somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঁচ হাজার বছর আগের মিশরে বাংলাদেশের স্কুলছাত্র অনন্য

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতিহাস ভ্রমণ
প্রারম্ভিকা:
ত্রৈমাসিক ELIXIR–এর এই বিভাগটি শিশুদের মানব সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য। এর প্রধান চরিত্র অনন্য সাতক্ষীরার এলিকজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’র ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। মানুষের অতীতকে জানতে তার রয়েছে অদম্য কৌতুহল। অনন্যর ছোট ফুফু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ছোট ফুফু অনন্যর জন্য মিশর থেকে একটি রহস্যময় বই নিয়ে এসেছিলেন। বইটির সাহায্যে অতীতের পৃথিবীর যে কোন সময়ে ভ্রমণ করা সম্ভব। বিস্ময়কর এই বইটির সাহায্যে অনন্য একের পর এক পরিভ্রমণ করবে প্রাচীন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। মিশর, ব্যাবিলন, সিন্ধু অববাহিকা, গ্রিস, চিন, আনাতোলিয়া, রোম, ইনকা সভ্যতাসহ নানান অঞ্চল ভ্রমণের সেই সব রোমাঞ্চকর কাহীনি আমরাও ধারাবাহিকভাবে জানতে পারব ELIXIR–এর প্রতি সংখ্যার মাধ্যমে।
মূল কাহীনি:
পিরামিড আর মমির দেশ পাঁচ হাজার বছর আগের মিশরে আমাদের বন্ধু অনন্য
স্কুল ক্যাম্পাস থেকে হোস্টেলে ফিরেই সদ্য পাওয়া ল্যাপটপটা সযত্নে টেবিলের উপর রাখল অনন্য। অনন্যদের স্কুলে এখন আর ব্যাগ ভর্তি বই নিয়ে ক্লাস করতে হয় না। উফ্ সেই দিনগুলোর কথা ভাবতেই অবাক লাগে! ডজন খানেক খাতা আর ডজন খানেক বই দিয়ে ভর্তি ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা। তখন আবার স্কুলের কোন হোস্টেলও ছিল না। মেরুদণ্ডের হাড়টা যে ঠিকমত আছে সেটাই বিস্ময় জাগায় মাঝে মাঝে। অনন্য-র রুমমেট শিহাব ফিরতে আজ অনেক দেরি করবে। স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। শিহাব স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলছে। স্কুল ইউনিফর্ম পাল্টে বাথরুম থেকে ভালোমত ফ্রেশ হয়ে রুমে ফিরে অনন্য দরজা-জানালা সব বন্ধ করে নিয়েছে সতর্কতার সাথে। জানালার পর্দাগুলো ঠিকমত টানা রয়েছে কি না দেখে নিয়ে এবার সে নিজের আলমারিটা খুলল।


কিছুদিন আগে অনন্য-র ছোট ফুফু দেশে এসেছিলেন আমেরিকা থেকে। ছোট ফুফু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিওলজি পড়ান। গত বছর তিনি তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে মিশরে গিয়েছিলেন। মিশর আফ্রিকা মহাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাসের একটি দেশ। মানব সভ্যতার অন্যতম লীলাভুমি মিশরে রয়েছে হাজার হাজার বছর পূর্বেকার অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মিশরে থাকা অবস্থায় ফুফু অনন্য-র সাথে প্রতিদিন ইন্টারনেটে ‘ভিডিও চ্যাট’ করতেন। একদিন স্কাইপ-এ ফুফুর সাথে ভিডিও চ্যাট চলার সময় ফুফু অনন্য-কে একটি মোটা প্রাচীন বই দেখিয়ে বললেন, ‘এই বইটি তোর জন্য কিনেছি। বইটি বেশ প্রাচীন এবং রহস্যময়।’ অনেকটা এ্যালবামের মত দেখতে বইটি ভিডিওতেই ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিল। চমৎকার সব চিহ্ন আর চিত্র ফুফু উল্টে-পাল্টে দেখাচ্ছিলেন। দেশে এসেই তিনি বইটি উপহার দিয়ে যান অনন্য-কে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো বইটি প্যাপিরাস কাগজের উপরে লেখা। বইটি লেখা হয়েছে প্রথম দিকের হায়ারোগ্লিফিক লিপি-তে। তবে ফুফু’র একজন সহকর্মী হাতে লিখে বইটি’র আংশিক ইংরেজি অনুবাদ সংযুক্ত করে দিয়েছেন সম্ভব সকল পৃষ্ঠায়। যদিও এর কিছু অংশের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। প্রায় দুই হাজার বছর আগের অজ্ঞাতনামা এক মিশরীয় বিজ্ঞানী বইটি লিখেছিলেন। অনন্য শুরু থেকেই বইটিকে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে। এই বইটি অত্যন্ত রহস্যময়। এতে একটি গোপন গাণিতিক সূত্র রয়েছে। ঐ সূত্রের সাহায্যে অনন্য প্রাচীন পৃথিবীর যে কোন সময়ে ঘুরে আসতে পারবে। বইটির ঠিক যে পৃষ্ঠায় মিশরীয় চিকিৎসক ইমহোটেপ-র প্রতিকৃতি রয়েছে সেই পৃষ্ঠার নম্বর এবং প্রতিকৃতিটির মস্তিস্কের বাম দিকের একটি নির্দিষ্ট স্থান হচ্ছে এর মূল রহস্য। অনন্য ছাড়া আর কেউই এই সূত্র জানে না। বইটির লেখক বিজ্ঞানী ভবিষ্যতের মানুষকে প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে চেয়েছিলেন। তার সারাজীবনের সাধনার ফসল এই বইটি। ভাগ্যক্রমে বইটি সাতক্ষীরার এলিকজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী অনন্য-র হাতে এসে পড়েছে। শিশুকাল থেকেই অনন্যর প্রচণ্ড আগ্রহ প্রাচীন পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে। স্কুলে যত বেশি এ সম্পর্কে জেনেছে আরও জানার জন্য ছোট ফুফু-কে বারবার প্রশ্ন করেছে। ছোট ফুফু অনেক কিছু জানে। মাঝে মাঝে অনন্য-র মনে হয়-‘ইস্ আমি যদি ছোট ফুফু হতাম!’। ফুফুকে সে কয়েকবার বলেছে, ‘ছোট ফুফু, তুমি যা জান সব আমাকে জানাবে।’ অনন্যর এই জ্ঞানতৃষ্ণা ছোট ফুফু’র খুব ভালো লাগে। এ কারণেই ছোট ফুফু রহস্যময় বইটি তার জন্য নিয়ে এসেছে।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনন্যদের ক্লাসে আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে। অনন্য বরাবরই এই কোর্সে শতভাগ নম্বর পেয়ে আসছে। সে কোনদিন এই কোর্সের কোন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে না। শুরুতেই সে জেনেছিল প্রাচীন যুগে পৃথিবীর মানুষ আফ্রিকা থেকেই এশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ আমাদের আদিনিবাস আফ্রিকায়। ইথিওপিয়ায় প্রাপ্ত প্রায় ৩৪ লক্ষ বছর পুরোনো লুসি’র কংকাল সম্পর্কেও সে জানে। তখন থেকেই আফ্রিকা নিয়ে অনন্য খুবই আগ্রহী। মিশরের মমি, পিরামিড, নীল নদ আর ফারাওদের দেখতে খুব ইচ্ছে হয়। আজ সুযোগ এসেছে আফ্রিকা ভ্রমণের। অনন্য ধীরে ধীরে ইমহোটেপ-এর প্রতিকৃতি সম্বলিত পৃষ্ঠাটি বের করল। সমগ্র মনোযোগ সন্নিবেশিত করে গোপন সূত্রটি প্রয়োগ করে প্রতিকৃতিটির বাম মস্তিস্কের নির্দিষ্ট স্থানে চাপ দিল। আস্তে আস্তে ঘরের ভিতরে এক ধরনের সাদা ধোয়া জমতে শুরু করল। অনন্য বেশ ভয় পেয়ে গেল। এই প্রথম সে সূত্রটি প্রয়োগ করছে। সে জানে তার শরীরের প্রতিটি কণা আলাদা হয়ে এই ধোয়ার মধ্য দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের আফ্রিকায় গিয়ে আবার একত্রিত হবে। পাঁচ হাজার বছর সময় অনন্যই নির্ধারণ করেছে। অনন্য প্রথমেই যেতে চায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রকৃত জনক ইমহোটেপের কাছে। যার প্রতিকৃতির মধ্যে অতীতে ভ্রমণের এই রোমাঞ্চকর সম্ভাবনা লুকিয়ে ছিল।

