ওরা আমাকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। টর্চার সেলে নিয়ে নখ আর জিহ্বায় সুচ ফুটিয়ে দিনে দুই-তিনবার ইলেক্ট্রিক শক দিতো। বাঁশ আর লোহার রড দিয়ে চাপ দিতো আঙুলসহ সমস্ত শরীরে। ক্রসফায়ার করতে গিয়েও পারেনি। হাত থেকে অস্ত্র পড়ে গিয়েছিল তাদের। এরপর আমাকে বি-ভাইরাসের জীবাণুযুক্ত ইনজেকশন দেয়া হয়। ক্রসফায়ারে মারতে না পেরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে আমাকে। আমার চেয়ে বেশি নির্যাতন করা হতো তারেক রহমানকে। টর্চার সেলে তারেকের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠতো। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন মল্লিক বলেছেন, এসব কথা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ক্রসফায়ার থেকে ভাগ্যগুণে বেঁচে আসা জসিমউদ্দিন বলেছেন, এখনও সেইসব নির্যাতনের চিত্র চোখের সামনে ভাসে। চোখ বুজলেই তারেক রহমান, মামুন আর ওবায়দুল কাদেরের চিৎকার শুনতে পাই। মনে হয় চিৎকার করে তারা বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে আর পানি চাচ্ছে। মৃত্যু পথযাত্রী নির্যাতিত এই আওয়ামী লীগ নেতা হাসপাতালের বেডে শুয়ে মানবজমিন-এর সঙ্গে একান্ত সাৰাৎকারে বলেছেন এসব কথা। তিনি আরও বলেন, বনানীর ওই ভবনটি ছিল রাজনীতিবিদদের টর্চার সেল। তারা মেধাবী রাজনীতিবিদদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল।
খুব বেশি নির্যাতন করতো তখন তিনি ওহ্ আলৱাহ্, মাগো-বাবা বলে ভীষণ জোরে জোরে চিৎকার করতেন। মাঝে- মধ্যে তিনি বলতেন আমাকে মেরে ফেলবেন না, আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনবো। শুধু আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন। আমার মায়ের কাছে যেতে দিন। শুনেছি রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে উঁচু থেকে ফেলে দেয়া হতো তাকে। সে কারণেই মের্বদণ্ড ভেঙে যায় তারেক রহমানের। নির্যাতিত এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, একদিন
গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ওপর যখন নির্যাতন করা হতো তখন তিনিও ভীষণ জোরে চিৎকার করতেন। অন্যের কাছে শুনেছি, দুই কানের উপরে শুকনো সুপারি রেখে মেশিন দিয়ে চাপ দেয়া হতো তাকে। এ সময় চিৎকার করে জ্ঞান হারাতেন তিনি। এভাবে একদিন চাপ দেয়ার সময় রক্তারক্তি কান্ড ঘটে।
লোমহষক পুরো কাহিনী পড়তে হলে ক্লিক করুন-http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&task=view&id=3041&Itemid=83
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৫