দেখতে দেখতে কেটে গেল ৩২টা বৎসর মহাপীঠ আদ্যপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীআদ্যামার পাদপব্মে। এ বত্রিশ বৎসরে কত যে মাতৃকৃপা লাভ করেছি তা লেখনীতে বর্ণনা সম্ভব নয়। পাতানো মা নয়। জন্বজন্বান্তরের মা এ বুঝেছি। যে মার কোলে স্থান পেয়েছে অনাথ ছেলেরা, অনাথ মেয়েরা, স্বামী পুত্রহীনা বিধবা মায়েরা, বানপ্রস্থ আশ্রমের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা, সাধক ও সাধিকাদের জন্যও গড়ে উঠেছে পৃথক পৃথক আবাসস্থান, আবার দেশবাসীর জন্য দাতব্য চিকিৎসালায়, ভ্রাম্যমান চিকিৎসালয়, এক্সরে ক্লিনিক, ই.সি.জি ক্লিনিক, দন্ড ও চক্ষু বিভাগসহ, দৈনিক বিনামূল্যে তিন চারশো নরনারায়ণ সেবা, ভাবতে অবাক লাগে কী নেই এই আদ্যাপীঠে। সকলের অবারিত দ্বার। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোক এ মাকে ডেকে কত দুরারোগ্যব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ করছে। এইসব কার সাধনা। কোন মহামানবের প্রাণে এসব আর্ত মানুষের ক্রন্দর ধ্বনিত হয়েছিল? এ মানবদরদী মহামানব হলেন আমাদের চট্টগ্রামের বীর সন্তান দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ অন্নদার ঠাকুর। তাঁকে একদিন রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন চলো আমার সঙ্গে তা হলে তোমার সকল দুঃখের অবসান হবে। কিন্তু এই সময় হাজার হাজার নরনারীর কাতন আবেদন ছিল ঠাকুর তুমি একা রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে যেও না, আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাও। আমরা সংসারতাপে তাপিত। পৃথিবীর মানুষের কাতর আবেদন ঠাকুরকে আর নিজের মুক্তির কথা চিন্তা করতে দিলনা। আর্ত মানুষেল জন্য এই মানবদরদী মহাপুরুষ গড়ে তুললেন এই আদ্যাপীঠ কেন্দ্র। কী মাতৃসাধক! যাঁর সাধনায় তৃপ্ত হযে জগৎজননী তাঁর সন্তানদের পূজার বিধান দিয়েছিলেন খাওয়ার সময় শুধু বলবে মা তুমি খাও আর কাপড় চোপড় পরার সময় বলবে মা তুমি পর। কী সহজ সরল পূজার বিধি। মা জানতেন সংসারে আত্বীয় পরিজন সকলের সেবা করার পর তাঁর সন্তানদের সময় কোথায়। তাই করুণাময়ার এই রকম সহজ সরল পূজার বিধান। মা শুধু বলেছিলেন যদি কেউ আমার সামনে আদ্যাস্তব পাঠ করে আমি বিশেষ সন্তুষ্ট হই। এ মাতৃকৃপা যে মহামানবের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি উনি ছিলেন সমন্বয়ের প্রতীক। মন্দির দেখলেই বোঝা যায় একই মন্দিরে গুরু কালী ও হরি। এমনি সংঘগুরু অন্নদাঠাকুর নিজের হাতে বসিয়েছিলেন। হিন্দুদের ত্রিশূল, মুসলমানদের চাঁদ, খ্রীষ্টানদের ক্রশ ও বৌদ্ধদের হাতপাখা। সারা বিশ্ব আজ আদ্যাপীঠ ও অন্নদাদাকুরকে নিয়ে মুখর। শুধু কি তাই তিনি বিশ্বের সকলকে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্য ও কর্মীদের নামের শেষে ভাই কথাটা ব্যবহার করতেন। তাই আসুন সমস্ত দ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে অন্নদা ঠাকুরের সমন্বয়ের পতাকা তলে একত্রিত হই। একত্রিত হয়ে সাম্যের জয়গান করি।
সমন্বয়ের মাতৃসাধক অন্নদা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
