তনুকে হত্যা করার পর রাজশাহী আর বরিশালে আরো দুটো মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সে দুটি ঘটনা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। থাক আমি সেদিকে যাবো না। সোশাল মিডিয়ায় তনুর মৃত দেহের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যে যে ভাবে পারছে। তনু হত্যার দ্বিতীয় দিন তনুর লাশের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘাসের মধ্যে তনুর মৃত দেহ পরে আছে। সারা শরীর ভেজা। যেহেতু তনুর বাবার ভাষ্য মতে তনুকে কালভাটের নিচে পাওয়া গেছে কিন্তু গত বুধবার রাত্রি থেকে, ঘরের ভেতর খাটের উপর শোয়ানো রক্তাক্ত অর্ধ উলঙ্গ একটি মেয়ের ছবি প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, এটি তনুর ছবি। যা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। এখন কথা হচ্ছে, তনুর মৃত দেহ পাওয়ার পর তার বাবা আর ভাই মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তা হলে ঘরে এতো রক্ত এলো কোথা থেকে। এতো তাজা রক্ততো বের হবার কথা নয়। খাটের উপর শোয়ানো ছবিটা তাহলে কার? তনুর আসল ছবি তাহলে কোনটি? (খাটের উপর শোয়ানো রক্তাক্ত অর্ধ উলঙ্গ ছবিটি ভিয়েতনামের এক রমনীর। মানে সব কিছু জগা খিচুরি পাকিয়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্যই হয়তো এসব করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? কারা করছে এসব? তাদের উদ্দেশ্য কি? শুধু তনু হত্যার বিচার নাকি আরো বেশি কিছু? কেন এতো মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে? মানুষকে বিভ্রান্ত করাও অপরাধ। ধর্ষিতা নির্যাতিতা মেয়ের ছবি ছাপিয়ে তাকে কি বারবার ধর্ষণ করা হচ্ছে না? এ সবই করা হচ্ছে সুদুর প্রসারি কোন পরিকল্পনা সফল করার জন্য। আমি যতোটুকু জানি, সেনা বাহিনীতে নারী ঘটিত কোন অপরাধের জন্য কাউকে ক্ষমা করা হয় না সে যেই হোক না কেন। তনু ছিলেন একজন মুসলিম তরুণী। মৃত্যুর পর একজন মাইয়াতের ছবি প্রকাশ করা ইসলামের দৃষ্টিতে গুনাহের কাজ। একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে অন্যায় করা হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নটা সবার
বিবেকের কাছে রেখে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৯