শেষ কিছু লাইন লিখে ছুটি নেব ভেবে
গভীর এক ষড়যন্ত্রে এখন নিয়মিত সেবনের দিকে ঝুকে যাচ্ছি।
মনে হচ্ছে কোন অতলে আমি ডুবে
তুমি দূর থেকে হাসছো
যেন আমি মিথ্যা এক কবিতা হয়ে মোচড়ানো কাগজে রোজ জমা হচ্ছি বাস্কেটে ।
আমার মাথার ভেতরে যারা বসবাস করে , সবাই এখন মৌনব্রত পালন করছে ।
তুমি কথা বলে যাচ্ছ অনবরত , আমি ঘুমে ঢলে পরে যাচ্ছি
স্বপ্ন আর বাস্তবতা গুলিয়ে ফেলছি , তোমাকে যে কেন দরকার সেটা কিভাবে বলতে হয় জানিনা
তাই আমিও চুপ করে আছি ।
চুপ করে থেকেও কি বোবা হওয়া যায় ? অন্ধ কি কখনো আঁধারে হারায় ?
ভালোবাসা খুব ফালতু এক জিনিস , তাহলে তুমি কেন জেগে আছ ? কেন কথা বল আমার মাথায় ?
শেষ কোন দিন বা শেষ কোন রাত ।
আমাদের সব আবেগ শেষ হলে পরে ধ্রুব এক সত্যকে ঘিরে আবহমান এই জীবন
প্রতিনিয়ত শুধু মৃত্যুচিন্তা করে বেঁচে থেকে মানবিক চাহিদা করছি পূরণ।
হৃদয় অসুখে ভুগে অসংখ্য জাতক-জাতিকা
একদিন নিরবতা খুঁজে নিয়ে সুখি এক বৃক্ষের মত
স্থীর এক কবিতায় হারিয়ে ফেলেছে যেন সব কথা
গভীর শিকরে করে চলে গেছে , রয়েছে যেখানে অন্ধকার-শান্তি-শীতলতা।
আদিম কামনা তবু সুপ্ত ফুলের মত পাখির ডানায় ভর করে
আমাদের বাহ্যিক পথ , ঠিকই খুঁজে নেয় নতুন সময়ের ভেতরে পুরাতন স্বার্থপরতা।
১৩ বৈশাখ , ১৪৩০ ।
মানুষ খুব ভালো করে জানে - স্বপ্ন কিংবা চিহ্ন হয়ে বেঁচে থাকা নয় ।
মানুষ জানে - পৃথীবির এ প্রান্তে অতিক্রান্ত একদিন - রাত হয় ।
তাই ভালোবাসে , চলে গেলেও যেন থাকে কেউ আফসোসে ।
কি দারুন স্বার্থপরতায়
অন্ধকারে ডুবে গেলে চাঁদ , শিস তুলে বাঁশের পাতায় ।
পয়লা বৈশাখ ১৪৩০
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৪