আমি নিঃশ্বাস নিতে চাই না
তার অবহেলা বিকল করছে আমার শ্বসনতন্ত্র
তার অবহেলা চুরমার করছে আমার মাথার খুলি
তার অবহেলা এ দেহকে টুকরো টুকরো করছে
তার অবহেলা এ হৃদয়কে করছে ছিন্নভিন্ন
ধীরে ধীরে আমি হারিয়ে ফেলছি জীবনের সব ছন্দ!
ইতোমধ্যে হারিয়েছি কি সুখ-দুঃখের সব অনুভূতি?
আমি কি ছাই হয়ে গেছি, হে মহাপৃথিবী?
কিছু কি আর আছে অবশিষ্ট এখনো?
কতটা পথ পেরুলে বলো পাব তার প্রেম?
শুধু অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণই কি আমাদের ধর্ম?
কিংবা রাজনৈতিক শ্রেণি বৈষম্যই কি আমাদের অন্তিম পরিণতি?
তুমি ভয়ংকর অসুখে ভুগছ বাতাস-
তুমি তোমার সব ছন্দ হারিয়েছ নিঃশ্বাস।
কবিতাটা একটি দৈনিক পত্রিকায় ছেপেছে। কবিতার নাম অবহেলা। কবি অতন্দ্র সাখাওয়াত। কবিতাটা পড়ে মনে হলো, এই যে আমাদের প্রতি অন্যের অবহেলা নিয়ে কত বিচত্র অনুভূতি, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে যে আমরা নিয়মিত অবহেলা করে যাচ্ছি, তার কি হবে? আমার নাম ইমতিয়াজ বুলবুল। বয়স ৭০ বছরের অধিক। আমার জীবনের দীর্ঘকাল কেটেছে মহান আল্লাহর ইবাদত না করে। তবে ইদানিং আমি শুধু আল্লাহর ইবাদত করে সময় কাটাই। আমার এই অনুভ হয়েছে যে, মানুষের প্রতি মানুষের অবহেলায় যেমন অবহেলিত ব্যক্তি আহত হয়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে অবহেলা করলে ব্যক্তি মানুষ অর্থাৎ অবহেলাকারী নিজেই আহত হয়। এই ধরণের আহত মানুষে ভরে উঠছে পৃথিবী।
ইদানিং আমি আর আল্লাহকে অবহেলা করি না। আমি শুধু আপন কলবের দিকে মনোযোগ রাখি। কলবে আল্লাহর নামের জিকির করি নিশিদিন। আমার মন খারাপ হলে আল্লাহকে ডাকি। মন ভাল থাকলেও আল্লাহকেই ডাকি। ইদানিং এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করছি। আমার বেশিরভাগ দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাচ্ছে। সেদিন দোয়া করলাম, আমার পড়ে যাওয়া দাঁতগুলো যেন নতুন করে গজায়। মাড়ির দাঁত সাধারণত একবার পড়ে গেলে আর গজায় না। কিন্তু আমার ৪টা মাড়ির দাঁত এক রাতের মধ্যেই গজিয়েছে। এরপর দোয়া করলাম, আমার নাস্তিক ছেলেটা যেন ইমানের পথে ফিরে আসে। গতকালই সে ইমানের পথে চলে এসেছে। আমাকে বলল, 'বাবা আমি আর নাস্তিক নই। আমার মনে ইসলামী জোশ এসে গেছে। গতকালকে স্বপ্নে আমি হাশরের মাঠ দেখেছি। কি যে ভয়ংকর দৃশ্য! আমি কাফের হয়ে মৃত্যু বরণ করতে চাই না।'
এ দুটি ঘটনা আমার চিন্তাধারাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। আমি এখন থেকে আরো বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করবো এবং এ বিষয়ক অভিজ্ঞতা লিখে রাখব। তাহলে হয়তো আমার পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২