অনন্য নির্দিষ্ট স্থানে চাপ দিতেই বইটি থেকে ধোয়া বের হতে শুরু করল।


অনন্যর সমস্ত শরীর একটি বিরাট ঝাকুনি দিয়ে থেমে গেল। সে আস্তে আস্তে চোখ মেলতে শুরু করল। সম্বিত ফিরে পেতে কিছুটা দেরি হওয়ায় চারিদিকের অপরিচিত জিনিস দেখে সে বুঝতে পারছে না কোথায় আছে। তবে কি মৃত্যুর পরে কোথাও চলে এসেছে?

ইমহোটেপ


হঠাৎ অদ্ভুত পোশাক পরা এক বৃদ্ধ অনন্যর মাথায় হাত রেখে বলল, ‘স্বাগতম হে আধুনিক যুগের মানুষ! তুমি তোমার সময় থেকে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ বছর আগের পৃথিবী পরিভ্রমণে এসেছ।’ অনন্য অবাক হলো, বৃদ্ধ যে ভাষায় কথা বলছে তা অনন্যর নিজের ভাষা নয়, কিন্তু অনন্য বুঝতে পারছে তার কথা। নিজের হাতে চিমটি কেটে অনন্য নিশ্চিত হলো সে বেঁচে আছে। মনে পড়ল সে স্কুলের হোস্টেল রুমে বসে ছোট ফুফুর দেয়া রহস্যময় মিশরীয় বইটির সাহায্যে প্রাচীন আফ্রিকায় যেতে চেয়েছিল। সে বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কে? আমি এখন কোথায় আছি?’ বৃদ্ধ প্রজ্ঞাময় হাসি দিয়ে উত্তর দিলেন, ‘তুমি আমার সাথে দেখা করতে প্রায় ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মিশরের মেমফিস নগরে এসেছ। আমি রাজা জেসেরের প্রধান উজির ইমহোটেপ।’ অনন্য বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। সে ইমহোটেপের দু’ই বাহু চেপে ধরে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কি সেই মহান ইমহোটেপ? যিনি সবচেয়ে প্রাচীন পিরামিডের স্থপতি, যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের মহান জনক?’ ইমহোটেপ অনন্যর হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরের এক কোণে রাখা একটি পাথরের পাত্র থেকে কিছুটা পানীয় ঢাললেন একটি পেয়ালায়। অতঃপর তিনি পেয়ালাটি অনন্যর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তুমি সঠিক স্থানেই এসেছ বালক। এই পানীয়টুকু পান করে নাও। তোমাকে অনেক ধকল পোহাতে হয়েছে এখানে পৌছতে।’ অনন্য মুগ্ধ হয়ে দেখল ইমহোটেপকে। পরিধেয় পোশাকই বলে দিচ্ছে ইনি রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় কোন ব্যক্তিত্ব। তার দুচোখ এবং মুখমণ্ডলের ঔজ্জ্বল্য বহন করছে জ্ঞানের স্মারক। এই মহান মানুষটিই পরবর্তীকালে মিশরীয়, গ্রিক এবং রোমানদের কাছে দেবতা বলে গণ্য হবেন। তাকে বলা হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ঈশ্বর। একাধারে কবি, ভাস্কর, দার্শনিক, স্থপতি, গণিতজ্ঞ, চিকিৎসক এবং মিশররাজ জেসেরের সহকারী ও প্রধান উপদেষ্টা, যিনি প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি সাক্কারার স্টেপ পিরামিডের স্থপতি, সেই মহান ইমহোটেপ অনন্যকে পানীয় পান করাচ্ছেন স্বহস্তে। ‘আমি কিন্তু এ্যালকোহল পান করি না, আপনার এই পানীয় কি আমার জন্য স্বাস্থ্যকর হবে?’ অনন্য কিছুটা দ্বিধান্বিত ইমহোটেপের দেয়া পানীয় পান করার ব্যাপারে। ইমহোটেপ স্মিত হেসে উত্তর দিলেন, ‘অনন্য আমি তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানি। তুমি নিশ্চিতে পান করতে পার। এটি আমার নিজের হাতে প্রস্তুত অমৃত বিশেষ। আমি এই পানীয় প্রস্তুত করি দীর্ঘায়ুর জন্য। আমার চিকিৎসা এবং ঔষধ অব্যর্থ। এটা তোমার যুগের ভেজাল ঔষধ নয়।’ অনন্য এবার লজ্জা পেল। তার বোঝা উচিৎ যিনি এই পানীয় তাকে দিচ্ছেন তিনি সর্বকালের সেরা চিকিৎসক। অনন্য এবার পানীয়টুকু পান করল। কিছুটা ঝাঁঝালো হলেও বেশ সুস্বাদু।

কক্ষের অভ্যন্তরে প্রস্তুত হচ্ছে নানাবিধ ওষুধ।


কিছুক্ষণের মধ্যে সে এর গুণ বুঝতে পারল। বেশ চনমনে মনে হচ্ছে এখন। শরীরে অনেক বল ফিরে পাচ্ছে। এতক্ষণে শয্যা থেকে নামল সে। ইমহোটেপকে জিজ্ঞাসা করল, ‘আচ্ছা, আপনি কি করে আমার সম্পর্কে সবকিছু জানেন? আমিতো আপনার সময় থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পরে জন্মেছি।’ ইমহোটেপ অনন্যর ঘাড়ে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে বললেন,‘আমি আরও অনেক কিছুই জানি এই বিশ্ব এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে। সাধনা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই আমি এসব জেনেছি। এখন বলো তোমার জন্য আমি কি করতে পারি? তোমার ইতিহাস জানার আগ্রহে আমি মুগ্ধ। কি জানতে চাও তুমি?’ অনন্য প্রথমেই জানতে চাইল রাজা জেসের সম্পর্কে, ‘আপনিতো রাজা জেসেরের প্রধান উজির। তাই নয় কি? তিনি এখন কোথায়?’ ইমহোটেপ অনন্যর কাঁধ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে ছোট্ট করে নিশ্বাস ফেললেন, ‘রাজা জেসের কয়েক বছর হলো মারা গিয়েছেন।’ অনন্য জিজ্ঞেস করল, ‘অর্থাৎ আপনি ইতিমধ্যেই প্রথম পিরামিডটি প্রস্তুত করেছেন?’ ইমহোটেপ একজনের নাম ধরে ডাক দিলেন। একজন রাজকর্মচারী এসে কুর্নিশ করে দরজায় দাঁড়াল। ইমহোটেপ তাকে বাহন প্রস্তুত করতে বললেন। ‘অনন্য চলো তোমাকে প্রথমে আমার নকশা করা রাজা জেসের-এর সমাধির স্টেপ পিরামিডটি দেখাবো।’ ইমহোটেপ ঈশারায় তাকে অনুসরণ করার জন্য অনন্যকে নির্দেশ দিলেন। প্রাসাদের বাইরে এসে অনন্য দেখল দু’টি গাধা দাড়িয়ে আছে। গাধার পিঠে বসবার জন্য চমৎকার করে আসন সাজানো রয়েছে।


অনেকটা চেয়ারের উপরিভাগের মত করে তৈরি কাঠের আসন চমৎকার করে ডিজাইন করা। একটিতে অনন্য এবং অন্যটাতে ইমহোটেপ সওয়ার হলেন। তাদের সাথে সাথে বেশ কয়েকজন রক্ষী এবং কর্মচারীও হাঁটতে লাগল। পাশাপশি যেতে যেতে ইমহোটেপ অনন্যকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বলতে লাগলেন।

‘তুমিতো আধুনিক পৃথিবীতে বাস কর। সেখানে নিশ্চয়ই আধুনিক অনেক বাহন রয়েছে?’
‘আমরা আকাশে চলার মত অনেক যান বানিয়েছি। এমনকি চাঁদে ও অন্যান্য গ্রহেও আমরা যেতে পারি রকেটের সাহায্যে।’ অনন্য উত্তর দিল।

ইমহোটেপ অবাক না হয়ে বললেন, ‘সেটাই স্বাভাবিক, পাঁচ হাজার বছরতো আর কম কথা নয়। তুমি এত ছোট বয়সে পৃথিবীর ইতিহাস নিয়ে নাড়াচড়া করছো, বোঝাই যাচ্ছে তোমাদের সময়ের শিশুরা অনেক বেশি জানে এবং জানতে চায়ও।’
‘আমরা অজানাকে জানতে চাই। আপনারাই আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন। আমরা ইতিহাস ঘেঁটে যখন জানতে পেরেছি প্রাচীন পৃথিবীর মানুষদের নব নব আবিস্কারের কথা তখন আমরা উৎসাহিত হয়েছি অনুপ্রাণিত হয়েছি আরও জানার জন্য। আপনি কি আমাকে সংক্ষেপে বলবেন- মিশরের কথা, আপনার সময়ের সমাজের মানুষের কথা এবং পরবর্তীতে আপনার ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা সম্পর্কে?’ অনন্য বলল।

