প্রাচীনতম এ-দুঃখে আমরা কি গুটিয়ে নিতে পারি আমাদের গান, এই আহ্বান—
যে জ্যোতি-চিহ্ন—প্রেম ও সৌন্দর্য আমাদের;
যা আচ্ছন্ন করে রাখে না, আন্দোলিত করে আমাদের হৃদয়, অনুভবে আমাদের।
দেখো, প্রিয়তম, স্বর্গীয় নয় আমাদের ভালোবাসা—
কোন দেবদূত এসে গ্রাস করতে পারে, আদম-হাওয়া ও ঈশ্বরকে যেমন—
অতি কৌশলে ঈশ্বরের দৃষ্টির আড়ালে স্বর্গচূত দেবদূত-সর্দার
আদম-হাওয়াকে খাওয়ালেন নিষিদ্ধ আপেল!
আর প্রতিষোধপরায়ন ঈশ্বর ছুঁড়ে ফেলে দিলেন তাঁদের পৃথিবীর দু’প্রান্তে!
আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো যে দেবদূতগণ
অনাদি কাল থেকে যারা তাঁদের অনুভবে আন্দোলিত করেন আমাদের হৃদয়
না, প্রেমে আকুল কিংবা সৌন্দর্য-প্রত্যাশি নয়;
কখনো কখনো তাঁদের মহৎ আবেগ বিভ্রান্ত করে আমাদের
ভুলে যাই আমরা সাদা ও কালোর তফাৎ—
এই যারা অতি সাধারণ, অল্পতেই পুলকিত হই, এবং সমর্পণ করি নিজেদের।
আমাদের মঙ্গল কামনায় প্রত্যেকেই সর্বদা প্রস্তুত আলিঙ্গন করে নিতে আমাদের—
যাঁদের মহৎ দৃষ্টির আড়ালে হারিয়ে যাই আমরা;
সবেমাত্র যারা পৃথিবীর পথে পা দিয়েছি, কিংবা তারও আগে
যখন মাতৃস্তন ছেড়ে কেবল বেড়ে উঠছি, কেউ আবার হেঁটেছি যদিও সহস্র পথ!
পৃথিবীর যত অন্ধকার, এই ভার পেছনে ফেলে যান দেবদূতগণ
আর আমরা, তুমি তো জান, প্রেমিক-হৃদয় চেয়ে থাকে দূর আকাশে—
অন্ধকার ভেদ করে একদিন ঠিকই দেখা দেবে নতুন সূর্য।
_____________________
কবিতাটির নাম ঠিক করতে না পারার ফলে, কবিতা থেকে দেড় লাইন শিরোনাম হিসেবে তুলে দিলাম।
কবিতাটি ডিজেন করেছেন শান্তি অশান্তি আপু।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩১