বাস করছেন দুবাইয়ে। আফগানিস্তানে তুমুল গণজাগরণের মুখে উজবেকিস্থান পালিয়ে যাবার সময় অবশ্য তিনি আফগান সরকারের তহবিল থেকে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে ভোলেননি।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



