সরকারী অফিসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা জারি করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফেসবুক ছাড়াও আর ১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, স্কাইপে, গুগল প্লাস, ইমো, ভাইবার, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ও হোয়াটসএ্যাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের মধ্যে পড়বে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাংলাদেশেও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক উভয় পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারের এ প্রবণতা লক্ষণীয়। কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী কোন কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোন কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে। আমাদের উচিৎ এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার করা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