জনাব, আপনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর শফিক রেহমানের ( ডবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন না করা) যায়যায়দিনকে খোল নলচে পাল্টে ফেলছেন। তবে এ কারণে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না। কারণ শফিক রেহমান যে আইডিয়া নিয়ে ছিলেন আপনি সে আইডিয়ায় নেই। সিনে ম্যাগাজিনের আইডিয়া নিয়ে আপনি ঝাপিয়ে পড়ছেন যায়যায়দিন সাজাতে। তাই উদ্ভট আর হাস্যকর পৃষ্ঠার নাম ( বাণিজ্যে বসতি লক্ষী ও বাংলাদেশের হৃদয় হতে) দেখতে হচ্ছে। এসব আইডিয়া আর যাই হোক একটি জাতীয় দৈনিক (অন্তত যায়যায়দিন) হতে পারে না।
কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক সম্পাদক হিসেবে শফিক রেহমান একজন শিক্ষিত ও আধুনিক সম্পাদক। তার আইডিয়াও ব্যতিক্রম ধর্মী। সেকেলে ফর্ম নিয়ে তার পত্রিকা করেন নি। আর তা জানান দিয়েছিলেন পত্রিকার শুরুর দিকে। যায়যায়দিন আমাদের পত্রিকা জগতে একটি বাড়ি দিয়েছিল তা দুর্জনেরাও শিকার করেন। কিন্তু অস্থিরমতি স্বভাব ও একগুয়েমির কারণেই তিনি আজ লক্ষ্যচ্যুত। হারিয়েছেন লন্ডনের বাড়িটিও (বন্ধ হওয়ার পর বেতন পরিশোধ করতে গিয়ে, শোনেছি), সাথে অপপ্রচারে সম্মানও গেছে!! এখন বিনা পয়সায় শুধু বিল্ডিং লোন পরিশোধ করে এইচআরসি আজ পত্রিকা, বিল্ডিংসহ যায়যায়দিনের সব সত্ত্বের মালিক। আর তার বদৌলওত আপনি বিশাল একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক হয়ে কাসুন্দি ঘাটছেন। জপাই রঙ্গের পোষাকওলাদের ছবি প্রতিদিন ছাপিয়ে আতœতৃপ্তিতে ভোগছেন। কারণ তিনাদের বদৌলতেই আপনি এই অবস্থানে আসতে পেরেছেন। এখন নিজের ঢোল নিজেই পিঠাচ্ছেন। সাবাশ! খান! একটি স্মরণিকা বানাতে আপনি আর আপনার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহোদয় প্রতিদিনই লেখা পাঠানোর আহবান জানাচ্ছেন। ধন্যবাদ!!
আপনি সম্পাদক হিসেবে জয়েন করার পর জাতিকে যা দিচ্ছেন তা কোনো মতেই একটি ভালো জাতিয় দৈনিকের ‘‘ বিশেষ সম্পাদকীয়’’ পর্যায়ের নয়। সম্পাদক মহোদয়রা তো বিশেষ বিশেষ সময়ে ( প্রতিদিন আপনার মতো বালকসুলভ আবর্জনা নয়) লিখেন। কেউ পড়–ক আর নাই পড়–ক সে চিন্তা না করে যে আপনার লেখা মাশাআল্লাহ চালিয়ে যাচ্ছেন সে জন্য...। দাম কমিয়েও পাঠককে গিলাতে পারছেন না। জানেন দাম কমার পর সার্কলেশন আরো কমেছে।
আপনার এসব লেখায় আমরা নিয়মিত পাঠকরা বিরক্ত। দুঃখ হয় এমন একটি সম্ভাবনাময় পত্রিকার বারোটা বাজা আপনার হাতেই সম্পন্ন হবে!!