ইমহোটেপ বললেন,‘নিশ্চয়ই বলব। তুমি আসলে এসেছ মিশরের তৃতীয় রাজবংশের রাজত্বকালে। মিশরের প্রথম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা মেনেস। আমরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। মিশর নীল নদের দান- এই কথাটি তুমি নিশ্চয়ই ইতিহাস থেকে জেনেছ। আজ থেকে দুই হাজার বছর পরে অর্থাৎ তোমাদের সময় থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীসের এক জ্ঞানী হেরোডোটাস যাকে তোমরা ইতিহাসের জনক বলবে তিনি আসবেন মিশর ভ্রমণে। তার মিশরে আসার সময়কালে অবশ্য পারস্য সাম্রাজ্যের দখলে থাকবে মিশর। পারস্যকে তোমরা চিনবে ইরান নামে। হেরোডোটাস মিশর ঘুরে অনেক কিছু দেখবেন এবং পরবর্তীতে তা লিপিবদ্ধ করে রাখবেন যা তোমরা জানতে পেরেছ। নীল নদ পৃথিবীর অল্প কয়েকটি নদীর একটি যেটি উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত না হয়ে দক্ষিণ দিকে থেকে উল্টো উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিবছরের বন্যায় নীল নদের পলি দ্বারা গঠিত কালো মাটিই আমাদের সভ্যতার ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। তবে শুরুর দিকে নীল নদের পাড়ে বিভিন্ন ‘ট্রাইব’ বাস করত। মহান যোদ্ধা রাজা মেনেস প্রথমে Upper Egypt এবং Lower Egypt -কে একত্রিত করে মেমফিস নগরকে রাজধানী করে এই শক্তিশালী মিশরীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।’

অনন্য মুগ্ধ হয়ে শুনছিল কিভাবে এই মহান মানুষটি তার নিজের সময়ের পরবর্তী, পূর্ববর্তী এবং বর্তমান কালের কথা একের পর এক বলে যাচ্ছেন। সে আবারও ইমহোটেপ কে প্রশ্ন করল-‘আপনি এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, মানুষের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, বিশ্বাস ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলুন।’


রাজা মেনেস

ইমহোটেপ আবারও বলতে শুরু করলেন, ‘এই যে দেখছ, গাধার পিঠে এক ধরনের চেয়ার দিয়ে আমরা স্থলপথে যাচ্ছি, এটাই এখনকার সময়ের অভিজাতদের পরিবহন ব্যবস্থা। তুমি হয়ত উট না দেখে অবাক হচ্ছ। আসলে মিশরে উটের বহুল ব্যবহার শুরু হতে এখনও অনেক দেরি। পারস্য সাম্রাজ্যের দখলে যাওয়ার সময়ই এখানে তাদের দ্বারা উটের বহুল প্রচলন শুরু হবে। আর ঘোড়ার ব্যবহার শুরু হলে ‘চ্যারিয়ট’ হয়ে উঠবে অভিজাতদের প্রিয় বাহন। একটি চ্যারিয়ট ঘন্টায় প্রায় ২৫ মাইল পথ অতিক্রম করতে পারবে। ঘোড়ার ব্যবহার শুরু হবে আমার সময় থেকে প্রায় এক হাজার বছর পরে যখন সেমেটিক যাযাবর হাইকসস( Hyksos)’রা মিশর আক্রমণ করবে। এই যাযাবরদের কাছ থেকে মিশরীয়রা ঘোড়াটানা চ্যারিয়ট, নতুন অস্ত্র এবং ব্রোঞ্জের বহুল ব্যাবহার শিখবে। সাধারণ মানুষ অবশ্য পায়ে হেঁটেই পথ অতিক্রম করে। তবে এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যয়বহুল নয়। মূলত নদীপথে যাতায়াতই বহুল প্রচলিত। রাতে সাধারণত কেউ নদীতে যাতায়াত করতে চায় না।