দেখতে দেখতে কেটে গেল ৩২টা বৎসর মহাপীঠ আদ্যপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীআদ্যামার পাদপব্মে। এ বত্রিশ বৎসরে কত যে মাতৃকৃপা লাভ করেছি তা লেখনীতে বর্ণনা সম্ভব নয়। পাতানো মা নয়। জন্বজন্বান্তরের মা এ বুঝেছি। যে মার কোলে স্থান পেয়েছে অনাথ ছেলেরা, অনাথ মেয়েরা, স্বামী পুত্রহীনা বিধবা মায়েরা, বানপ্রস্থ আশ্রমের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা, সাধক ও সাধিকাদের জন্যও গড়ে উঠেছে পৃথক পৃথক আবাসস্থান, আবার দেশবাসীর জন্য দাতব্য চিকিৎসালায়, ভ্রাম্যমান চিকিৎসালয়, এক্সরে ক্লিনিক, ই.সি.জি ক্লিনিক, দন্ড ও চক্ষু বিভাগসহ, দৈনিক বিনামূল্যে তিন চারশো নরনারায়ণ সেবা, ভাবতে অবাক লাগে কী নেই এই আদ্যাপীঠে। সকলের অবারিত দ্বার। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোক এ মাকে ডেকে কত দুরারোগ্যব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ করছে। এইসব কার সাধনা। কোন মহামানবের প্রাণে এসব আর্ত মানুষের ক্রন্দর ধ্বনিত হয়েছিল? এ মানবদরদী মহামানব হলেন আমাদের চট্টগ্রামের বীর সন্তান দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ অন্নদার ঠাকুর। তাঁকে একদিন রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন চলো আমার সঙ্গে তা হলে তোমার সকল দুঃখের অবসান হবে। কিন্তু এই সময় হাজার হাজার নরনারীর কাতন আবেদন ছিল ঠাকুর তুমি একা রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে যেও না, আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাও। আমরা সংসারতাপে তাপিত। পৃথিবীর মানুষের কাতর আবেদন ঠাকুরকে আর নিজের মুক্তির কথা চিন্তা করতে দিলনা। আর্ত মানুষেল জন্য এই মানবদরদী মহাপুরুষ গড়ে তুললেন এই আদ্যাপীঠ কেন্দ্র। কী মাতৃসাধক! যাঁর সাধনায় তৃপ্ত হযে জগৎজননী তাঁর সন্তানদের পূজার বিধান দিয়েছিলেন খাওয়ার সময় শুধু বলবে মা তুমি খাও আর কাপড় চোপড় পরার সময় বলবে মা তুমি পর। কী সহজ সরল পূজার বিধি। মা জানতেন সংসারে আত্বীয় পরিজন সকলের সেবা করার পর তাঁর সন্তানদের সময় কোথায়। তাই করুণাময়ার এই রকম সহজ সরল পূজার বিধান। মা শুধু বলেছিলেন যদি কেউ আমার সামনে আদ্যাস্তব পাঠ করে আমি বিশেষ সন্তুষ্ট হই। এ মাতৃকৃপা যে মহামানবের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি উনি ছিলেন সমন্বয়ের প্রতীক। মন্দির দেখলেই বোঝা যায় একই মন্দিরে গুরু কালী ও হরি। এমনি সংঘগুরু অন্নদাঠাকুর নিজের হাতে বসিয়েছিলেন। হিন্দুদের ত্রিশূল, মুসলমানদের চাঁদ, খ্রীষ্টানদের ক্রশ ও বৌদ্ধদের হাতপাখা। সারা বিশ্ব আজ আদ্যাপীঠ ও অন্নদাদাকুরকে নিয়ে মুখর। শুধু কি তাই তিনি বিশ্বের সকলকে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্য ও কর্মীদের নামের শেষে ভাই কথাটা ব্যবহার করতেন। তাই আসুন সমস্ত দ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে অন্নদা ঠাকুরের সমন্বয়ের পতাকা তলে একত্রিত হই। একত্রিত হয়ে সাম্যের জয়গান করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।