আব্বু প্রায় অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। সম্মানতি এমপি গোলাম মাওলা রনি মহোদয় যেদিন গ্রেফতার হন তার ২দিন পরই আব্বুর ফেসে আগের স্ট্রোকের সিনট্রম গুলো দেখা দেয়। ঢাকায় এসে মাস দেড়েক ডাক্তার দেখানো হয়। পুরোটা সময় বাসায় বেড রেস্টেই ছিলো। ঘটনার সূত্রপাত এমপি মহোদয়ের জামিন প্রপ্তির দিন থেকে। জামিনের খবর শুনেই আমি আর আব্বু হাইকোর্টে যাই। আমি বিকেরে বাসায় ফিরলেও আব্বু এমপি মহোদয়ের অফিসে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং বাসায় ফেরেন রাতে। বাসায় আসার পরই মাথা ব্যাথা। জামিন পাওয়ার পরের শুক্রবার আব্বু কাশিমপুরে যান এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করতে। যাওয়া আসার সময় গরমে বাসের মদ্ধ্যে থাকায় শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমপি মহোদয় আব্বুকে দেখেই তার শারিরীক অবস্থার অবসতির কারন জিজ্ঞেস করেন। এবং তার স্ত্রী কামরুননাহার রুনুকে নিয়ে তামাশা করেন যে এতটুতেই আব্বু ভয় পেয়ে গেছে। এর ২-৩দিন পর এমপি মহোদয় জেল থেকে ছাড়া পান। ঐদিনও আব্বু কাশিমপুর যান এবং এমপি মহোদয়ের সাথে তার বাসা পর্যন্ত পৌছে দেন।
বাসায় ফিরেই সন্ধ্যা থেকে আব্বুর শরীর হালকা গরম। পরদিন সকালে জ্বর। একেবারে ১০২। সেদিন বিকেলে জ্বর কমলেও পরদিন আবার ১০৩!!! বাসার সবাই হতবাক হয়েযাই। কি করবো? এর মধ্যে ডাক্তার দেখাই। কিন্তু জ্বর একেবারে কমে না, সকালে ওঠে… বিকেলে কমে…. ডাক্তার বলেন যে এটা নাকি ভাইরাস জ্বর। ৫-৭দিন পর ঠিক হয়ে যাবে।
গতকাল রাত১২টার পর ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঞঠাত আব্বু বলে যে আমাকে একটু ধরো…. ১মিনিট পরই আব্বুর সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়, চোখদুটি ফ্যাকাশে হয়েযায়, শরীরের নড়াচড়া ও বন্ধ.। আপু, আম্মু আর ভাগ্নী চিতকার দিয়ে ওঠে আমি খুব জোরে চিতকারও দিতে চাইছি কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোনো স্বর বের হচ্ছে না।
সময়টা ২-৩ মিনিট। এর মধ্যে অনেক কিছুই মাথায় এলো। ভাবলাম, আমি আর আমার আম্মু পুরোপুরি বাবার উপর নির্ভরশীল। আজ রাতে তার কিছু হয়ে গেলে আমরা কোথায় যাবো? কি হবে আমাদের? কিভাবে আমরা চলবো??? আমার বিয়ে নিয়ে আমার বাবার কতো স্বপ্ন, সে কি আমাদের একা রেখে না ফেরার দেশে চলে যাবেন? ভাগ্নী প্রভা পাশ থেকে কাদতে কাদতে বলছে নানা ভাই চোখ বন্ধ করেনা ক্যানো? নানাভাই তুমি জাগো…..
৫-৭মিনটি পর আব্বুকে শুইয়ে দেয়া হলো। মাথায় তৈল পানি দেয় হলো। সারা রাত যেগে থাকার পর সকালে অবস্থা মোটামুটি উন্নতি হলো।
এই মুহূর্তে তার অবস্থা অতো টা ভালো না। তবে এই একটা রাতে আমি অনেক বুঝতে পেরেছি। বাবা ছাড়া যে দুনিয়াটা কতো একা অন্তত অল্প হলেও তা অনুভব করেছি। আমার শত্রুও যেনো কোনো দিন এরকম পরিস্থিতি ত না পড়ে। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সব বাবাকে সুস্থ রাখুক।
============================================
_আমার ২০/০৯/১৩ তারিখের ফেসবুক স্টাটাস থেকে নেয়া
============================================

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



