শিবের শক্তি অষ্টভূজা মুর্তটি নেপাল থেকে আনতে হবে। এক নাগা সন্যাসীর সহায়তায় নেপাল থেকে পাথরের অষ্টভূজা দূর্গা মূর্তি আনয়ন করে আদিনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।মন্দির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মহেশখালীর জমিদার হাজী নূর মোহাম্মদ শিকদার তিনি রামুর জমিদার প্রভাবতী দেবী এবং নেপালের রাজার পৃষ্টপোষকতায় ও আর্থিক সহযোগিতায় মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কথিত লোককাহিনী অনুসারে কিংবদন্তীর দ্বীপ মহেশখালিতে শিবের আগমন ঘটে ত্রেতা যুগে। রাম-রাবণ যুদ্ধের সময় শিবের কৃপা লাভের জন্য রাবণ টমনাক পর্বতে শিবকে আনতে যান। দেব তাদের অনুরোধে শিব রাবণকে শর্ত দেন যে, বিরতিহীনভাবে নিয়ে যেতে পারলে শিব লংকায় যেতে রাজী আছেন। শর্ত মেনে নিয়ে রাবণ শিবকে কাঁধে করে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে রাবণের প্রস্রাবের বেগ পেলে মৈনাক পাহাড়ে যাত্রা বিরতি এবং শর্ত ভঙ্গের কারণে শিব মৈনাক পাহাড়ে থেকে যান। সুপ্রাচীন ধর্মগ্রন্থ রামায়ণের সুন্দরাকাণ্ডের প্রথম সর্গের ৮৭তম শ্লোক তস্মিন প্লবগশার্দ্ধলে প্লবমানে হণুমতি, ইক্ষাকুকুল মানাথী চিন্তায়ামাস সাগর, এ রামায়ণে সমুদ্রের মধ্যে টমনাক পর্বতের অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। লোক কাহিনী অনুসারে আদিনাথ মন্দিরে অবস্থিত পাহাড়ের নাম টমনাক। টমনাক শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে মৈনাক-মইসখাল-মইশখালী শব্দে পরিণত হয়েছে বলে অনুমিত হয়। শিবের অবর নাম মহেশ। সে হিসেবে মহেশখালী নামে ধারণা লোক মুখে শোনা যায়। তবে প্রথম ধারণার শব্দগুলোর প্রচলন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানায় অবস্থিত এই শ্রী শ্রী আদিনাত মন্দির বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট অন্যতম তীর্থস্থান। তাহা শাস্ত্রীয মতে কলিযুগের মহাতীর্থ নামে খ্যাত। চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের সিভিল স্যুট নং -০১-১৯১১ ইং মূলে ১৯৪৫ সালে ১৫৮৬/এফ সিভিল রুলে মহামান্য হাইকোর্ট প্রণীত স্কীম মোতাবেক গঠিত সীতাকুন্ড স্রাইন কমিটি আদিনাথ মন্দিরের সার্বিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আদিনাথ মন্দিরে প্রতিদিন প্রধান পুরোহিত দৈনন্দিন পূজা অর্চ্চণা করেন এছাড়াও শিবচতুর্দশীতে বিশেষ পুজা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মন্দিরের কিছু ছবিঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



