somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হিতোংকর সাহেব
কেউ আমায় ফিরিয়ে দিয়েছে বলে গোটা পৃথিবীটাকে আমার আপন মনে হয়। অভিমান আমার ওষ্ঠে এনে দেয় স্মিথ হাস্য ।আমি এমন ভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে ।আমার তো কারুকে দুক্ষ দেবার কথা নয় ।

উপকারের প্রতিদান ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার একটা চরম বদভ্যাস আছে ,বদ অভ্যাস বললে হয়তো কম বলা হবে।
নেশা বলা যেতে পারে।সেটা হল মাঝ রাতে ঢাকার রাস্তায় বিড়ি ফুকতে ফুকতে হাটতে থাকা ।
আগে প্রায় এই কাজটা করা হতো। এখন খুব একটা সময় হয় না ।গত বছর মার্চের লাস্ট উইক, রাত ১১.৩০ এর মত।
আমি রাস্তা দিয়ে হাটছি । মৎস ভবন পার হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর কাছা কাছি আসতেই খেয়াল করলাম একটা মেয়ে কেমন বিচলিত ভঙ্গিতে এদিক সেদিক দেখছে । এক কদম আগাচ্ছে তো আরেক কদম পেছাচ্ছে। চেহারাটা খুব মলিন তবে সে যে আতঙ্কিত তা খুব স্পস্টই ছিলো ।অনেকটা ভাবলেশ ভঙ্গিতে বিড়ির পুটকিতে মূখ লাগিয়ে ধোয়া ছারছিলাম আর হাটছিলাম ।
হঠাত কানে শব্দ আসলো ভাইয়া শুনেন।
আমিও পালটা উত্তর দিলামঃ-
হুম ভাইয়া বল ।বলার সাথে সাথেই মেয়েটা কান্না করে দিলো ।
পৃথিবিতে সকল মানুষই কান্না করে । কেও লোক দেখানো কান্না করে, কেও লোক ফাসানো কান্না করে।
এক এক জনের কান্নার ধরন এক এক রকম হয়। কিন্তু নিষ্পাপ কান্না গুলো আলাদা করা যায়।
এইটুকু বুঝতে পারা যায় যে, এই কান্নার পেছোনে কোন অসত উদ্যেশ্য নাই। সেই বালিকার কান্নার ধরন টা ছিলো ঠিক ঐ রকমই। যেন কিছু হারিয়ে ফেলেছে ।
কাছে গিয়ে কোন কথা না বলেই হাতের ছোট পানির বোতলটা এগিয়ে দিলাম, ইশারা করলাম খাও ।
এবার তার কাছে জানতে চাইলাম কি হয়েছে ।
কি বলবে সে , আবার কান্না , আমিও কিছু না বলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাতে থাকা বিড়িটা ফুকছিলাম।
আর অপেক্ষা করছিলাম, কান্না থামার।
অবশেষে যা শুনলাম, সার সংক্ষেপ এই যেঃ-
এই দিকে এসে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে , আরো বড় বিষয় হল সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার ব্যাগ ছিন্তাইকারী মোটরছাইকেল থেকে টান দিয়ে নিয়ে গেছে, সেখানে টাকা, মোবাইল সহ আরো অনেক কিছুই ছিলো ।
মোবাইল না থাকায় কারো সাথেই যোগাজোগ করতেও পারছিলো না ।
সেই সন্ধ্যা থেকে বেচারী হাটতেছে। মীরপুর থেকে নাকি সে হাটতে হাটতে এখান পর্জন্ত এসেছে।
জিজ্ঞেস করলাম , কোথায় যাবা ভাই।
কান্না জরিত কন্ঠে উত্তর দিলো জুরাইন । বল্ল ভাইয়া একটু হেল্প করেন না ।
কিন্তু কিভাবে হেল্প করবো ?
আমিওতো জুরাইনের নাম শুনেছি অনেক , জাইনাই কোখোনো ।
আশ্বস্ত করার জন্য বললাম, হেল্প করতে পারি । তবে কান্না থামাতে হবে ।
কথা শুনে কান্না থামালো, হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল
ভাইয়া আপনি কি সত্যি আমাকে পৌছায়ে দিবেন।
অবাক হয়ে লক্ষ করলাম ,
বাচ্চাদের মতো চোখ মুছতে থাকা আমার সামনে দাঁড়ানো মেয়েটা সত্যই অসম্ভব সুন্দর।
আচ্ছা এতক্ষন এই জিনিসটা আমার চোখে পড়লো না কেন ??
এখন যাবার পালা , রিকশা পাচ্ছিনা ।
অনেক কস্টে একটা রিকশা জোগার করলাম গুলিস্তান পর্জন্ত ।
গুলিস্তান এসে। আবার রিকশা নিলাম জুরাইন পর্জন্ত ।
জুরাইন যেয়ে আমার মোবাইল থেকে তার ভাইয়ার নাম্বারে ফোন দিয়ে বললাম,
বোনকে এসে নিয়ে যান। তখন রাত প্রায় ১টা ।
এই ফোন যে আমার কাল হবে কে জানতো তখন ।
সেই রাতে চলে আসার পর থেকে, গত একবছর যাবত , সেই বালিকার ফোনে আমি অতিষ্ঠ।
শুধু একটু দেখা করতে চায়। অবশেষে গতকাল তার সাথে মুভি দেখতে রাজি হলাম ।
বসুন্ধরায় গিয়ে দেখি বেচরা আমার জন্য টিকেট কেটে অপেক্ষা করছে ।
মুভির নাম Mission Impossible-5.

বাকি কথা গুলো তোলা রইলো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×