আমি নিজেকে কখনও অগ্রজ ভাবি না, বিশেষ করে লিখনীর ক্ষেত্রে। আর লিখালিখি জিনিসটা স্রষ্টার সৃষ্টি। আমি সেই সৃষ্টির কাছে খুবই নগন্য। তবুও অবিরত চেষ্টা করেছি মানুষ ও মানবতার কল্যানে কিছু কাজ করার। সেই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে আজ আমি বড় বেশী ব্যস্ত। আর তার কারণ সময়কে সময় দিতে হয়েছে বলে।
অামার অপ্সরাবেলার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষেরা সতি্য অাজ অামি ধন্য ! এভােব স্বরণ করার জন্য।
তবুও কিছু স্মৃতি, কিছু প্রিয় মূখ আমাকে সারক্ষন ভাবায়। হয়তো তুমি তার মধ্যে অন্যতম। সেটা যে ভাবেই গ্রহন করো না কেন। আমি অতীত ভ’লি না। ভ’মিনা প্রিয় মুখগুলো। আজকাল জীবন আর জীবিকার তাগিতে নিজেকে বড় বেশী ব্যস্ত করে ফেলেছি। সময়ের অবগাহনে আজকাল আমাদের চারপাশে বড় বেশী বেহায়া ভালোবাসা। বড় বেশী অস্তিরতা। এসব আমার একদম ভালোলাগে না। তারুন্য ভাসে ফেইসবুক, ওয়ার্সআপ আর ভাইবারে। আমি ভাসি কলমের নোনা জলে। সেই জলে কখনও কখনও রুপালী তারার ঝিলিক উকি দেয়। হয়তো বা তুমি তাই। তোমাকে কি ভ’লা যায়। যায় না বলেই প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক কিছু হুদয়গ্রাহী কথা আজ লিখতে মন চাইলো।
হে বণ্দু, প্রিয়তম মূখ। আমি আজও আছি আগের মত। শুধু নিদারুন কিছু বাস্তবতা আমাকে প্রতিনিয়ত অক্টোপাসের মতো আকড়ে ধরে থাকে। আমি কিংবা আমরা কেউই সেই াক্টোপাসের বাহিরে বের হতে পারিনা। সময় যেনো এভাবেই দ্রুত ফুরিয়ে যায়। আজকাল বড় বেশী একাকি মনে হয় নিজেকে। কবিতার খাতায় গুন ধরেছে অনেক দিন। এখন ইন্টারনেটের বহতা সময়ে কজন বল ব্লগিং করে। আামার ভীষন ইচ্ছে করে আগের মতো তোলপাড় করা কিছু লিখা ছাড়ি। কিন্তু সময় বের করতে পানি না।
ঠিক তখন তোমার মমতাময় কথামালা আমাকে বড় বেশী জাগ্রত করে তুলে। সেই ডাক আমি ফিরিয়ে দিতে পারবো না। চেষ্টা থাকবে আবারও নিয়মিত হতো। যোগাযোগের মাধ্যম গুলো আজকাল বড় বেশী সক্রিয়। মানুষ আগের মতো আর ডাকযোগে ভালোবাসার চিঠি লিখে না বলে। ডাকপিয়ন আসে না বাড়ীর আঙ্গিনায়। স্টার্ট ফোনের রঙ্গিন জগতে বিচরণ সবার। চাইলেই মূহুর্তেও মধ্যে একজন আরেকজনকে দেখে নিতে পারে। আমিও সেই সূত্রে গাথা। শুধু হয়না যোগাযোগ। যদি চাও হতে পারে সেই যোগাযোগ। না হয় তাকিয়ে থাকলাম সেলোফোনের স্কিনে। যদি ভেসে উঠে তোমার সেল নম্বর। থাকলাম অপেক্সায়। যেমন করে ধীরে ধীরে শীত বিদায় নিয়ে বসন্তের আগমণী দিনের অপেক্ষায়।
হে প্রিয় বন্ধু, আমার আগমনী বারান্দায় কার ছায়া পড়ে। সে কি তোমার অপেক্ষা। শুধুই কি নিদারুন স্বপ্নীক না বাস্তবতা জানি না। এই লিখা এবং ছবিটি শুধু তোমার জন্য। ভালো থেকো বন্ধু তুমি.........
আমার আগমনী বারান্দায় কিছু স্মৃতি, কিছু প্রিয় মূখ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন