চারটে পাখি ডিম পেড়েছে কাল রাতে
স্বচ্ছ হীরের মতো ডিমের খোসা
ডিম ধোয়া জল আজ বর্ণবাদীর হাতে
আরও আছে সাথে শত বর্ষের বোঝা।
হাত থেকে তার হাত পড়েছে খসে
পাপ থেকে পাপ ছিঁড়ে গেছে হায় ঋণে
উত্তেজনায় হাড়ের ষাঁড়ে দিচ্ছে সে সব ঘষে
সোনার কাঠি, রূপার কাঠি নিচ্ছে ওরা চিনে।
চারদিকে যায় চারটে পাখি খুব ভোরে
চন্দ্রহারা ছন্দ কিনে সাইমুম ঝড় এলে
একটি পাখি খাঁচার ভিতর ডাকছে অনেক জোরে
একটু ঝড়ের বিষাদ নিয়ে ওপারে যায় চলে!
তিনটে পাখি ফিরে এসেছে নীড়ে
পাখার ভিতর প্রেমের ক্ষুধা উঠছে তখন কেঁপে
কেউ দেখনি ডিমগুলো সব আকাশ ছুঁয়ে ধীরে
চৌষট্টিটি ছানা এসেছে সময় মেপে মেপে।
দশটি পাখি নাম জানেনা নিজের
মৃত পাখির ছানাগুলো ইচ্ছে নদীর তীরে
কেউ দেখে না পালক ঝড়ে ওদের
চুয়ান্নটি তিন ভাগে ভাগ হচ্ছে ওদের ঘিরে।
হাজার গানে মগ্ন ওরা সেই সে উপবনে
মা পাখিরাও আসছে দেখ গভীর জলের তলে
রঙিন ডানার ছানাগুলো গুনছে জলের মনে
দশটি পাখি খুব একাকী হাঁটছে মরুস্থলে।
দশটি পাখি ওড়তে ছিল না মানা
কার্তিক আর ফাগুন মাসের জীবন ছিল জানা
চোখগুলোতে মায়ের বুকের মতই ছিল ডানা
তবুও ওরা আর উড়ে নি কোন সে শোকের হানা?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫১