সে ধীরে ধীরে আসে শামুকের মতন
একটা শ্যাওলা ধরা দেহের উপর
দাগ কেটে রাখে ; অভ্যস্ত আততায়ী মন
উষ্ণতার ভয়ে আগলিয়ে থাকে খোলসের ভেতর ।
পৃথিবীর পথে হাল ছেড়ে দেয়া পথিকের
একরাশ হতাশার শ্বাস যেন দীর্ঘ এই নারীর দেহের
শিয়রে আছড়ে পড়া ফেনিল কবিতা ।
নোনতা রোদের তাপে লোপকূপে যে শিহরণ এই রাতে
জাগিয়েছে ; এই নারী বিধাতার দ্বারে
একি ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ।
আমিও যখন হুলো বিড়ালের মত চোখ বুজে সে নারীর সাথে
চারশত পুরুষের ছাপ রেখে যাওয়া এই দেহের ভিতরে ।
হয়তো সে নারী কোন কবিতার পরিপাটী
ঘাসের মতন নয় কোমল বনলতা ।
তার স্ফীত বুক চীৎকার করে
তার চোখ পাথরের খোলসের অন্ধকারে
রোজ রোজ ঠাই খুঁজে যায়
নতুন ঘামের ঘ্রান পায় ;
দুশ’টাকায় দেহদ্বার খুলে দেয় যেই নারী
তার মন ঠিকঠাক রয়ে যায় কারো প্রেম নিয়ে
কোন এক চির সবুজের দেশে বদ্ধ।
ব্যশ্যা; একটি আভিধানিক নিত্য-স্ত্রীবাচক শব্দ ।
২ ফেব্রুয়ারী , ২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১০:১৭