প্রসঙ্গ জয়, জয়কে অপহরন ও হত্যা সরজন্তের জন্য বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত বিতর্কিত সম্পাদক ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সারা দেশ ব্যাপি হই হই উঠে গেলো যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে না হলে এই দেশে বিচার পাওয়া যাবে না, এখন একটু সফিক রেহমানকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মামলায় একটু আলোকপাত করা যাক। প্রথমত মামলাটি কিন্তু হওয়ার সাথে সাথেই মি. লাল গোলাপ কে গ্রেপ্তার করা হইয়নি, মামলাটি হয়েছে ২০১৫ সালে, এবং এই মামলাতেই একজন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতার ছেলে, একজন সাবেক এফবিআই এজেন্ট এবং এই দু'জনের অন্য একজন আমেরিকান বন্ধু এরা সবাই এই ষড়যন্ত্রের কারণে সাজা ভোগ করছে” আর যদি মি.লাল গোলাপ এর বয়স নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলেন তাহলে বলবো আপনি নিজে আত্মহত্যা করুন কারন এদেশের লাখ লাখ মানুষ গোলাম আজমের ফাসির দাবিতে আন্দোলন করেছিলো যখন ঐ কুখ্যাত রাজাকার বয়স বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেয়েছিলো, তার আপনি শফিক রেহমানের বয়সের জান্ডা তুলে এদেরশের সেই সব লাখ লাখ মানুষকে নিজের বৃদ্ধা আঙ্গুলিই দেখান না ৩০ লক্ষ শহীদকে অপমান করেছেন
এখন আসাযাক বিতর্কের প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রগতিশীলদের দাবি যে অন্য বিচার গুলো কেন হয় না এটা কেন গ্রেপ্তার করা হলো, একটা প্রশ্ন সবার প্রতি ভাই আপনার বাবার হত্যার বিচার পাননি বলে কি ভাইয়ের হত্যা কারিকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই প্রশ্ন কোন বিবেকবান তুলবে???
এই রকম একটা স্পর্শ কাতর মামলায় সরকার হাত দিতে প্রায় ১ বছর সময় নিয়েছে, অপেক্ষা করুন ফলাফল পাওয়া যাবে, রানা প্লাজা থেকে শুরু হোক রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার প্রায় সাথে সাথেই বিশাল অভিযানের মাধ্যমে রানাকে গ্রেপ্তার করা হলো, ধ্বংস স্তূপ থেকে উদ্ধার পাওয়াদের সরকার নানা ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে। তারপরও এখন কিছু মাইক শব্দ দূষণ করে বেড়ায় যে রানাপ্লাজা ধ্বসের বিচার হয় নাই,
রাজিব হায়দার হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলো,তাও মাইকের শব্দ দুষন থামে না,দাবি যাদের ধরেছে তারা আসল হত্যাকারি না, আবার অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরে ভাই আপনেই যদি জানেন যে কে হত্যা করছে তাহলে আপনি এখন বাংলাদশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেড থাকতেন রাস্তায় শব্দ দুষন করতেন না,
অভিজিত হত্যাকাণ্ড সরাসরি তদন্ত করছে এফ বি আই এবং তারা বাংলাদেশের পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট , কই কাউরেই তো দেখলাম না এফ বি আই এর তদন্ত নিয়ে কোন কথা বলতে??? আমার মতে তার একটাই কারন হতে পারে ব্লগার কোঠায় আমেরিকার ভিসা পেতে জটিলতা তৈরি হতে পারে , এছাড়া আর কিছুই না,
তনু হত্যা মামলার তদন্ত চলছে সেনা অফিসার হতে শুরু করে তাদের পরিবারের সদস্য, ঐ এলাকার সকল বেসামরিক লোক সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, আমলা পুলিশ থেকে সি.আই.ডি তে গেছে, সিম্পল ব্যাপার যদি কোন সামরিক কর্মকারতা আসামিকে বাচাতে চায় তাহলে এটা সম্ভব না কারন একটা দেশের টোটাল সিস্টেম করাপ্টেড হতে পারে না, সবাই মিলে এক জনকে বাচানোর চেস্টা করলে সেটা আর কোন ভাবেই গোপন থাকে না,
কিছু দিন আগে সামাদ হত্যা কান্ড হলো এবং একি দিনে আরেক জন ব্লগারের উপর হামলা হলো, প্রগতশীলরা গলা ফাটালো এটা জঙ্গিলা করেছে আইএস ও দায় নিয়ে নিলো,
ব্যাপাটা একটা সিমপ্ল সমি করন, কোন প্যাচ নেই আইএস থাকুক আর না থাকুক হত্যার দায় স্বীকারে মাধ্যমে তারা ঠিকি মানুষের মনে বসবাস করা শুরু করলো, তাদের দ্বায় স্বীকারে কোন সমস্যা নাই কারন তাদের এদেশে কেউ গ্রেপ্তার বা শাস্তি পাওয়ার ভয় নাই, কারন এদেশে তাদের আদো কেউ আছে কিনা সেটাই সন্দেহের।
আর যে দুনের উপর হামলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রুপে এলাকার ছোট ভাই বড় ভাই ঝামেলার কারনে, কোন জংলী হামলা নয়,
কিন্তু আফসোস আমাদের প্রগতিশীলরাই এদেশে কথিত আইএস এর পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে উড়ানোর জন্য,
বর্তমানে যে হত্যা গুলো হচ্ছে তার প্রায় সব গুলার ধরন প্রায় একি চাপাতির কোপ, তাই বলে এই না যে হত্যা গুলো একি গ্রুপ করছে, এইভাবে হত্যার অন্যতম কারন হতে পারে হত্যার তদন্ত অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, যাতে হত্যা কারির উপর কোন ভাবেই তা না যা,
যার উদাহরন আমারা দেখেছি যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যা মামলায়, জাপানি নাগরিক হত্যা মামলায়,
তাই সবার কাছে আহ্বান করবো, অন্ধবিশ্বাসের প্রতি অঙ্গুল তুলে অন্ধের মত না চিল্লায়ে সঠিক কারন খোজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন , তার পরে যদি কোন সুবিচার না পান তাহলে সরকার পতনের আন্দোলন করুন , আসা করি জনগনের সাপোর্ট পাবেন, এভাবে চোখ বেঁধে নিজের অজান্তে আইএস এর পতাকা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোন ফলাফল আসবে না,
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৯