নৌকাযোগে অনন্যকে নিয়ে রওনা দিলেন ইমহোটেপ

নৌকাই প্রধান বাহন। বর্ষা মৌসুমে মেমফিস থেকে আমাদের আরেক বিখ্যাত নগর থিবস( Thebes) যেতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এমনকি দুই মাসও লেগে যেতে পারে।


নীল নদ

এখানকার মানুষ মূলত কৃষিজীবী। যদিও বছরের অন্যান্য সময় বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না বললেই চলে। তথাপি প্রতিবছর বর্ষায় নীলনদ অববাহিকায় প্রাণের সঞ্চয় হয়। প্রথম দিকে নীল নদ থেকে প্রবাহিত প্রাকৃতিক খালগুলোই কৃষিজমিতে পানি সরবরাহ করত। কিন্তু জনসংখ্যা এবং কৃষিজমি বাড়ার সাথে সাথে আমাদেরকে নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হয়েছে। আমরা প্রচুর খাল এবং জলাধার খনন করিয়েছি রাজার পক্ষ থেকে, যাতে করে শুষ্ক মৌসুমে ফসলের জমিতে সেচের জন্য পানি পাওয়া যায়। তুমি নিশ্চয়ই ইতিহাস থেকে জেনেছ আমাদের রাজারা জনগণের কল্যাণে প্রথম যে সকল রাজকর্মচারী নিয়োগ করেছিলেন তারা হলো- খাল খননকারী।


সাডফ ব্যাবহার করে একজন কৃষক পানি নিচ্ছেন ফসলের জমিতে


সাধারণ পরিবারের শিশুরা তাদের পরিবারের অভ্যন্তরে এবং চারপাশে দেখতে দেখতে সমাজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। যদিও রাজা ও অভিজাতদের সন্তানেরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায় আমার মত অনেকের কাছ থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয় স্থাপন করবে রোমানরা। আর এখন আমার নিজের শিষ্য সংখ্যা অনেক। সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র, এছাড়াও আছে শিল্পকলা, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় শিক্ষা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা। পৃথিবীর প্রাচীনতম গণনা পদ্ধতি, আগুনের আবিস্কার এবং ‘টুলস’-র ব্যাবহার আফ্রিকাতেই হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০০ বছর সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবোম্বো গুহায় কেউ একজন সবচেয়ে প্রাচীন গণনা পদ্ধতির নিদর্শন রেখে গিয়েছে। যেখানে টালি স্টিকে ২৯টি দাগ আছে।


প্রাচীন গগণা পদ্ধতির একটি নমুনা

এমনকি খ্রিস্টপূর্ব ২০০০০ বছর সময়ের নীল নদের পাড়ের এরকম গণনার নিদর্শনও পাওয়া গিয়েছে। আমরা জ্যামিতির ব্যবহার শুরু করেছিলাম নীল অববাহিকার জমির পরিমাপ করতে। পরবর্তীতে আরবদের হাত ধরে ভারতীয় সংখ্যাপদ্ধতিও আমাদের এখানে এসে পৌছবে। এ প্রসংগে তোমাকে জানিয়ে রাখি এক মহান নারীর কথা। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে হাইপেশিয়া(জন্ম আনুমানিক ৩৭০ খ্রিস্টাব্দ) নামের এক নারীর আগমন ঘটবে রোমান শাসনের সময়ে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়। হাইপেশিয়া হবেন তোমাদের জানা পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম নারী যিনি গণিত ও বিজ্ঞানে অসামান্য অবদান রাখবেন। গণিতে তার অসাধারণ দক্ষতা তোমাদের অনেক উপকার করবে। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাসের শিকার হবে সে। প্যেগান হওয়ার কারণে তাকে উগ্র খ্রিষ্ট্রীয় চার্চের হুকুমে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে। তাকে নৃশংসভাবে হত্যার নির্দেশ দেবে সিরিল।


ইতিহাসের প্রথম নারী বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ হাইপেশিয়া

যাই হোক এখনকার কথায় ফিরে আসি। এখানকার মানুষের ধর্ম বিশ্বাস বিচিত্র। অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা করা হয় এবং তাদের জন্য রয়েছে উপসনালয়। কয়েক বছর পূর্বে মিশর এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছিল। এ ইতিহাস অবশ্য তুমি পড়েছ। পরপর সাত বছর অনাবৃষ্টিতে খরা দেখা দিয়েছিল। ফসল উৎপাদন হয়নি খরার কারণে। মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল রাজার উপর ঈশ্বর অসন্তুষ্ট, রাজা ছিলেন মহাবিপদে। আসলে অনাবৃষ্টিই ছিল মূল কারণ। যাই হোক আমার বিচক্ষণতায় সেই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট খাল খনন করাই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এছাড়াও মানুষের অনেক জটিল রোগ সারাতে সক্ষম হয়েছি আমি। এসবের কারণে মানুষ আমাকে দেবতা ভাবতে শরু করেছে। এমনকি কেউ কেউ রাজা জেসেরের মৃত্যুর পর আমার উপাসনাও করছে। এ অবস্থা চলতে থাকবে আরও তিন হাজার বছর। এমনকি রোমান এবং গ্রিকরাও আমাকে দেবতা জ্ঞান করে উপাসনা করবে। আমাকে তারা বলবে ‘গড অব মেডিসিন’। আমার নামের অর্থ দাঁড়াবে ‘শান্তির রাজপুত্র’। মিশরে এক সময় বিশ্বর প্রথম একেশ্বরবাদী ধর্মমত চালু করবেন ফারাও আখেনআটেন। একমাত্র ঈশ্বর আটেন-এর উপাসনায় তিনি সবাইকে বাধ্য করবেন। তার নিজের নাম পঞ্চম আমেনহোটেপ বদলে তিনি আটেনের সেবক অর্থাৎ আখেনআটেন নাম ধারণ করবেন। আটেন হলো সূর্য দেবতা। তার বিশ্বাস ছিল পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস যেহেতু সূর্য সেহেতু সূর্য দেবতাই একমাত্র ঈশ্বর। ফারাও আখেনআটেন রাজত্ব করবেন খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫৩ থেকে ১৩৩৫ পর্যন্ত। তার রাজত্বকালের পঞ্চম বছরে নিজের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি তিনি রাজ্যের রাজধানী থিবস থেকে আখেনটাটেন-এ পরিবর্তন করবেন। তোমাদের কাছে এই শহর অবশ্য ‘অমরনা’ নামে পরিচিত। আখেনআটেনের স্ত্রীও ইতিহাসের আরেক বিস্ময় এবং যাকে তোমাদের সময়ে সৌন্দর্য্য ও প্রজ্ঞার প্রতীক মনে করবে সে হলো- নেফারতিতি। আখেনআটেন ও নেফারতিতির সময়ে মিশরের শিল্পকলার প্রভূত উন্নতি ঘটবে। নেফারতিতিকে নিয়ে তোমাদের কালের কবিরা অসংখ্য কবিতা লিখবে, গায়কেরা গাইবে গান। আখেনআটেন-এর জামাতা আট বছরের বালক ফারাও তুতেনখামেন ইতিহাসের আরেক বিখ্যাত চরিত্র। এই শিশু রাজাও ইতিহাসে অত্যন্ত রহস্যময় চরিত্র হয়ে রইবে। এর কথাও তোমাকে আমি জানাব।


তুতেনখামেন

আর চিকিৎসার কথা জিজ্ঞেস করছিলে। আমি চিকিৎসা করি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। অসংখ্য গাছ রয়েছে যারা নানাভাবে উপকারী। আমি প্রধানত গাছের ছাল, ফল, জীবাণুমুক্ত পানি আর বিভিন্ন গাছের শিকড় ও পাতার রস ব্যবহার করি চিকিৎসার জন্য। আমি জানি রোগ আসলে কোন দৈব ব্যাপার নয়। আমার পরে আর একজন এমনিভাবে চিকিৎসা করে ইতিহাসে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত হবে। তিনি হলেন গ্রিসের হিপোক্রিটাস। তিনি রোগের কারণ নির্ণয় করে তবে চিকিৎসা করবেন এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা এবং উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করতে বলবেন। আমিও তাই বলি। আমার শিষ্যরাও অনেক ভালো চিকিৎসক। তোমাদের সময়ের চিকিৎসকদের শপথ নিতে হয় হিপোক্রিটাসের নামে। আর হিপোক্রিটাসের সময় চিকিৎসাবিদ্যা শেখানো হবে আমার নামে করা উপসানালয়ে।’
অবশিষ্ট অংশ
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২
১৬টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×