বেগানা এই রাতে আমার ঔরসের কসমস
পুড়ে যাওয়ার অধিকার পেয়েছে আজ
কণা কণা পুড়ে গেছে জ্বলন্ত ফুল
উড়ে আসা রাতুল ফড়িং দেখে –
নিপুণ নিভছে আকাশ, রঙধনুকুচি।
তুমিসম নীল নীল কষ্টরা
মাতাল দেখছে এ স্বেচ্ছাদহন
আফসোস, তুমিই দেখোনি
জল সিঁড়ি’র গভীর অভিমান
সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার !
বানোয়াট জীবনে ঐ এক চন্দ্রছোবল
মাতোয়ারা করে গেলো শুধু কি আমায় !
বিপজ্জনক এ জন্মের পর মেরুরেখায়
কোন ঋষিমুখ মুখ মিললো না
সময়ের স্রোতে দেখলাম
গণিকার অসহায় স্বেদ
শিশুর নরোম ত্বকে পোড়া মবিলের দাগ
স্বর্গমুখি আফিমের হিপ্নোটিক খেল্
নোংরা বাসের সিটে নয়টা’র ভয়---
আজ আমি দ্রোহ ভুলে কণ্ঠে বাঁধছি কমলিওয়ালার গান
ঐ অক্ষরে হাতখড়ি নিতে যাই বজ্রচিহ্নের; আমি জোর খুঁজি
দুনিয়া বদলে দিতে আমিই পাঁড়মাতাল জোড় খুঁজি
নাহয় জ্বালিয়ে দেই নির্মম উপেক্ষা তোমার।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:১০