somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের সাথে আমি নিজেই কথা বলি

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবকিছু বিক্ষিপ্ত মনে হচ্ছে। আমার মনটাকে যদি কোন কিছুর সাথে তুলনা করতে হয়, তবে তা এখন একটি মরুভূমির সাথে তুলনীয়। যেখানে বালু ছাড়া আর কিছু গোচরীভূত হয় না। যেখানে একটি কাল্পনিক বৃক্ষ খোঁজা আবশ্যক। কিছুটা ছায়ার আশায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার গন্তব্যহীন পথ চলা আরম্ভ করা যায়। আমার এই অবস্থার জন্য কেউ দায়ী নয়। যে মহান সত্ত্বা আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাকে দায় দেওয়াটা যৌক্তিক মনে করি না। কারণ ব্যাপারটা আমার অনুভূতির বাইরে। যা অনুভব করি, যদি তার ভিত্তিতে চিন্তা করি তবে দায়টা যায় আমার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর। সেক্ষেত্রে আমি এ্যাকশনে থাকবো না। আমি থাকব রিএ্যাকশনে। লাটাইবিহীন ঘুড়ি যেমন লাটাইহীনিতার শোকে ম্রিয়মাণ, ঠিক তেমন আমি আমার লাটাই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি। সেক্ষেত্রে আমার লাটাই কোথায় সেই প্রশ্ন আসে। কিংবা আমি যদি ইঁদূর হই, যাকে বিড়ালে তাড়া করছে, তবে বিড়ালটা কে?

হয়তো কিছুক্ষণ পর আমার এই মনের অবস্থা বদলে যাবে। আমি কোন কিছুর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবো এবং আমার মনের বর্তমান অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হবে। মন বড় অদ্ভুত জিনিস। তাকে দিয়ে যে কোন কিছু করিয়ে নেয়া যায়। শরীর দিয়ে যা করানো যায় না। মন দিয়ে তা হরহামেশাই করানো যায়। আমি একট চিঠি লিখতে পারি সেই অজানা বিচ্ছিন্নতা অথবা বিক্ষিপ্ততার কারণ অনুসন্ধানে। চিঠিটি কাকে লেখা যায়? হয়তো আমার মাকে। কিংবা আমার প্রিয়তমাকে। কিংবা আমার কোন বন্ধুকে। তাতে মন কিছুটা শান্ত হতে পারে।

প্রিয়তমা,

তোমার জন্য একটি পৃথিবী গড়তে চেয়েছিলাম অমার মনের গোপনে। অথচ তুমিই ছিলে আমার পৃথিবী। তোমার জন্য ইতিহাস স্থাপন করতে চেয়েছিলাম এখানে, একাকী নিভৃতে। অথচ তুমিই ছিলে আমার ইতিহাস। তিমির বিদারী আলো মুঠোয় পুরে চমকে দিতে চেয়েছিলাম তোমায়। অথচ তুমিই ছিলে আমার আলো। আমি কোন দিন তোমার নাগাল পাইনি এই যাপিত জীবনের মোহনায়। অথচ তুমি নাকি নাগালেই থাকো চিরদিন। দূরত্বে বেঁধেছ তুমি জীবনের এই পঙ্কিলতা। যমুনায় ডুবে যাওয়াই ছিল আমার অভিলাষ। অথচ তুমিই আমার পাপ ও পঙ্কিলতা। একটি নাম দিতে চেয়েছিলাম এই সময়ের যে সময়ে আমি উঠে দঁড়াই, গলে যাই একা অথচ তুমি আমার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ। আমি তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে গিয়ে কত কি করে যাচ্ছি অহর্নিশ অন্ধকারে। অথচ তুমি ছাড়া কোথাও কেউ নেই।

ইতি তোমার
প্রেমিক

চিঠিটি কাজ করছে আমার মস্তিষ্কের কুঠুরিগুলো সংযুক্ত করতে। আমার বিশ্বাস ও ভালবাসা প্রকাশ করে আমি কিছুটা দায় মুক্তির আস্বাদ খুঁজে পেতে চাইছি। কিন্তু ইতিপূর্বে এই প্রক্রিয়া কাজে আসেনি। এবারও আসবে বলে মনে হচ্ছে না। কাজেই চিঠিটি ছিঁড়ে বা পুড়িয়ে আমার কিছুটা ঘুমানো উচিৎ। কিন্তু সমস্যা হলো আমার ঘুম আসছে না। ইনসমনিয়ার প্রতিও আমার ভালবাসা আছে। নতুবা তা আমাকে পেয়ে বসত না। তাহলে কি করা যায়? কি করলে একটু শান্তি পাওয়া যায়? হয়তো ধর্মে-কর্মে মন দেওয়া উচিৎ। কিন্তু আমার মনে আজ পর্যন্ত কোন ধার্মিক ব্যক্তি দাগ কেটে যেতে পারে নি। তবে আমি ধর্মে বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস আমাকে মুক্তি দিতে পারেনি। তার প্রধান কারণ হতে পারে আমার অক্ষমতা বা অযোগ্যতা।

আর একটি কাজ করা যায়, ফেসবুকে পছন্দের মানুষের এ্যালবাম দেখা যায়। একটি একটি করে ছবি দেখে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, পুলক অনুভব করা যায়। কিন্তু সেই পুলক ক্ষণিকের। এটা আমার অর্থ উপার্জনে সহায়ক না। পৃথিবীতে অনেকেই অর্থ উপার্জন ছাড়া আর কোন কাজে সময় পার করাটাকে অপচয় মনে করে। আমি একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য সাইকেলে করে মাইলের পর মাইল ভ্রমণ করতে পারি। তারা সেটা করবে না। সেজন্যই আমার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। না থাক। কিন্তু আমার মধ্যে গান ও গায়কীর প্রশংসা করার মতো একটি মন আছে। সে মনটিকে ব্যবহার করতে চাই এখন। সম্ভবত এটাই এখন করব আমি। আগেও এমনই করেছি। কিন্তু সেটাও এই মুহূর্তে আমাকে আকর্ষণ করছে না। আমার আসলে কারও সাথে কথা বলা দরকার। কিন্তু কার সাথে কথা বলবো আমি? আমারতো কথা বলার মতো কোন আপন মানুষ নেই।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×